আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিবহন সেক্টরের দুর্নীতি



পরিবহন সেক্টরের দুর্নীতিঃ -: ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটে সিএনজিচালিত বাস ভাড়ার চিত্র :- রুট দূরত্ব প্রকৃত ভাড়া আদায়কৃত বাড়তি ভাড়া ভাড়া মতিঝিল শাপলাচত্বর থেকে প্রেসক্লাব ১·৪ কিমি ১·৬৮ টাকা ৮ টাকা ৩৭৬% শাহবাগ থেকে মতিঝিল শাপলাচত্বর ৩·২ কিমি ৩·৮৪ টাকা ৮ টাকা ১০৮% মগবাজার মোড় থেকে মতিঝিল শাপলাচত্বর ৪·৪ কিমি ৫·২৮ টাকা ১০ টাকা ৮৯% মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে প্রেসক্লাব ৭·১ কিমি ৮·৫২ টাকা ১৫ টাকা ৭৬% ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটে সিএনজিচালিত বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে যে দুর্বিনীত দৌরাত্ম্য আর জনদুর্ভোগ ঘটছে তার চিত্র এটি। সম্প্রতি একটি দৈনিক সংবাদপত্র (দৈনিক সমকাল) ধারাবাহিকভাবে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরীণ পরিবহনের দুর্ভোগ, দুঃশাসন, অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেছে। এই চিত্রটি সেখান থেকেই নেয়া। মতিঝিল শাপলাচত্বর থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩৭৬% বেশি। অথচ এসব দেখার কেউ নেই।

না যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, না বিআরটিএ, না পুলিশ প্রশাসন। তাহলে কি এই নৈরাজ্য চলবেই? আমাদের গণপরিবহনের মালিক এবং শ্রমিকরা এই জননির্যাতন অব্যাহত রাখবেনই? সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়েই নির্বিকার থাকবে সরকার? ১/১১ পরবর্তী দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ঝাপ্টায় আঘাত পড়েনি পরিবহন সেক্টরে। বিআরটিএ'র মতো প্রতিষ্ঠানে হাত দেয়নি দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কলাকুশলীরা। জনগণকে স্বস্তি দিতে পরিবহন সেক্টরের দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর দুবৃত্তায়নেরও কোনো প্রতিকার হয়নি। মানুষ আগের চেয়ে বড় বেশি কষ্টে আছে পরিবহন সেক্টরের নানা বিশৃঙ্খলায়।

তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানো। আর সেবা সে তো সোনার হরিণ! চড়া বাজারমূল্যের সঙ্গে গণপরিবহনের এই অন্যায় এবং অযৌক্তিক ভাড়া নাগরিক জীবনকে দুর্বিষহ করছে। গণপরিবহন খাতে দরকার এখন সরকারি মনিটরিং। নির্বিকার থাকাটা সরকারের কর্তব্য নয়। বুঝতে হবে তা।

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সক্রিয়তা, কার্যকর উদ্যোগ এখন অনেক বেশি জরুরি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।