আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রূপকথার দানো

http://farm5.staticflickr.com/4084/5106907209_d4c9a50a8b_z.jpg শাপলা বড়ুয়া গ্রিক রূপকথার সেই দৈত্য-দানবের কথা কার না মনে পড়ে। যারা সিংহ ও ছাগলের মুখভঙ্গিমা নিয়ে বীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকত আর ঠিক পেছন থেকে ফুঁড়ে বের হয়ে আসত কোনো বিষধর সাপের মাথা। আর লড়াইয়ের সময়টিতে দেখা যেত এক ভয়াবহ কাণ্ড। সিংহ-ছাগ মাথা নিয়ে এক দানো ভীষণ আক্রোশে ভারি পাখানা ফেলতে ফেলতে মুখ দিয়ে আগুনের হল্কা ছেড়ে দিয়ে বাধিয়ে দিত যেন এক ধুন্ধুমার কাণ্ড! আর তেমনি নাকি দেখতে এই খাড়াই নাকের কামিরারা। কেননা এদের তরবারির মতো বিশাল সূঁচালো নাক দেখে যে কারোই মনে হতে পারে অন্য কোনো প্রাণীর শরীরই যেন জুড়ে বসেছে কালো ও বাদামি-ধূসর কামিরাদের গায়ে।

এমনকি এদের এই বিটকেলে নামটিও এসছে গ্রিক শব্দ থেকে। যার অর্থ কিনা রূপকথার দানো। তবে কামিরাদের যত কেরামতি সব সেই খাড়াই নাক দিয়েই। এই নাকের জোড়েই এরা পাকড়াও করে ছাড়ে শিকারকে। এদের ঘ্রাণশক্তিও তেমনি প্রখর।

কোথাও কোনো শিকারকে ঘুর ঘুর করতে দেখেছি কী সঙ্গে সঙ্গে জেট বিমানের মতো হাজির হয় সেখানে। অমনি মুখে পুরে নিয়ে সেদিনের মতো সেরে নেয় নিজেদের জলখাবার। আর এদের খাবারের ফর্দটিও বেশ সাধারণ। সমুদ্রের তলদেশের যত ছোট মাছ আর স্কুইড আছে সেগুলো হলেই হলো, তেমন কিছুরই দরকার পড়ে না এদের। তবে ছেলে কামিরারা কিন্তু দেখতে মেয়েদেও চেয়ে বেশ ছোট।

প্রায় ৬ জাতের খাড়াই নাকের কামিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এ পৃথিবীজুড়ে। থাকেও প্রায় ২০০-২০০০ মিটার গভীর সমুদ্রের তলদেশে। ২-৪.৬ ফুটের এ মাছেদের দেখলেও যে কারো চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে নিশ্চিত। তেলচিটচিটে শরীর, বিশাল লম্বা চেটাল নাক আর মাথার ঠিক কাছ বরাবর কুচকুচে কালো চোখ, যেন সাগরতলেরই কোনো কিম্ভূতকিমাকার প্রাণী। শুধু দেখতেই নয়, ওদের পিঠের ডানাটাও যেন বিষের থলি।

তাই কামিরাদের কেউ ছুঁয়েছে কী আর রক্ষা নেই। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু অবধারিত। তাই এরাও সুযোগ বুঝে শত্রুদের ঘায়েল করতে কাজে লাগায় এই ডানাটিকে। দেখতে হাঙ্গরের মতো না হলে কী হবে, পণ্ডিতরা কিন্তু হাঙ্গরেরই কোনো দূরের আত্মীয় বলে স্বীকার নিয়েছেন এদের। সেজন্যই বুঝি আফ্রিকানরা এদের আরেক নাম দিয়ে বসেন ‘হাঙ্গরের প্রেতাত্মা’।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।