আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইচ্ছে নাকি দ্রোহ নাকি বিদ্রোহ নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ

পাখিটা বাধা মানে না। পাগলের মত কাজ করে। দল গোত্র ধর্মের উধ্বে চিন্তা করে। কুল কিনারা পায় না। সে দেশ নিয়ে চিন্তা করে।

দেশের মানুষ নিয়ে চিন্তা করে। কেন মানূগুলো এত বোকা হয়? কেন দিকে দিকে এত হাহাকার? কেন এত শূন্যতা? কেন এত না পাবার বেদনা? কেন এত নৈতিক অবক্ষয়? কেন এত ক্ষমতার লোভ? কেন শোষনের বিরুধ্ধে মানুষগুলো জাগে না। নিজেকে নিয়ে এ পুজাবাদী চিন্তার শেষ কোথায়? কোথায়? পাচ বছর পর পর আমরা ভোট দেই। কাকে দিই কেন দিই? তারা আমাদের জন্য ৭১এর পরে কি কি করছে? নেতা তো কম দেখলাম না? নেতাদের কেন এত নৈতিক অধঃপতন? আমরা তাদের পাতানো ফাদে বার বার কেন পা দিচ্ছি। পরিবারতন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা কি আদৌ বের হতে পারব না? যদিও তাদের পূর্বপুরুষদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নাই।

কিন্তু যে আদর্শ তারা শিখিয়েছেন তা আজ স্বপ্নই রয়ে গেছে। আর সে আদর্শ নেই বলে তাদের কে আর আমরা সমর্থন করতে পারি না। সে যোগ্যতাও তাদের নাই। লুটেপুটে খাওয়ার সংস্কৃতি স্বৈরাচাররা শুরু করেছে তা অস্বিকারের উপায় নাই। দুনীতি চলছে।

স্বজনপ্রীতি চলছে। খুন মারামারি চলছে। বেকারত্ব বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সেদিকে কেউ কখনও তাকায়নি।

আজও তাকাচ্ছেনা । ভবিষ্যতে এরাই আবার ক্ষমতায় আসলে তাকাবে বলে মনে হয়না। ৯১ এর পরে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিদাবীকারী দলের কর্তাব্যক্তিরা রাজাকারদের সাথে কি করেছে তা আমাদের জানা। তাদের বৈঠকের ছবি, কোলাকুলির ছবির মিডিয়ায় এসছে। রাজাকাররা আমাদের কিছু কিছু মহান মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের সহায়তায় মন্ত্রী মিনিস্টার হয়েছে।

জাতির পতাকা সেই থেকে খামছে ধরেছে পুরোনো শকুন। ধর্ম নিয়ে জামাতসহ মোল্লা দলগুলো ছাড়াও প্রধান দলগুলো রাজনীতি করেছে করছে এমনকি সংবিধানও জগাখিছুড়ী রুপ ধারন করেছে। বিশ্ববেহায়াকে নিয়ে টানাটানি আর মাতামাতি আমরা দেখেছি হয়তো সামনে আরবো দেখব। নুর হোসেনের আত্মা তা দেখে হয়তো ডুকরে কেদে উঠে। ক্ষমতার রাজনীতিতে আদর্শ আজ দুরীভূত ।

দেশপ্রেমিক মানুষ আজ চার মেরু পাচমেরুতে বিভক্ত। জাতীয় ঐক্য আজ লুন্ঠন করেছে রাজনীতি বিদরা যাদের অনেকেই নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিল! ভাবতে কষ্ট হয়। আমাদের তরুন প্রজন্ম আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট। লেখাপড়া শিখে চাকরীলাভ এ পুজিবাদী সমাজ তাদের শিখিয়েছে। নৈতিকতা দিনকে দিন কমছে।

মেধাবীরা দেশ ছাড়ছে। তৃতীয় কিছু করার চিন্তা তারা করতে পারছে না। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি তাদের কে হিংস্র করে তুলছে। নিজের বোনকে ও আমরা তাদের হাতে তুলে দিতে কুন্ঠিত হচ্ছিনা কেবল ক্ষমতার জন্য। অথচ তারা জানে বা জানে না যে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সকল আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে , লাখো ছাত্র জনতা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে।

আজ কি সময় আসে নি নতুন কিছু চিন্তা করার? তৃতীয় কোন শক্তির সৃষ্টি করা যারা ক্ষমতার নয় দেশের সেবার জন্য আর্তদানে তৈরী হবে? ৪০ বছরের পরোক্ষ পরাধীনতার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাচানোর জন্য একটা নতুন অহিংস বিপ্লব কি খুব দরকার নয়? আর এ ক্ষেত্রে আমাদের তরুন মেধাবী যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আর এদের চাই না। এদের মানি না? এদের চুলোচুলি লাঠালাঠি চাই না। এদের জঙ্গিপনা চাই না। এদের জোট মহাজোট চাইনা।

এদের ক্ষমতা গড়ার ধর্ম চাই না। আমরা বিবেকের ধর্ম চাই, আমরা বেদ,গীতা, কোরান হাদিস ,ত্রিপিটকের শ্বাশত সুন্দর স্ব স্ব ধর্ম চাই যাতে আমরা মানুষ হিসেবে বাঁচতে পারি। আসুন সে নতুন দিনের অপেক্ষায় আমরা একত্রিত হই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.