আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাশের বাসায় ঘটে গেল বর্বর জাহেলিয়াত যুগের পুনারবৃত্তি

আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ মা-বাবা আর ১২‍/১৩ বছরের মেয়ে নিয়ে চমৎকার সংসার। প্রতিদিনের মতো মেয়ে বাবার সাথে খেলা করে, সেই ছোট্ট বেলা থেকে, এতো বড় হয়েছে এখনো বাবার গায়ের উপর আব্বু বলে ঝাপিয়ে পড়ে। বাবা-মেয়ের খেলা দেখে মায়ের মন তৃপ্তিতে ভরে ওঠে।

অবুঝ মেয়ে তার বাবাকে যে কতো ভালোবাসে তা ওর মা বুঝতে পারে। পারবেই বা না কেন, আপন রক্ত যে; রক্তের টান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টান। এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন বছরের পর বছর। হঠাৎ বাবার মনে দেখা দেয় কাম বাসনার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, নতুন কিছু করা কারন এক বউ তাকে হয়তো তৃপ্ত করতে পারে না; কেনই বা পারবে বাবার শখ প্রায়ই ব্লু ফ্লিম দেখা। অশ্লীল ছবি দেখতে দেখতে তার মন হয়ে ওঠে অশ্লীলতায় পরিপূর্ন, চোখর সামনে ভাসতে থাকে ব্লু ফ্লিমের সেই জঘন্য নারীদের যারা চরম সীমা লংঘনকারী, যারা অভিশপ্ত।

যারা এসব অশ্লীল ছবি দেখে বেড়ার তারাও এদের মত আল্লার রহমত বঞ্চিত, তাদের অন্তরকে আল্লাহ মোহর করে দিয়েছেন, তারা আর ফিরবে না। তাই বাবাও আজ চরম সীমা লংঘনকারী। মা অনেকদিন পরে মার্কেটে যান টুকটাক কিছু কেনা কাটা করতে। মেয়ে প্রতি দিনের মতো স্কুলথেকে ফিরে বিছানার গড়াগড়ি খায়, আপন মনে খেলা করে। বাবার মনে দেখা দেয় জাহেলিয়াত যুগের চিন্ত ভাবনা।

যেই ভাবা সেই কাজ, মেয়েকে জোর করে ধর্ষন করে। অতটুকু মেয়ে বাবার এহেন ঘৃণ্য কাজ দেখে বাকহারা হয়ে পড়ে। সে তার বাবাকে কতো ভালোবাসে; তার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তার নিষ্পাপ মনের কোনে কালো মেঘের বাসা বাধে। বাকশক্তি হারা মেয়েটা যেন কিছুই করতে পারে না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে আর নিরবে চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়ে।

মার্কেট থেকে এসে মেয়েকে বোবা হয়ে বসে থাকতে দেখে মায়ের মনটা কেঁপে ওঠে। কি হয়েছে মা? এমন করে বসে আছ কেন, মন খারাপ? মেয়ের মুখে কোন কথা নেই। মা কাছে আসে, বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটে গেছে। আদর করে বুকের মধ্যে টেনে নেয় মেয়েকে, আলতো করে মুখে একটা চুমু দেয়। মায়ের সেই চির মমতা মাখা চুমু খেয়েই মেয়ের চোখের জল বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের পানির মতো বয়ে চলে দুগাল বেয়ে।

মায়ের মন বলে কথা, কি হয়েছে মা? বার বার জিজ্ঞেসা করে কিন্তু কি বলবে ওই ছোট্ট মেয়েটা? ওর মুখের জবান যেন বন্ধ হয়ে গেছে ভিতর থেকে। মা ওর কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে বুঝতে পারে, তার মেয়ের জীবনে ঘটে গেছে অনেক বড় অঘটন। কিন্তু তখনো জানে না এই অঘটনের নায়ক কে; বাবাকে ঘরে না দেখে মা বিচলিত হয়ে ওঠে; সে মেয়ের মুখে সব শুনতে চায়, অবশেষে মেয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে, মাকে সব জানায়। মায়ের চোখে মুখে আগুন জ্বলে ওঠে। এই অপমান, লজ্জা আর ঘৃণা তার মনের কোনো এমন ভাবে বাসা বাঁধে স্বামীর মুখ দেখার আগেই ঝুলান্ত ফ্যানের সাথে নিজের গলা পেচিয়ে মা চির দিনের মতো সবাইকে ছেড়ে চলে যায়।

পুলিশ এসে নরপশুটাকে গ্রেফতার করে। জানিনা তার বিচার কি হবে। হয়তো দুই চার বছরের জেল, হয়তেবা খালাশ পেয়ে যাবে স্বাক্ষীর অভাবে। এদিকে মা-বাবা দু'জনকে হারিয়ে এতটুকু মেয়েই বা এখন কি করবে? তার জীবনতো অভিশপ্তের ন্যায় হয়ে গেল !!! যত দেন বেঁচে থাকবে চোখের সামনে ভেসে উঠবে নরপিচাশ বাবার মুখের ছবি, ঘৃণা ভরে। আল্লাহ পাক আমাদের চমৎকার বিধান দিয়েছেন তার পবিত্র আল কোরআনের মাধ্যমে।

সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ঘটনা যা আমারা কোনদিন জানতে পারতাম না যদি না আল্লাহ পাক আমাদের জানাতেন। আল কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ পাক অসংখ্য উদাহরন দিয়েছেন মানব জাতীকে, যেন তারা সঠিক পথে চলতে পারে। সতর্ক করে দিয়েছেন তাদের যারা আল্লাহকে স্বীকার করেন না। যারা তাদের নিজ প্রবৃত্তির অনুসরন করে এবং তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। যারা ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থাকে মানতে চায় না, যারা আজ কাম প্রবৃত্তির জন্য নিজেদের স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যদের বেছে নিয়েছে যা ইসলামে সম্পূর্ন হারাম ও কবিরা গুনাহ।

তাদের জন্য রয়েছে সতর্ক সংকেত এবং ভয়াবহ আগুনের শাস্তি। কিন্তু যারা পরকালকে বিশ্বাস করেনা তারা এসকল হুমকি ধামকির পরোয়া করে না বিধায় এমন সব অপকর্ম অহরহ ঘটতে থাকে। আল্লাহ পাক আমাদের সহি সালামতে রাখুন। আমিন ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.