আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটবেলার কৌতুহলই অণুপ্রেরণা : অ্যাডা ইয়োনাথ

বিজ্ঞানকর্মী অ্যাডা ইয়োনাথ। ২০০৯ সালের রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। জন্ম ইসরায়েলে ১৯৩৯ সালের ২২ জুন। নোবেলপ্রাইজডটঅর্গকে দেওয়া তার অটোবায়োগ্রাফির নির্বাচিত অংশের ভাষান্তর করেছেন সমরিজৎ ঘোষ। [সকালের খবর-এর বিজ্ঞান পাতা থেকে তুলে দিলাম।

] আমার জন্ম জেরুজালেমের এক দুঃখী পরিবারে, ১৯৩৯ সালে। আরও দুটো পরিবার ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের সঙ্গে মাত্র চার ঘরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতাম আমরা। শৈশবের স্মৃতি বলতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার ভগ্ন শরীরের কথা। আর মনে পড়ে প্রকৃতির নিয়মকানুন বোঝার জন্য নিজের ভেতরের বিস্ময়কর ব্যাকুলতার কথা। কষ্টের জীবনযাপনও আমার কৌতূহলকে দমাতে পারেনি।

আমি যখন পাঁচ বছরের পিচ্চি, সে সময়ই আমি আশপাশের জগৎ নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করি! আমার প্রথম পরীক্ষণ ছিল আমাদের সরু বেলকনিটার উচ্চতা মাপা। সেও আবার ঘরের আসবাবপত্র ব্যবহার করে! একটা টেবিলের ওপর আরেকটা টেবিল উঠালাম। তার ওপর উঠালাম একটা চেয়ার। এরপর চেয়ারের ওপর বসালাম একটা টুল। কিন্তু শেষাবধি ছুঁতে পারিনি ছাদ।

কারণ তার আগেই আমার বানানো ‘স্থাপত্য’ (টুলের ওপর) থেকে ধপাস করে পড়ে গেলাম নিচ তলার মেঝেতে! তারপর আর কি-আমার একটা হাতও গেল ভেঙে! বাবা-মা দুজনেরই বেড়ে ওঠা ধার্মিক পরিবারে। বাবা ইহুদি ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন। মা মূলত সংসার সামলানোয় ব্যস্ত থাকতেন। আমার বয়স তখন ১১। অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে চিরতরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন বাবা।

এরপর সংসার চালনায় হিমশিম খাচ্ছিলেন মা। ফলে মাকে সহযোগিতা করতে কাজের দায়িত্ব ঘাড়ে নিই আমি। ঘরদোর, বাসন-পোশাক সব পরিষ্কার করতাম। পাশাপাশি আমার চেয়ে ছোট শিশুদের প্রাইভেট পড়াতাম। তবু মা-মেয়ে মিলে আমরা দুজন পরিবারের খরচ জোগাতে ব্যর্থ হই।

ফলে এক বছর পর মা সিদ্ধান্ত নিলেন তেলআবিবে চলে যাওয়ার। ওখানে আমার মাসি থাকতেন। হাইস্কুলের পাঠ আমি সেখানেই নিই। আর নিজের জীবনের দুঃখ-কষ্ট ভুলে মা আমাকে সাহায্য করেছেন যেন, শেখার স্বপ্নটা আমার পূর্ণ হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।