আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিলিয়ন ডলার মিসটেক....

মন ভাল নেই... নিজের দায়িত্ব অধিক সততা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে গিয়ে মিলিয়ন ডলারের ভুল করে ফেললেন জার্মানের ডর্টমান্ডের একটি মিউজিয়ামের ক্লিনার। সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ওই জাদুঘরের ক্লিনারটি একটি কাঠের তৈরি শিল্পকর্মকে এতই যত্ন সহকারে পরিষ্কার করলেন যে, এখন আর তা চেনার উপায় নেই। প্রতিদিনের মতো ওই ক্লিনার তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় হঠাৎ তার চোখে পড়ে ‘হোয়েন ইট স্টার্টস ড্রিপিং ফ্রম দ্য সিলিং’ ভাস্কর্যটির গায়ে কয়েকটি বাদামী রঙের দাগ। তখন তিনি তা পরিষ্কার করে ফেলেন।

কিন্তু এর পর দেখা যায়, ওই দাগ উঠে যাওয়ায় ভাস্কর্যের চেহারাই পুরো পাল্টে গেছে। এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের ওই ভাস্কর্যটিকে এখন কেউই চিনতেই পারছে না। হোয়েন ইট স্টার্টস ড্রিপিং ফ্রম দ্য সিলিং’ নামের এই ভাস্কর্যটি ১৯৮৭ সালে তৈরি করে ছিলেন মার্টিন কিপেনবার্জার। তিনি ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে লিভার ক্যান্সারে মারা যান। এরপর থেকে তার তৈরি শিল্পকর্মগুলোর কদর এবং দাম অনেক বেড়ে যায়।

আর এই ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে কাঠ দিয়ে। যেখানে দেখা গেছে, কাঠের অনেকগুলো তক্তা আড়াআড়িভাবে রেখে বড় একটি চৌকা ঘরের মতো তৈরি করা হয়েছে এবং নিচে একটি কাঠের বোল রাখা আছে। বোলটি একটু কালচে রঙের আর ময়লা। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, উপরের তক্তা থেকে বৃষ্টির পানি একটু একটু করে পড়তে পড়তে এক সময় রঙ ফিকে হয়ে গেছে বোলটির, বৃষ্টির পানি শুকিয়ে দাগ পড়ে গেছে তাতে। আর এই ফিকে হয়ে যাওয়া বোলের বাদামী রঙই কাল হয়ে দাঁড়ালো ভাস্কর্যটির জন্য।

ডর্টমান্ডের ওই জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ ওই ক্লিনারের নাম মিডিয়াকে জানায়নি। তারা জানিয়েছে, ওই ক্লিনার ইচ্ছা করে কিচু করেনি। তার দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে, ভুল করে দুর্ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছে। তাই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধেধ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে যে, এই ভাস্কর্যের আসল মালিক যদি ওই ক্লিনারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন, তাহলে তাদের কিছু করার নেই। আসল মালিক চাইলে, আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা আদালতের কাছে শাস্তিও চাইতে পারেন। তিনি ওই ক্লিনার বা জাদুঘর-উভয়ের নামেই মামলা করতে পারেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.