আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূর্খের ধর্মচর্চা

যে বিশ্বাস নিয়ে একটা ছোট্ট শিশু হেসে ওঠে তাকে পরে ছুড়ে দেয়া হলে, তেমনি বিশ্বাস আমি করি তোমাকে। আমি জানি তুমি দুঃখ কখনও দেবেনা আমাকে। এক লোক প্রতি রাতে ঢোল বাজিয়ে যিকির করত। সারা রাত তার ঢোলের শব্দে আশ-পাশের বাড়ির মানুষ ঘুমাতে পারত না। তাকে অনেকে মানা করেছে, অনেক হাদিস দিয়ে বুঝিয়েছে, যে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি করা ইসলামের পরিপন্থি, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ব্যপারে ইসলামে নিষেধ আছে।

সে কিছুতেই কারও কথা শুনে না। রাতের বেলা ঢোল বাজানো বন্ধ করে না। গ্রামের মানুষ তার বিরুদ্ধে সালিশের আয়োজন করেছে। বিচারে সে বলছে, তাকে গান বন্ধ করতে বলা হলে এটা শরীয়ত পরিন্থি হবে। কারন, ইসলামে গান গাইতে বলা হয়েছে।

লোকে জিজ্ঞেস করছে কোরান শরিফের কোথায় বা হাদিসে এই সম্মতি দেয়া হয়েছে। তখন সে বলছে, কায়দার কিতাবে বলা হয়েছে গাইন ২ জবর ‘গান’, গাইন ২ জবর ‘গান’। অর্থাৎ‘গান গান’ বা গান করেন। তখন সভায় উপস্থিত এক লোক তাকে বলছে, আপনি কায়দার কিতাবের সব কথা মেনে চলেন? সে বলছে, নিশ্চয়ই মেনে চলি। তখন প্রশ্ন কর্তা বললেন, তাহলে কায়দার কিতাবে তো এটাও বলা আছে গাইন পেশ গু খা ২ জবর খান, ‘গু খান’।

আপনি এটা কেন মেনে চলছেন না। এর পর থেকে ঐ লোক আপনি এটা কেন মেনে চলছেন না। এর পর থেকে ঐ লোক আর কখনও মানুষের অসুবিধা করে ইসলাম চর্চা করেননি। এই গল্পটা একটা সত্য ঘটনা থেকে নেয়া। আমাদের দেশে ধর্মকে না জেনে কত মানুষ কত ভাবে এর ব্যাখ্যা দেয়, তার একটা প্রমান এই কাহিনী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।