আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রূপকথার রাক্ষস নয়

কাজ-কাজ আর কাজ। ক্ষমতার আগ্রাসন হতে মুক্তি।
রূপকথার সেই রাক্ষসদের কথা মনে পড়ে তোমাদের? যাদের মাথা কাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেই রক্ত থেকেই গজিয়ে উঠত অগণিত রাক্ষস। আর এই রাক্ষসদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে রীতিমতন ঘাম ছুটে যেত রাজপুত্তরদের। এমনই শক্ত প্রাণ ছিল এদের! আর রূপকথার সেই রাক্ষসদের মতোই যেন এই স্টাররা।

যাদের কোন শুঁড় কাটা পড়েছে কী সঙ্গে সঙ্গে সেই শুঁড় থেকেই ফুঁড়ে বের হয় আরো একটি স্টার ফিশ। তবে এদের দেখলে তোমাদের রাক্ষস বলেই মনে হবে না। অবিকল আকাশের তারা যেন। যেজন্য পন্ডিতরাও এদের নাম দিয়ে বসেন স্টার ফিশ। শরীরের মাঝখানে বিশাল এক চাকতি আর চাকতিজুড়ে অনেকগুলো শুঁড়।

একেকটি শুঁড়ের আবার বাহারি রং। তবে এই মাছের চাকতিটা এমনই সাদা যে, মনে হবে সমুদ্রের নিচে তারাদের মেলা বসেছে। আমরা যেমন রাতের আকাশে তারা দেখতে পাই ঠিক তেমনি রাতেই এদের সকল বিচরণ। অনেকটা নিশাচর মাছ বলতে পার স্টারদের। সমুদ্রের যত প্রবাল পাথর আর মৃত প্রাণীদের খোল-নলচে আছে, সেখানেই থাকে এরা।

মাথা গোঁজার জন্য এদের বেশ নিরাপদ আশ্রয়ও এই প্রবালগুলো। কেননা শত্রুরা চাইলেও স্টারদের বাড়ির আশেপাশে ঘেঁষতে সাহস করে না। যদি কোনভাবে ধারেকাছে ঘেঁষলো তো অমনি প্রবালের বিষ-কামড়ে একেবার আইটাই অবস্থা হয়ে যায় বেচারাদের। এরাও তখন নিশ্চিন্তে খোল-নলচের ভিতর দিনের সময়টা কাটিয়ে রাতে বেরিয়ে আসে। শুধু কী ঘুমানো, খোল-নলচে খেয়ে সমুদ্রের পানিকেও পরিষ্কার রাখে ওরা।

আর এদের পানাহারের ফর্দটাও নেহাৎ কম নয়। যেজন্য এদের উদরপূর্তির জন্য সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া ও কচ্ছপ না হলে যেন চলেই না। তবে রাতের অন্ধকারই শিকারের যত খোঁজ করে বেড়ায় এরা। আর কোথাও কোন শিকার দেখতে পেয়েছে কী অমনি শুঁড় দিয়ে ঢুকিয়ে নেয় চাকতির মধ্যে। পরে কোন এক অলস সময়ে চাকতি থেকে খানাগুলো মুখে নিয়ে এসে চিবুতে থাকে মনের আনন্দে।

তবে কি জানো এদের কিছু প্রজাতি আছে যারা প্রথমেই ছেলে হয়ে জন্ম নেয়। পরে এই ছেলে মাছই কিনা বদলে গিয়ে হয়ে যায় মেয়ে স্টার ফিশ। প্রায় ২০০০ প্রজাতির স্টার ফিশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই পৃথিবীজুড়ে। বিশেষ করে আটলান্টিক, প্রশান্ত, ভারতীয়, আর্কটিক ও দক্ষিণ মহাসাগরেই এদের বেশী দেখা মেলে। শাপলা বড়ুয়া
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।