আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ভাষণ নিয়ে এক বিকৃত ইন্দ্রিয় আদীরসবানের গবেষণা

ইসলামের বিধান মেনে যারা চলতে চান, ইসলামের বিধানকে যারা সমর্থন করেন বা ভালবাসেন তাদেরকে একশ্রেণীর প্রতারক মুসলমান অহরহ তাচ্ছিল্য এবং ব্যঙ্গ করে পত্র-পত্রিকায় লিখে থাকেন। এমন কি ইসলামের অনুসারী নেতৃবৃন্দের ছবিগুলোকেও তারা বিকৃত করে ছাপে। এদেরকে নতুন করে চেনাবার দরকার নেই, সবাই এদেরকে চেনে। এরা মূলত: ইসলামী নাম রাখে, তার কারণ হলো এদেশের সহজ-সরল মুসলমানদেরকে ধোকায় ফেলে তাদের কাছে ইসলাম ও ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দকে চারিত্রিক ভাবে বিকৃত ও নষ্ট করে তুলে ধরা, আসলে ইসলাম সম্পর্কেই তাদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলা। ঐ সব নামধারী মুসলমান যারা ইসলামের চরম শত্রু এদেরকে চিহ্ণিতকরণের কাজ শুধু এদেশেই নয় বরং মুসলিম বিশ্বে বর্তমানে নেই।

তবে এই চিহ্ণিতকরণের কাজ সম্ভবত তাবুক যুদ্ধের সময় শুরু হয়েছিল। পরবর্তী কতশত বছর পর্যন্ত তা চলেছিল তা আমার জানা নাই। তবে এটা নিশ্চিত এই ধরণের প্রতারক ও ভন্ড মুসলমানরা প্রায় সব মুসলিম দেশেই ক্ষমতাধর অথবা ক্ষমতাধরদের একান্ত কাছাকাছি অবস্থান করে এবং বিভিন্ন প্রকার ক্ষমতা ব্যবহার করে এরা মূলত ইসলাম ও মুসলমানদের চরম ক্ষতি করে। তবে ইহুদীগোষ্ঠির সঙ্গে একাত্ন হয়ে এরা মুসলিম নেতৃবৃন্দকে যেভাবেই হোক কলংকিত করে এবং একটা জনসমর্থন আছে এটা বিশ্ববাসিকে দেখায় এবং বৃটিশ আমলে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের পর বৃটিশরা যেমন মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে অসংখ্য আলেম শ্রেণীকে ফাঁসী দিয়েছিল, এরাও সেই একই পদ্ধতিতে এদের উদ্দেশ্য সফল করে যাচ্ছে। যাতে বিশ্ববাসি ধরে নেয় বিচারে অপরাধী সাব্যাস্ত হয়েছে বলেই ফাঁসী হয়েছে অথবা শাস্তি হয়েছে।

যাই হোক বর্তমানে বাংলাদেশে পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি এখন ইসলামী নেতৃত্বকে কলংকিত করার জন্য গবেষক বের হয়েছে। তাদের গবেষণার মান এবং যুক্তি যাচাই না করেই পত্রিকায় তা ছাপা হচ্ছে। বলা বাহল্য সেই ইসলাম বিরোধী পত্রিকাতেই। তপন মাহমুদ নামে এক বিকৃত ইন্দ্রিয় আদীরসবান গবেষণা করেছেন মওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী নাকি ওয়াজ মহাফিলে পুরুষদের আকৃষ্ট করতে নারী বিষয়ক নানান কথা বলতেন। কিছু কিছু কথা বা অংশ তিনি উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

যেমন মাওলানা বলেছেন, মানুষের চোখ খুব নান্দনিক জিনিষকে দেখতে পিয়াসী। এর জন্য ফুলের দিকে মানুষ বেশি তাকায়। ময়লার দিকে তাকায় কম। এটা মানুষের ফিতরাত। এটা মানুষের প্রকৃতি।

সুন্দর জিনিষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া মানুষের ফিতরাত। এজন্য যাতে আকৃষ্ট হতে না পারে সে জন্য বোরখাটা সাদামাটা হওয়া উচিত। ’ এরপর পর্দা সম্পর্কে এবং পর্দার সুফল সম্পর্কে বক্তব্য আছে। এখানে গবেষক বলছেন, মানুষের দৃষ্টি বলতে তিনি পুরুষদের বুঝিয়েছেন। আর নারীকে সুন্দর জিনিষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

একটা গঠনমূলক সুস্থ সমাজের অন্যতম ভিত্তি রচনার যে উপস্থাপনা , তাকে কদর্য হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। মাওলানা পর্দার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, প্রতিটি সুস্বাদু এবং সুন্দর ফলকে আল্লাহ নিজেই পর্দার মধ্যে সৃষ্টি করেছেন। যেমন আম কলা ইত্যাদি। এগুলো পর্দাহীন করে অর্থাৎ খোশা ছিলে বিক্রি করলে কেউ কিনতো না। এইভাবে তিনি উপমা দিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সত্যকে প্রমাণের জন্য বা আবিষ্কারের জন্য প্রকৃতির মধ্যকার নিদর্শন থেকে জ্ঞানীদেরকে খুজতে বলেছেন। মওলানা সাঈদী সম্ভবত সেই পথই অবলম্বন করেছেন। সম্ভবত দর্শক-শ্রোতার মধ্যে বহু সংখ্যক নারীর উপস্থিতি ছিল। আর এধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজকরাই যে কোন বক্তা মওলানাকে অনুরোধ করেন যে মা-বোনরা যাতে পর্দা করে, সে সম্পর্কে হুজুর একটু বক্তব্য রাখবেন। হুজুররা সাধারণত সেভাবেই বক্তব্য পেশ করেন।

গবেষক এটাকে ওয়াজ মহাফিলে নারীকে আকর্ষন করার যুক্তি খাড়া করেছেন। এবং এটাকে ধর্ম ব্যবসা বলেছেন। অথচ বিষয়টি ইসলামের একটি মৌলিক বিষয়। এ কি ধরণের গবেষক, কত নিকৃষ্ট তার আত্মা, কত দুর্গন্ধময় তার রুচিবোধ, কত পাপিষ্ঠ তার জন্মকাল ভাবাই যায় না। গবেষকের এই সামান্য পর্দা করার কথা শোনাতেই তার ইন্দ্রিয় রস টগবগ করে ফুটে উঠেছে।

অর্থাৎ গবেষক তপন মাহমুদ যে আলোচনা করেছেন তাতে মনে হয়েছে তিনি একজন যৌনবিকার গ্রস্ত মানুষ। মানে ফ্রয়েডের মত কুকুরের যৌনান্দ্রীয়ও লোভনীয় এই তত্বে বিশ্বাসী। এখানে যদি প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের নারী বিষয়ক একটা কবিতা তার কানে যেত তবে মনে হয় তার আত্নমেহন হয়ে যেত। আর এই সব মানসিক বিকার গ্রস্ত লোকদের গবেষক সাজিয়ে তাদের নিকৃষ্ট লেখা যে পত্রিকাওয়ালারা ছাপছে তাদের বুঝা উচিৎ পত্রিকা শুধু ইন্দ্রিয়বাদী লোকরা পড়ে না, উন্নত আত্মা বিশিষ্ট লোকজনও পড়ে। শুধু ঘৃণা ঘৃণা ঘৃণা ছাড়া উক্ত যৌন গবেষক এবং যৌন চেতনাবৃদ্ধিকারক পত্রিকাওয়ালাদের প্রতি আর কিছুই জানানোর নাই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।