আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন সাঈদী

সাঈদীকে হত্যা, লুট, অগ্নি সংযোগ করতে দেখেছেন। বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন সাঈদী ও মোসলে উদ্দিন। ২১ ডিসেম্বর বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার অন্যতম সাক্ষী সুলতান আহমেদ হাওলাদার এ সাক্ষ্য দেন। ৬০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ১৯৭১ সালে পিরোজপুরের সোহরাওয়াদী কলেজের একজন ছাত্র ছিলেন। সকাল ১০ টা বেজে ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বসলে সাঈদীর মামলার তৃতীয় সাক্ষীর অসমাপ্ত জেরা শুরু করেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।

তৃতীয় সাক্ষী মিজানুর রহমান তালুকদার সাইদীকে লুটের মাল নৌকায় করে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে সাক্ষ্য দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা একে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেন। সাঈদীকে উনি দেখেছেন অথচ সাঈদী উনাকে দেখেননি। এটা কীভাবে সম্ভব বলে যুক্তি দেখান। উত্তরে সাক্ষী মিজানুর বলেন, সাঈদীর লুটের মাল নিয়ে নৌকা যোগে যখন যাচ্ছিলেন তিনি তখন নৌকার মধ্যে শুয়েছিলেন।

শুয়ে থাকায় সাঈদী আমাকে(মিজানুর) দেখতে পাননি। এর আগে সাক্ষী মিজানুর তার বড় ভাই মান্নানকে নির্যাতন করার জন্য সাঈদীকে অভিযুক্ত করে সাক্ষ্য দেন। উল্লেখ্য মামলার চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে মানিক পসারির নাম থাকলেও, পারিবারিক কারণে ও অসুস্থ থাকার কারণে তাকে সময়মত ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্র পক্ষ। তার বদলে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী সুলতান আহমেদ হাওলাদারের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সুলতান আহমেদ হাওলাদের হিন্দুদের বাড়িঘর লুট, মাখন লালের দোকানের ২২ সের স্বর্ণ লুট, বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে সাক্ষ্য দেন।

তাছাড়া পাড়ের হাটে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন, কোমরে দড়ি বেধে মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে সাক্ষ্য দেন । খবরের সূত্র এইলিংকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।