আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিজ্ঞতা, যা ছিলো না আগে !

গতকাল কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদের জন্য ভাইভা দিয়ে আসলাম। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৮ জন (টাইপ করা লিস্টে দেখলাম)। উপস্থিত ২১ জন। ভাইভা শুরু হলো। কিছুক্ষন পরে ১৫/১৬ জনের একটা টিম এসে চিৎকার করে বলছে, এই ছিগনেচারের সিট টা কই?? সিট দেয়া হলে তারা একজনকে দিয়ে সাইন করিয়ে নিলো।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন, কারা????? হ্যাঁ, তারা ছাত্রলীগ। তাদের একজন প্রার্থী আছে। ভাইভা চলছে। কিছুক্ষন পরে, ২০ জনের টিচারদের (সম্ববত) একটা টিম এসে ভাইভা বোর্ড থেকে ভিসি এবং প্রো-ভিসি স্যারদের বের করে নিয়ে কথা বলছেন। আজ (ভাইভার পরেরে দিন) তাদের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন।

ভিসি এবং প্রো-ভিসি নেই তো কি হয়েছে??? ভাইভা চলছেই। আমার সিরিয়াল অসায়, আমি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করার সময় দেখতে পেলাম, লিস্টে একজনের নাম হাতে লেখা (২৯ নং) !!! নতুন কিনা জানতে চাইলে বলল, হু। আরেকজন ফোন করে বলছে, আরে পাগল, তুই এখোনো আসিসনি কেন? কোথাই তুই??? বোর্ড তো প্রায় শেষের দিকে। তাড়াতাড়ি আয়। ২৯ নং এর প্রোফাইল দেখলাম, বড় ভাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন ।

উনার এস.এস.সি পাশের সাল ১৯৯২ !!!! এদিকে বাইরে বসে শুনছি, প্রায় সব প্রার্থীর জন্যই উপর মহল থেকে মিনিমাম ১টা করে ফোন এসেছে সুপারিশে হিসাবে (আমিও লবিং এর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কাউকে দিয়ে ফোন দেয়াতে পারিনি)। আমরা ২/৩ জন আমজনতা বলছি, ভাই চলেন যাই। চাকরির দরকার নেই, আগে এইখান থেকে জীবন নিয়ে যাই। এইখানে চাকরি হলেও করব না। পরে অবশ্য জানতে পারলাম কারোরই চাকরি হইনি !!!!! কারনটা সন্ধ্যায় জানতে পারলাম, ভিসি এবং প্রো-ভিসির ভাগাভাগি (প্রো-ভিসি একজনকে নিতে চাই কিম্তু ভিসি তাকে নিবেন না) নিয়ে নিয়োগই বাতিল হয়ে গেছে !!!!!!!!!!!!!!!! ভাবতেই অবাক লাগছে যে, এটা ছিলো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া !!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.