আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আগ্রহী চীন

বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চীনের আগ্রহের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জিয়ানি বলেছেন, এ বিষয়ে তার সরকার বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। ঢাকায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে এক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, "এই বন্দর নির্মাণে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহের কথা জানিয়েছে। তবে বল এখন বাংলাদেশের কোর্টে। " বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এই আলোচনার আয়োজন করে। দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ সরকার সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিন পর্যায়ে ২০৫৫ সালের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এই বন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক কনসালটেন্টস। অবশ্য বন্দর নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দেশের প্রতিশ্র"তি আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজারুল কায়েস বলেন, "চীন বা অন্য কোনো দেশকে অবকাঠামোগত প্রস্তাব দিতে না পারায় গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য এখনো কোনো অর্থ সহায়তার অঙ্গীকার পাওয়া যায়নি। " চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, "আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ সরকার সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।

তবে আমরা নির্মাণ, পরিচালনা ও পরিবহন (বিওটি) মডেলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। " চীনা কোম্পানিগুলো সারা বিশ্বেই বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে 'অন্য কোনো' উদ্দেশ্য নেই। ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীনের বাঁধ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে আমাদের নীতি হলো ভাটির দেশের সরকারের (ভারত) সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া, যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। " নদীর প্রবাহ রূদ্ধ করতে নয়, জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চীন ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, "পত্রিকায় এ প্রকল্প নিয়ে এমন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যাতে জনমনে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।

" চীন আঞ্চলিক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী জানিয়ে ঝ্যাং জিয়ানি বলেন, "বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়েও আমাদের অবস্থান ইতিবাচক। " অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অুনসন্ধানে আগ্রহী হলেও তারা সে সুযোগ পাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.