আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্রষ্টার অস্তিত্ব !!! ২

বিজ্ঞানীরা জগৎ অস্তিত্বশীল এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে ৪টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন যার বাইরে কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। যথাঃ (১) জগৎ হলো একটি স্বপ্ন বা কল্পনা মাত্র। (২) জগৎ সত্ত্বাহীনতা থেকে এমনিতেই তৈরী হয়েছে। (বস্তুবাদীরা বলেন, জগৎ কাকতালীয়ভাবে বা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়েছে) (৩) জগতের কোন সূচনা নেই, এটি ছিল, আছে এবং থাকবে। (৪) জগৎকে সৃষ্টি করা হয়েছে বা এটি কারো দ্বারা সৃষ্ট।

(১) প্রথম মতবাদটি অর্থাৎ “জগৎ হলো একটি স্বপ্ন বা কল্পনা মাত্র” একটি অস্বাভাবিক মতবাদ হলেও অনেক চিন্তাশীল ব্যক্তি এব্যাপারে চিন্তা করে বিষয়টিকে অহেতুক জটিল করেছেন কিন্তু জট খুলতে পারেননি (সম্ভবও নয়)। কারণ, এর অর্থ হলো আপনি, আমি, আমরা কেউ নেই। সবই স্বপ্ন বা কল্পনা মাত্র। আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান, ঘটমান সবকিছুই হলো স্বপ্ন বা কল্পনা। কোন কিছুরই কোন অস্তিত্ব নেই।

সবই অস্তিত্বহীন। যাই হোক, মতবাদটি যারা তৈরী করেছিলেন পরবর্তীতে তারাই বাতিল করেছেন। (২) “ জগৎ সত্ত্বাহীনতা থেকে এমনিতেই তৈরী হয়েছে। ” জগৎ অস্তিত্বহীনতা থেকে তৈরী হতে পারে কি না, তা জানতে কারো কাছে যাওয়ার দরকার নেই,আপনিই যথেষ্ট। কোন কিছু এমনিতেই তৈরী হতে পারে কিনা,তা আমরা আমাদের আশ-পাশের বস্তু দেখেই বুঝতে পারি।

কোন বস্তু নিজেকে নিজে তৈরী করেনা। এ মতবাদে বলা হয়েছে- কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিলনা। আবার আমরা দেখছি সবকিছুই আছে। তাহলে এসকল প্রাণী ও বস্তুগুলোকে তৈরী করেছে “অস্তিত্ব হীনতা” নামক একটি অবস্থা ???(!!!) শুধু তৈরীই করেনি, গোটা মহাবিশ্বে নিখুঁত একটি সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে সবকিছুই নিয়ম মাফিক চলছে, কোথাও কোন গন্ডগোল নেই। যে বিষয়ের বা যার অস্তিত্বই নেই সে আবার অস্তিত্ব তৈরী করে কিভাবে ? যাইহোক সত্ত্বাহীন অবস্থা থেকে যদি সকল প্রাণী ও বস্তু তৈরী হয় তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকে স্বাধীন, প্রত্যেকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেছে বা হয়েছে, যেহেতু এদেরকে অন্যকেউ সৃষ্টি করেনি।

তাই যদি হয় তাহলে গোটা মহাবিশ্বের সু-নির্দিষ্ট, অপরিবর্তনীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা থাকার কথা ছিলনা। ‘যত প্রাণী তত স্রষ্টা,যত বস্তু তত স্রষ্টা’ হলে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র চিন্তা দিয়ে অবশ্যই ব্যাপারটা বুঝতে পারতাম । কারণ- বস্তু,প্রাণী কারো অধীন না হবার কারনে এবং প্রত্যেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার কারনে প্রতিনিয়ত তাদের মত চলতো এবং প্রতিদিন কয়েকবার করে সবকিছু ধ্বংস হতো। যাইহোক কোন বস্তু,প্রাণী নিজেকে নিজে তৈরী করেনি, করতে পারেনা, ব্যাপারটা স্পষ্ট। মতবাদটি চরম ভুল।

(৩) তৃতীয় মতবাদ হলো- “জগতের কোন সূচনা নেই, এটি ছিল, আছে, থাকবে। ” যদি বলা হয় জগৎ কেন ছিল ? এ মতবাদ থেকে উত্তর আসবে -জগৎ ছিল তাই ছিল(আজগুবি উত্তর)। জগৎ কেন আছে ? উত্তর হলো- ‘জগৎ আছে তাই আছে অথবা ছিল তাই আছে। ’ জগৎ কেন থাকবে ? উত্তর হলো- ‘জগৎ থাকবে তাই থাকবে অথবা ছিল তাই থাকবে অথবা আছে তাই থাকবে। ’ জগৎ কেউ তৈরী করেনি এবং তৈরী করার প্রয়োজনও নেই।

যখন কিছুই ছিলনা তখন কি ছিল ? উত্তর হলো- “কিছুই ছিলনা” এমন অবস্থাটাই ছিলনা, এটা তৈরী অবস্থায় ছিল সবসময়। “তৈরী থাকা অবস্থাটা” কিভাবে তৈরী হলো বা কে তৈরী করেছিল ? উত্তর হলো-কেউ তৈরী করেনি,এটি এমনি এমনি তৈরী হয়েছে। এ মতবাদেও কিন্তু একটা ব্যপার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা হলো,সবকিছূই নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেছে। পদার্থ বিজ্ঞানীদের মতে যার সৃষ্টি আছে,তার ধ্বংস আছে (ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে তার সবই নশ্বর,অবিনশ্বর কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্ত্বা,যিনি মহিমাময়,মহানুভব। ” আল-কুরআন,৫৫ঃ২৬-২৭)কিন্তু এ মতবাদীরা বলে কোন কিছুই সৃষ্টি হয়নি ধ্বংসও হবে না।

“কোন কিছুই সৃষ্টি হয়নি, সবকিছু ছিল তাই আছে”(!) এ ব্যাপারটা আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না, আপনি পারলে বুঝে নেন, কিন্তু আপনি তা পারবেন না কারণ- এটি অবাস্তব,আজগুবি,অসত্য। সত্যি বলতে কি,এরা নিজেরা নিজেদের কাছে পরাস্ত। (৪) জগতকে সৃষ্টি করা হয়েছে বা এটি কারো দ্বারা সৃষ্ট। আমাদেরকে এটা বুঝতে মহাজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন হয় না, কারণ আমরা সকল প্রাণী ও বস্তুর সীমাবদ্ধতা দেখেছি বা তাদের সীমাবদ্ধতা আছে তা জানি। পূর্বে আমরা স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য জেনেছি।

স্রষ্টা সীমাবদ্ধ হতে পারে না। স্রষ্টা হতে হবে অসীম, অনাদী ও অনন্ত। কোন কিছুকে শুরু হতে হলে, সেখান থেকেই শুরু হতে হবে। অর্থাৎ ঘটনা যেখান থেকেই শুরু হোক না কেন, তা শুরু করার জন্য স্রষ্টার শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে। আর স্রষ্টার শুরু কোথা থেকে এ প্রশ্ন করলে আবারও সেই একই কথা বলতে হচ্ছে, যদি স্রষ্টা কোথাও থেকে শুরু হন, তাহলে তিনি স্রষ্টা নন।

তিনি যেখান থেকে শুরু হচ্ছেন বা জন্ম নিচ্ছেন তিনিই স্রষ্টা। তার মানে, আমরা এর পেছনে কোনভাবেই যেতে সক্ষম হচ্ছিনা এবং এমন একটি অবস্থা বা সত্ত্বা সবসময় উপস্থিত থেকে যাচ্ছে, যেটি হচ্ছে - স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনাদী, অনন্ত, অসীম এবং যেখান থেকে সবকিছুর শুরু। (এ কারনে “আল্লাহকে কে তৈরী করেছে ?” এ বিষয়ে গবেষণা করতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিষেধ করেছেন এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এর সঠিক উত্তর তোমরা পাবেনা। মূলতঃ একারনেই “ঈমান” নামক একটি বিষয়ের গুরুত্ব প্রধান। আল্লাহ এজন্যই তাঁর বিধাণ ‘ইসলামের’ ভিত্তি করেছেন ‘ঈমান বা বিশ্বাস’, তবে অবশ্যই এ বিশ্বাসের যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।

আল্লাহতায়ালা বলেন, “যখন কিছুই ছিলনা তখন ছিল তোমার প্রভূর সত্ত্বা”, এটিই যুক্তিসঙ্গত)। বস্তু বা প্রাণী নিজেকে নিজে সৃষ্টি করতে পারে না বা পারছে না। তার অর্থ এদেরকে কেউ সৃষ্টি করেছে বা করে থাকে বা এরা কারো দ্বারা সৃষ্ট । এ ব্যাপারে পূর্বে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, প্রখ্যাত এবং অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা শেষোক্ত এই মতবাদটিই সমর্থন করেন (যদিও বিধান মানার ক্ষেত্রে অনেকের আপত্তি আছে)।

কারণ, মানুষকে আল্লাহতায়ালা সত্যের অনুকূল করে সৃষ্টি করেছেন বা সত্যকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা দিয়েছেন, সত্য খুঁজে পাবার উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তাই সে তার চিন্তা শক্তিকে যদি যথাযথভাবে কাজে লাগায় তাহলে তার পক্ষে স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়া বা তার অস্তিত্ব বুঝতে পারা মোটেও কঠিন ব্যাপার নয়। আমরা আল-কুরআন অধ্যায়ন করলেও চিন্তার যথাযথ উপাদানগুলো পাই। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার উপাদান থেকে, অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুরুপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে, অতঃপর সেই জন্ম বিন্দু থেকে সৃষ্টি করি জমাট রক্ত, জমাট রক্ত থেকে একটি আকারহীন পিন্ড তৈরী করেছি, পরে সেই পিন্ড থেকে হাড় সৃষ্টি করেছি এবং পরে সেই হাড়কে মাংস দ্বারা ঢেকে দিয়েছি। অতঃপর তা থেকে নতুন জীব সৃষ্টি করেছি। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকর্তা এরপর একদিন তোমরা মৃত্যু বরণ করবে এবং আবার কেয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পূণরুত্থিত হবে”(আল-কুরআন,২৩ঃ ১২-১৬) “হে নবী ! আপনি বলে দিন,তোমরা এমন কিছুর ইবাদত করে চলেছ- তোমাদের কোন ব্যাপারে সাহায্য বা ক্ষতি করার কোন সাধ্য যাদের নেই।

আল্লাহই সর্বশ্রোতা এবং যিনি সকল সৃষ্ট বস্তুর প্রকৃত অবস্থা অবহিত আছেন। ”(আল-কুরআন, ৫ঃ৭৯) “ওরা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে ,নাকি ওরা(আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছু) নিজেরাই স্রষ্টা ? না কি ওরা সৃষ্টি করেছিল আসমান ও যমিন ?”(আল-কুরআন, ৫২ঃ৩৫) “তিঁনিই আল্লাহ-সৃষ্টিকর্তা,উদ্ভাবনকর্তা,রুপদাতা। ”(আল-কুরআন,৫৯ঃ২৪) আল কুরআনে আমাদেরকে বিভিন্ন সৃষ্ট বস্তু,তাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে চিন্তা করতে বলা হয়েছে,যাতে আমরা সত্যে উপনিত হতে পারি। যেমন- “তোমাদের প্রভূ হলো কেবলমাত্র একজন। তাঁর মত দয়ালু ও করুণাময় আর কেউ নেই।

আসমান ও যমিনের সৃষ্টিতে,দিবস ও রজনীর পরিবর্তনে,মানুষের কল্যানে সমুদ্রগামী জাহাজের মধ্যে ,উষর মর্ত্যরে বুকে প্রাণ সঞ্চারনার্থে আকাশ হতে বর্ষিত বৃষ্টিতে ,পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে থাকা বিচিত্র প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে, বায়ুর ঘূর্ণনে, আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী আল্লাহর আজ্ঞাবহ মেঘের মধ্যে -এই সবকিছুর মধ্যে নিদর্শণ রয়েছে সেইসব মানুষের জন্যে, যারা তাদের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগায়। ”(আল-কুরআন, ২ঃ১৬৩-১৬৪) “(হে নবী !) মানুষকে বলুন সতর্কতার সাথে চিন্তা করতে এবং আকাশ ও মাটি কি কি জিনিসে পরিপূর্ণ তা লক্ষ্য করতে। ”(আল-কুরআন,১০ঃ১০১) “আমি সু-স্পষ্টভাবে তাদের আত্মায়, তাদের নিজেদের মধ্যে এবং বিশ্বজগতে আমার নিদর্শণ ও চিহ্নসমূহ পূর্ণরুপে প্রকাশ করে দিয়ে থাকি যেন, ‘আল্লাহ সত্য’ একথা স্পষ্টরূপে প্রতিয়মান হয়। ”(আল-কুরআন,৪১ঃ ৫৩) “নিশ্চয়ই বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে পৃথিবীতে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও,তবুওকি তোমরা অনুধাবন করবে না ? ”(আল-কুরআন,৫১ঃ২০-২১) অর্থাৎ মানব দেহের সৌন্দর্য ও সামঞ্জস্যের মধ্যে,তার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও সক্ষমতার মধ্যে,এসবের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে,এর সুক্ষ্ম ও যন্ত্রকৌশলের মধ্যে,এর বৈচিত্রময় প্রবৃত্তি ও শক্তির মধ্যে,এর সংবেদনশীলতা,উপলব্ধি ও ইন্দ্রিয়ানুভূতীসমূহের মধ্যে এবং মানুষের চিন্তা ও চেতনার বিশ্ময়কর ক্ষমতা- যে ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও তেমন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি(বহু গবেষণার পরও) এসমস্ত কিছুর মধ্যে রয়েছে অপরিমেয় জ্ঞানের উৎস্য। আল্লাহর অস্তিত্ব খুঁজে পাবার জন্য সুস্পষ্ট লক্ষণ বা নিদর্শণসমূহ আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে বা নিজেদের মধ্যেই রয়েছে।

আমরা চিন্তা গবেষণা করলেই বুঝতে পারি যে,একক স্রষ্টাই সবকিছু তৈরী করেছেন। প্রকৃতির সর্বত্রই একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে যা অনুধাবনের মাধ্যমে স্রষ্টার অস্তিত্ব বুঝতে পারা সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “আমি অচিরেই তাদেরকে আমার নিদর্শনসমূহ তাদের আশেপাশে দেখিয়ে দেব এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও, এমনকি তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এই কুরআন সত্য। তোমার প্রভূর এই বাণী কি যথেষ্ট নয় যে, তিনি প্রত্যেকটি বিষয়ে সাক্ষী রয়েছেন ?”(আল-কুরআন,৪১ঃ ৫৩) “তিনিই প্রভূ , তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। ব্যক্ত ও অব্যক্ত সকল অবস্থাই তিনি অবগত আছেন, তিনি করুনাময় ও দয়ালু।

তিনিই প্রভু, তিনি ছাড়া অন্য কোন স্রষ্টা নেই। তিনি বিশুদ্ধ ও নিখুঁত, নিরাপত্তাদাতা, রক্ষাকারী, মহামূল্যবান, মহা শক্তিশালী, সুক্ষ্ম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান। যে অংশীবাদীতা তাঁর সঙ্গে যুক্ত করা হয় তিনি তা থেকে সম্পুর্ণ মুক্ত ও বিশুদ্ধ। ”(আল-কুরআন,৫৯ঃ২২-২৩) “বিশুদ্ধ ও মহিমান্বিত তোমার প্রভূ ,সর্বশক্তিমান ও অদ্বিতীয়, মানুষ অজ্ঞতাবশতঃ তাঁর সম্পর্কে যা বলে, তিনি তা থেকে সম্পুর্ণ মুক্ত। ”(আল-কুরআন,৩৭ঃ১৮০) “পৃথিবীতে ও আকাশমন্ডলীতে যা কিছু আছে তার সবই আল্লাহতায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সকলকিছুর উপরেই তিনি ক্ষমতাশীল।

”(আল-কুরআন,৫ঃ১২০) “তারা কি তাদের উর্ধ্বস্থিত আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে না, আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং তাতে কোন ফাটল নেই। ”(আল-কুরআন,৫০ঃ৬) এভাবে, আল-কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে চিন্তার উপাদান সরবরাহ করেন যাতে আমরা স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুধাবন করি। আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য অনুধাবন করি এবং সঠিক জীবন বিধান চিনে নেই। “যারা আমার নিদর্শণসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে তারাই হতভাগ্য। তারা পরিবেষ্টিত হবে অবরুদ্ধ অগ্নিতে।

”(আল-কুরআন,৯০ঃ১৯-২০) আমরা স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানলাম, তার অবতীর্ণ করা কিতাবের (আল-কুরআন) নাম শুনলাম এবং কিতাবটির প্রথমে স্রষ্টার নাম দেখতে পেলাম “আল্লাহ”। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই আল-কুরআন যে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত তার প্রমান কি ? স্রষ্টা এক, নাকি একাধিক ? আর এটা কার মাধ্যমে আসলো ? কেন আসলো ? এগুলো যৌক্তিকভাবে জানতে চলুন আমরা সামনে এগিয়ে যায় .......  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।