আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওলানা সমাচার



পরকীয়া প্রেমের টানে গভীর রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের ঘরে প্রেমিক মামা শ্বশুর। প্রেমিকার স্বামীর উপস্থিতিটের পেয়ে বেড়া ভেঙ্গে জীবনে রক্ষা পেল মাওলানা জিল্লুর রহমান। সরে জমিনে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সীচা গ্রামে মৃত- তোফাজ্জাল হোসেন মাওলানার পুত্র ২ সন্তানের জনক জিল্লুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী রুহুল আমিনের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী আফরুজা বেগমের দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়া প্রেমসহ অবৈধ মেলামেশা চলে আসছিল। এদের চলাফেরায় সংশয় দেখা দেয়ায় রুহুল আমিন ২ জনের প্রতি সন্দেহ করতে থাকেন। দিনের পর দিন তাদের আচরণে সন্দেহের দানা ঘণিভুত হতে থাকলে এক পযর্ায়ে প্রেমিকার স্বামী তার স্ত্রীকে চট্রগ্রামের কাজের কথা বলে ৫/৭ দিন পূর্বে কৌশলে বাড়ী ছাড়া হন এবং রাতে বাড়ীতে এসে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে হাতে নাতে ধরার জন্য বাড়ীর চার পাশে আত্ম গোপন করে ওঁৎ পেতে থাকেন।

ঘটনার ৩ দিন পূর্বে গভীর রাতে মাওলানা জিল্লুর রহমান ঘর থেকে মধুপান করে বের হয়ে গেলেও প্রেমিকার স্বামী গাছ থেকে নামতে নামতে সে চলে যায়। এ থেকে সন্দেহের দানা আরও জোড়াল হতে থাকে পরে গত রবিবার গভীর রাতে রুহুল আমি রান্না ঘরের বেড়া ফাঁক করে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক মামা শ্বশুরকে ধরার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এক পর্যায় রাত ১১ টার দিকে মাওলানা জিল্লুর রহমান বাড়ীতে প্রবেশ করে দরজায় টোকা দিলে প্রেমিকা ভাগিনা বৌ আফরুজা বেগম দরজা খুলে দিয়ে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে মনোরঞ্জন করতে থাকে। এ সময় রুহুল আমিন এসে ঘরের দরজায় তালা ঝুলে দিয়ে চিৎকার করতে থাকলে বোয়ালী সিনিয়র মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক মাওলানা জিল্লুর রহমান ঘরের টিনের বেড়া ভেঙ্গে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এ সময় রুহুল আমিন প্রেমিক জিল্লুর রহমানকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।

প্রেমিক যাবার সময় প্রেমিকার ঘরে তার পায়ের জুতা রেখে যায়। শত শত মানুষের মাঝে প্রেমিকা আফরুজা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান, জিল্লুর কিভাবে ঘরে ঢুকছে তাহা আমি জানিনা, তবে আমার স্বামীর উপস্থিতি টের পেয়ে আমি নেমপো জলে দেখি আমার পাশে জিল্লুর মাওলানা। এ সময় সে বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। এ বিষয়ে জিল্লুর রহমানের সাথে ফোনে কথা হলে সে জানায়, রুহুল আমিন বাহির থেকে কাজ করে বাড়ী ফিরে আমার পাওনা ৫ হাজার টাকা দেয়ায় কথা বলে আমাকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঘরে তালা লাগায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে পলায়ন করে প্রাণ রক্ষা করি।

বর্তমানে জিল্লুর রহমান ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।