আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিবহন চাঁদাবাজি বৈধ করার উদ্যোগ

ভালবাসি একই সঙ্গে ফেরিঘাট ও পার্কিং এলাকার টোল আদায়ের ইজারা মালিক ও শ্রমিকদের দেয়ার সুপারিশ পরিবহন চাঁদাবাজিকে বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সাথে ফেরিঘাট এবং পার্কিং এলাকার টোল আদায়ের ইজারা পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগে চাঁদা আদায়ে নিয়ন্ত্রণ আসবে। অন্যদিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, চাঁদাবাজিকে কখনো বৈধতা দেয়া যায় না। জানা গেছে, পরিবহন খাতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ এবং বৈধ চাঁদা আয়ের জন্য সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

নীতিমালার সুপারিশে বলা হয়েছে, পরিবহন খাতে দেশব্যাপী মালিক-শ্রমিক, বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মালিক-শ্রমিক, বিআরটিএ ও পুলিশ বিভাগের আন্তরিকতা এবং সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে মালিক-শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার জন্য পরিচালনা ব্যয় প্রয়োজন বিধায় নীতিমালায় ন্যূনতম পরিচালনা ব্যয় বা চাঁদা আদায়ের বিধান রাখা যেতে পারে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নীতিমালার সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাস, মিনিবাস ও আন্তঃজেলার পরিবহনের গাড়ি থেকে নিম্ন হারে চাঁদা বা পরিচালনা ব্যয় আদায় করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিক সমিতি- সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, শ্রমিক ইউনিয়ন- সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন- সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং কোনো টার্মিনাল শ্রমিক কমিটি গঠিত হলে স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়ন ও ফেডারেশন আলোচনা করে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা চাঁদা নিতে পারবে।

এছাড়া দূরপাল্লাগামী আন্তঃজেলা গাড়ির ক্ষেত্রে শুধু জংশন স্থলে (জেলা সদর বা বৃহত্তর বন্দর) মালিক সমিতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা এবং শ্রমিক ইউনিয়ন সর্বোচ্চ ২০ টাকা আদায় করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে নিজ নিজ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। জেলা পর্যায়ের মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন লোকাল বাস, ট্রাক বা পরিবহন থেকে পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ করে নিজেদের গাড়ি থেকে চাঁদা নিতে পারবে। তা কোনোক্রমেই ৫০ টাকার ওপরে হবে না। তবে তা উভয় সংগঠনের সিদ্ধান্তে হতে হবে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে গাড়ি রিকুইজিশন করায় মালিক-শ্রমিক নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। এই হয়রানি বন্ধের জন্য সমিতির মাধ্যমে সরকারি কাজে গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি টাকা প্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়ায় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রিকইজিশনকৃত গাড়ির মালিককে ১ হাজার টাকা এবং শ্রমিকের মজুরি ও খোরাকি দেয়া হবে। এই অর্থ সংগ্রহের জন্য গাড়িপ্রতি ২০ টাকা চাঁদা আদায় করা যেতে পারে। সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, এক জেলায় একাধিক স্থানে কোনোক্রমেই চাঁদা বা পরিচালনা ব্যয় আদায় করা যাবে না।

কোনো জেলায় একাধিক সংগঠন থাকলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থান নির্ধারণ করবে। নিজেরা সমঝোতা করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংগঠন যে সিদ্ধান্ত দিবে তা সবাইকে মেনে নিতে হবে। বাইপাস ব্যবহারকারী যানবাহন যদি সংশ্লিষ্ট জেলার মধ্যে স্টপেজ না দেয় তবে সে জেলার মালিক বা শ্রমিক সংগঠন কোনো প্রকার চাঁদা আদায় করতে পারবে না। ট্রাকের ক্ষেত্রে জেলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সিদ্ধান্তে স্থানীয় গাড়ির পরিচালনা ব্যয় বা চাঁদা নির্ধারণ করতে সুপারিশে বলা হয়েছে। ট্রাকের ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডিং ও আন-লোডিং পয়েন্ট রয়েছে।

এসব পয়েন্ট থেকে এবং যেখানে ট্রাকের যাত্রা শুরু ও শেষ প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট সংগঠন সর্বোচ্চ ১০ টাকা চাঁদা আদায় করতে পারবে। তবে একটি ট্রাক থেকে প্রতিদিন একবারের বেশি চাঁদা আদায় করা যাবে না। সুপারিশ অনুযায়ী ট্রাক মালিক সমিতি বা শ্রমিক সংগঠনের কমিটি তাদের সদস্যদের কাছ থেকে গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী চাঁদা আদায় করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই প্রতিদিন ২০ টাকার বেশি হবে না। একটি সংগঠন ১০ টাকা করে চাঁদা নিতে পারবে।

হালকা যানবাহন বা অটোরিকশার ক্ষেত্রে সুপারিশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাঁদা আদায় করতে পারবে। তবে তা ২০ টাকার বেশি হবে না। রুট পারমিট দেয়ার ক্ষেত্রে আগের মতো কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির সনদপত্র বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফেরিঘাটের টোল এবং পার্কিং ফি আদায়ের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনের নামে ইজারা দেয়া হয়। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যানবাহনের মালিকদের কাছ থেকেই টোল ও পার্কিং ফি আদায় করে।

তাই এসব ইজারা অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে যানবাহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনকেই দেয়া যেতে পারে। এতে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইজারাদারদের অধিক টাকা আদায়ের সুযোগ থাকবে না। সংগঠনও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বিআরটিএ, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধির সমম্বয়ে একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় সহযোগিতা করবে বলে বলা হয়েছে।

্বর্তমান নীতিমালা তৈরির জন্য গৃহীত সাব-কমিটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে বলেও সুপারিশ করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খানকে। আর সদ্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের। এছাড়া সংগঠন ও টার্মিনাল পরিচালনা সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ও তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সমম্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমূল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চাঁদা আদায় ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং বৈধ চাঁদা বা পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ এবং সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

সে কমিটি একাধিক বৈঠকের পর একটি সুপারিশ তৈরি করে। কিন্তু সে সময়কার বিএনপি সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান মহাজোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নির্দেশে সেই সুপারিশ পরিমার্জন ও সংশোধন করে নতুন সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন একটি সেবামূলক শিল্প। এ খাতের প্রায় ৯৮ ভাগ পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি মালিক।

সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার শুরুতে মালিক-শ্রমিক যৌথভাবে এ ব্যবসা পরিচালনা করতেন না। তখন মালিক ছিলেন তার ব্যবসায় আন্তরিক, আর শ্রমিক ছিলেন তার পেশায় আন্তরিক। সে সময় বর্তমান সময়ের মতো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস-মাস্তানি এবং মারামারি-খুনোখুনি ছিল না। শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিক সমিতি বা টার্মিনাল দখলের রাজনীতি ছিল না। কিন্তু দিন দিন এই শিল্পে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অপপ্রয়াস ঘটছে।

এখন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন দখল বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে চাঁদাবাজি শুরু করে এবং চাঁদাবাজি পাকাপোক্ত করার জন্য সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের লালন করে। সময়ের সাথে সাথে এখন তা মহীরুহের মতো ডাল-পালা বিস্তার করছে, যা সংক্রামক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারাই এখন টার্মিনাল, সড়ক ও মহাসড়কে চালাচ্ছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। অথচ তাদের কারোরই পরিবহন খাতে বিনিয়োগ নেই। কিন্তু মালিক-শ্রমিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকদের নির্যাতন এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই মালিকরা চাচ্ছে এ চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। তা না হলে মালিক তার বিনিযোগকৃত পুঁজি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে না। জানা গেছে, সরকার এ চাঁদাবাজি বন্ধ করার পরিবর্তে তা বৈধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্যোক্তা সরকারের একজন মন্ত্রী বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ওই মন্ত্রীই তার প্রভাব খাটিয়ে সরকারকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, এখন যেভাবে বেপরোয়া চাঁদাবাজি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একটি নীতিমালা প্রয়োজন।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নীতিমালার সুপারিশে বলা হয়েছে, পরিবহন শিল্প সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে এবং মালিক-শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার জন্য বেশ কিছু খরচাদি হয়। এই খরচাদি মেটানোর জন্য বিধিসম্মতভাবে প্রত্যেক সংগঠন নিজ নিজ সদস্যদের কাছ থেকে আবার কখনো কখনো দূরপাল্লার যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালনা ব্যয় বা চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। এটাকে কোনোভাবেই অবৈধ চাঁদা বা চাঁদাবাজি বলা যাবে না। জানা গেছে, ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে একদিকে যেমন সিটি সার্ভিস ও হালকা যানবাহন চলাচল করে। তেমনি দূরপাল্লার যানবাহনও পরিচালিত হয়।

জেলা পর্যায়েও লোকাল সার্ভিসের পাশাপাশি রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন। এসব পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন। তা যেমন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রয়েছে, তেমনি জেলা পর্যায়েও রয়েছে। দেশের প্রায় মালিক সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির অন্তর্ভুক্ত। ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত।

দেশব্যাপী শ্রমিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। এসব মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রম পরিদপ্তরে আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন করা। এসব মালিক-শ্রমিক সংগঠন পরিচালনা ব্যয় মেটানোর জন্য পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। এর বাইরেও বহিরাগত ও স্বার্থন্বেষী মহল চাঁদা আদায় করে থাকে। এর সাথে পুলিশের চাঁদাও যোগ হয়।

প্রকারান্তরে এসব চাঁদার টাকা যাত্রীদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। এর ফলে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যায়। সূত্র জানায়, মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়ন পরিচালনার জন্য অফিস ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতা, মৃত, দুস্থ ও আহত মালিক-শ্রমিকদের অনুদান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা খরচসহ দাপ্তরিক খরচাদি, বিভিন্ন ধরনের খরচ মেটাতে বিপুল অঙ্কের টাকা দরকার। নিয়ম অনুযায়ী এসব ব্যয় মেটানোর জন্য সংগঠনের সদস্যরা চাঁদা দেবেন। দেশের অন্যান্য সংগঠনের ক্ষেত্রে তাই হয়।

ব্যতিক্রম শুধু পরিবহন খাতে। এখানে নিজেরা চাঁদা না দিয়ে প্রতিদিন সরাসরি পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সড়ক পরিবহন সংগঠন ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল বা ছোট গাড়ির স্ট্যান্ডগুলোতে অবৈধ চাঁদা আদায় ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারই হচ্ছে সব গোলযোগের উৎস। তবে এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, পরিবহন খাতে নীরব চাঁদাবাজি সব সরকারের আমলেই হচ্ছে। চাঁদাবাজির এ টাকা সরকারের ওপর মহল পর্যন্ত যায়।

যে কোনো অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায় দুর্নীতি। তাই পরিবহন খাতের চাঁদাবাজিকে সরকার বৈধতা দিতে পারে না। তিনি বলেন, পরিবহন খাতে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে তা প্রকারান্তরে জনগণের পকেট থেকেই নেয়া হচ্ছে। এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ায়। সংগঠন চালাতে হলে সংগঠনের সদস্যরা চাঁদা দিবে।

সংগঠন চালাতে পরিবহন থেকে চাঁদা নেয়া কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, এরকম নীতিমালা হচ্ছে কি না তা তার জানা নেই। তবে সরকার যদি এরকম নীতিমালা করে তা ঠিক হবে না। কারণ সরকার কোনো চাঁদাবাজিকে বৈধতা দিতে পারে না। তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যকরী সভাপতি এবং নীতিমালা প্রণয়নে গঠিত সাব-কমিটির সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা।

তিনি বলেন, বর্তমানে অবৈধভাবে অনেকেই চাঁদা নিয়ে থাকে। সরকার সংগঠনগুলোর চাঁদাকে বৈধতা দিলে কেউ আর অবৈধ চাঁদা নিতে পারবে না। এতে চাঁদার পরিমাণও কমে যাবে। তাই তারা সংগঠনের জন্য আদায়কৃত চাঁদার সরকারি বৈধতা চান। অপর সদস্য এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, বর্তমানে একটি বাস বা ট্রাককে দৈনিক ২শ' থেকে ১২শ' টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।

আর সরকার চাঁদাকে বৈধতা দিলে এর পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে নেমে আসবে। যা মালিকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।