আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাস্ট রি-ইউনিয়ন২০১২: কমিটি পুনর্গঠনের আহবান

নামহীন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রি-ইউনিয়’১১ এর কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। স্বারকলিপিতে প্রথম পাঁচটি ব্যাচকে উপেক্ষা করে সদস্য সচিব নির্বাচন সহ কমিটি নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রি-ইউনিয়ন আয়োজন করতে গিয়ে কোন খারাপ দৃষ্টান্ত... তৈরী হলে বিশ্ববিদ্যালের কতৃপক্ষের কাছে সাস্টিয়ানরা আস্থা হারাবে। তাই কমিটি পুনর্গঠনের আহ্বন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শাহজালাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (শাকসু) এর সভাপতি কামরুল হাসান কাবিরী ভবিষ্যত প্রজন্মের উদাহরণ টেনে বলেন, ব্যাপক আলোচনা ছাড়াই মাত্র ১০/১২ জন ব্যক্তি এক জায়গায় বসে এই কমিটি গঠন করেছে। যেখানে সকল মতের প্রতিফলন আসেনি। ফলে পরবর্তীতে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম এই কমিটির অবৈধ পথকে অনুসরণ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। শাবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চেতনা ৭১ (মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য) এর প্রধান সমন্বয়ক খুরশিদ আলম হিটু বলেন, আমি মনেপ্রাণে চাই পুনর্মিলনীটা হোক। তবে যেভাবে কমিটি ঘোষিত হয়েছে সেটা হয়তো সঠিকভাবে হয়নি।

শাকসুর সাবেক নাট্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক রাশেদ রশীদ বলেন, সবাইকে নিয়ে প্রোগ্রাম করা উচিত। যেকোন অভিযোগ গঠনমূলক উপায়ে সমাধান করা উচিত। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় একটি অনুষ্ঠান সফল করা সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে বিতর্কহীনভাবে অনুষ্ঠান সফল করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

শাকসু’র ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে তাদের মতামত মূল্যায়ন করা হচ্ছে না অনেকাংশে। যা অত্যন্ত দু:খজনক। শাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে যৌথভাবে পুনর্মিলনী সফল করার জন্য পুনর্মিলনী কমিটির কাছে আহবান জানান। পুনর্মিলনী কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে শাবি শাখা জাতীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় জাতীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিটি গঠন হয়েছে অথচ তা সঠিক সময়ে আমরা কেউই জানতে পারিনি।

পত্রিকা মারফত তা জানতে হয়েছে। শুনেছি আমার মত অন্য সবারই একই অবস্থা। কিন্তু পুনর্মিলনীর মত একটি বড় কমিটির এমন হওয়া উচিত হয়নি। শাবির ফিল্ম সোসাইটি’র সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন বাপ্পী বলেন, পুনর্মিলনী কমিটি একদলীয়, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি কল্লোল চক্রবর্তী বলেন, কারও সাথে যোগাযোগ না করেই কমিটি দেয়াটা ভুল।

এতে করে সফলভাবে পুনর্মিলনী হওয়াটা ভেস্তে যেতে পারে। শাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বস্তরের ছাত্র সংগঠনকে যুক্ত করে পুনর্মিলনীর নতুন কমিটি দেয়ার জন্য আহবান জানান তিনি। শাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতির সদস্য চৌধুরী আব্দুল্লাহ হোসাইনী রবিন বলেন, পুনর্মিলনী হোক এটা আমি মনেপ্রাণে চাই। পুনর্মিলনী নিয়ে যে প্রেস কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে আমার নামও এসেছে। তবে আমি তা জানতাম না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, পুনর্মিলনীর নাম ভাঙ্গিয়ে এখানে ব্যবসা খোলা হয়েছে। যেখান থেকে একটা শ্রেণী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেবে। http://www.banglatimes24.com/?p=69200 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।