আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইঁদুরের জিনোমের মধ্যে দীর্ঘায়ু লাভের অমিত সম্ভাবনা

বাঙ্গালি একাই একশ হতে পারে। কিন্তু একশ বাঙালি কখনও এক হতে পারে না...... মাহাবুব আলম নেংটি ইঁদুরের জিনোমের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়ু লাভের অমিত সম্ভাবনা। গর্তে বসবাসকারী লোমবিহীন নেংটি ইঁদুর দীর্ঘায়ু এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে। গবেষকরা প্রাণীটির এই রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হলে তা মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করে পরমায়ু লাভের পথ সুগম করবে। এ সংক্রান্ত এক গবেষণা করেছেন শিকাগোর ইলিনয় ইউনিভার্সিটির টমাস পার্ক।

তিনি লাইভ সায়েন্সকে বলেন, এরা খুবই ভিন্ন প্রকৃতির। জিনোম থেকে নেংটি ইঁদুরের জীবনধারা, আচরণ ও দলবদ্ধভাবে বাস করার অভ্যাস সম্পর্কে জানা যাবে। এই তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা বিবর্তন সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন। স্ট্রোক ও ক্যান্সারের মতো রোগব্যাধির আরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ছাড়াও মানুষের যৌবনের রহস্য উন্মোচন করাও সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন। এই নেংটি ইঁদুর প্রায় এক শ’ সদস্য নিয়ে অবিশ্বাস্য রকমের কম অঙ্েিজন সম্পন্ন ভূ-গর্ভস্থ গর্তে বাস করে।

লোমহীন নেংটি ইঁদুর হচ্ছে একমাত্র শীতল রক্তের সত্মন্যপায়ী প্রাণী, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। এর দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত তীৰ্ন। এরাই একমাত্র সত্মন্যপায়ী প্রাণী যারা মৌমাছির মতো দলবদ্ধভাবে বাস করে। এই প্রজাতির ইঁদুর একটি রানী ইঁদুর প্রসব করে। এই রানীর অধীনেই এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে।

অবশিষ্ট ইঁদুরেরা খাদ্য সংগ্রহ এবং বাসা রৰণাবেৰণের কাজে ব্যবস্থা থাকে। ল্যাবরেটরিতে বেড়ে ওঠা একটি পুরম্নষ নেংটি ইঁদুরের জিনোম বিশেস্নষণ করেন। গবেষকরা ডিএনএ’র দীর্ঘ প্রলম্বিত রাসায়নিক বেসের পাঠোদ্ধার করেছেন। তাঁরা নেংটি ইঁদুরের পূর্ণাঙ্গ জিনোম কোড ব্যাখ্যা করার পর মানুষ ও ধাড়ী ইঁদুরের জিনোমের সঙ্গে এর তুলনা করেন। গবেষকরা দেখতে পান যে, অন্ধকারে থাকতে থাকতে নেংটি ইঁদুরের দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি জিন্স কার্যৰমতা হারিয়ে ফেলেছে।

তারা ‘লোমহীন’ থাকার জন্য দায়ী একটি জিনের বিকৃতিও চিহ্নিত করেন। ধাড়ী ইঁদুর ও মানুষের মাথায় টাকের জন্য দায়ী ঐ জিন এর আগে শনাক্ত করা হয়। এ থেকে সহজেই ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, ঐ নেংটি ইঁদুরগুলো কিভাবে তাদের লোম হারিয়েছে। নেংটি ইঁদুরের জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে এখন মানুষের স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাক সম্পর্কে অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে, যা ঐসব রোগ নিরাময়ে অবদান রাখতে পারে। উলেস্নখ্য, স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাক হলে মানুষের দেহের অংশবিশেষে অঙ্েিজনের ঘাটতি দেখা যায়।

নেংটি ইঁদুরগুলো কিভাবে কম অক্সিজেনের মধ্যে বেঁচে থাকে তা গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা স্ট্রোক ও হার্টের রোগীদের চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্য পাওয়ার আশা করেছেন। সূত্র: সত্যের সহযাত্রী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.