আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিশপ্ত নবম শতক মায়া সভ্যতার পতনের কারণ এবং মধ্য আমেরিকার বৃষ্টিবনের বিপর্যয়ের ইতিবৃত্ত

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ মধ্য আমেরিকার বিস্ময়কর অরণ্যসভ্যতা মায়া সভ্যতার মুখোশ। মেক্সিকো, বেলিজ, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর- বর্তমান সময়ের এই পাঁচটি দেশে ওই সুবিশাল অরণ্যসভ্যতাটি বিস্তৃত ছিল। আজ যেখানে গুয়েতেমালা কিংবা হন্ডুরাসের ঘন বৃষ্টিবন (Rainforest) তার উঁচু উঁচু গাছপালা আর গা ছমছমে অন্ধকার ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে-এককালে বিস্ময়-জাগানিয়া মায়া সভ্যতাটি সেখানেই গড়ে উঠেছিল ।

বিশাল বিশাল সব নগর, তার রাস্তাঘাট, তার ভবন, কারুকার্যময় উপাসনালয়, আকাশচুম্বি পিরামিড, এবং এরই পাশাপাশি উন্নত সামাজিক প্রতিষ্ঠান, উন্নতি লিখনপদ্ধতি, গণিত ও জ্যোর্তিবিদ্যায় অকল্পনীয় অগ্রগতি -এসবই ছিল মায়া সভ্যতার বিস্ময়কর দিক। মেক্সিকো, বেলিজ, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর-এর মানচিত্র। এসব দেশেই মায়া সভ্যতার উৎপত্তি হয়েছিল এবং বিকাশ লাভ করেছিল । আজও মায়ারা এসব দেশের বৃষ্টিবনে বাস করে। বর্তমানে এদের সংখ্যা প্রায় ষাট লক্ষের মত।

মায়া সভ্যতার জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল বর্তমান লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্যের সমান। এক বর্গ মাইলে গ্রামীণ জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ৫০০ এবং নগরে ২০০০। তবে মায়া সভ্যতায় চাকা এবং ধাতুর ব্যবহার ছিল না। যে কারণে সভ্যতাটির বিশাল বিশাল সব কাঠামো আমাদের বিস্ময়ের উদ্রেক করে। মায়া সভ্যতা প্রকৃত অর্থে অরণ্য সভ্যতা।

অরণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল মায়ারা। যে কারণে অরণ্য ধ্বংসের প্রক্রিয়ার মধ্যে নিহিত ছিল এই সভ্যতার পতনের কারণ। প্রায় ৬০০ বছর ধরে এই ঐশ্বর্যময় মায়া সভ্যতা অব্যাহত ছিল। অনেকেই মায়া সভ্যতাকে রহস্যময় মনে করে। এ প্রসঙ্গে একজন লেখক মন্তব্য করেছেন: Aliens didn't build these ancient urban structures, but the Mayan culture that did is so remote (roughly 1500 years old) that their architecture feels alien. Partly this is because of the mysterious collapse of the urban Mayan empire, in which people abandoned the cities full of these giant monuments, moving into smaller cities and farm regions where the descendants of Mayans live to this day. মায়া নগর যখন উন্নতির শীর্ষে।

ছবিটি একটি চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া। খ্রিস্টীয় ৯০০ শতকের পর মায়া সভ্যতার নগরগুলির পতন সূচিত হয়। এই পতনে অনেকে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করে। অনেকের মতে মায়া সভ্যতা ছিল ভিনগ্রহের সভ্যতা। Even the esoteric thinking propose that in 830 AD, The Maya Elites returned to their Dimension, at the end of Bak'tún9. (এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত দেখুন) মায়া সভ্যতার ধ্বংসস্তুপ।

আসলে মায়া সভ্যতার পতনের পিছনে বাস্তব কারণ ছিল। কারণ একটি নয়, বরং বেশ ক’টি। যেমন, যুদ্ধবিগ্রহ, রোগব্যাধি, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি সেই সঙ্গে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ এবং পরিবেশ বিপর্যয়; যেমন অতিরিক্ত খরা কিংবা বনভূমি উজার হয়ে যাওয়া। সৌখিন গবেষক রিচার্ডসন গিল অবশ্য মায়া সভ্যতার পতনের কারণ হিসেবে অনাবৃষ্টিকে দায়ী মনে করেন। এবং এ ধারণাটি তিনি তাঁর The Great Maya Droughts: Water, Life, and Death (University of New Mexico Press, 2001)বইতে উপস্থাপন করেন।

পেশায় ব্যাঙ্কার রিচার্ডসন গিল ১৯৬৮ সালে দক্ষিণ মেক্সিকোর চিচেন ইজটার ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করে অভিভূত হয়ে পড়েন এবং মায়া সভ্যতার পতনের কারণ অনুসন্ধানে ব্রতী হন। গিল-এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে । পঞ্চাশের দশকে ভয়াবহ অনাবৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি । এতে করে তাঁর মনে একটি প্রশ্ন উঁকি দেয় - নবম শতকে মায়ারা ভয়াবহ খরার সম্মূখীন হয়েছিল? লক্ষ্যাধিক মানুষ অধ্যূষিত সভ্যতায় হঠাৎ করেই কেন লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেল? নগরগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ল। কি এর কারণ? কুড়ি শতকের প্রারম্ভে মেক্সিকোর মায়া অঞ্চলে (ইউকাটন ) এক টানা তিন বছর অনাবৃষ্টি হয়েছে- মেক্সিকো শহরের জাতীয় মহাফেজখানায় এমনও তথ্য পেলেন গিল।

মায়া সভ্যতার ধ্বংসস্তুপ। স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক আমলেও খরায় প্রচুর শষ্যহানি ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। সে কথাও জানা গেল। গিল আরও জানতে পারলেন মায়া সভ্যতার পতন সময়ে উত্তর ইউরোপে অত্যধিক শৈত্য প্রবাহ বিদ্যমান ছিল। এ প্রসঙ্গে গিল লিখলেন: One of the high pressure systems in the north Atlantic had moved towards Central America at the start of the 20th century. This was a time of both drought in the Maya areas and extreme cold in northern Europe. (The Great Maya Droughts: Water, Life, and Death) ... ওদিকে ইউনিভারসিটি অভ ফ্লোরিডার একটি গবেষক দল মেক্সিকোর ইউকাটন- এর চিচানকানাব হ্রদের তলায় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালায়।

হ্রদের তলার কাদা পরীক্ষা করে জানা গেল গত ৭০০০ বছরের মধ্যে নবম শতক ছিল সবচে শুস্ক! রিচার্ডসন গিল-এর The Great Maya Droughts: Water, Life, and Death বইটির প্রচ্ছদ। কোথাও বনভূমি উজার হয়ে গেলে তার সঙ্গে দীর্ঘকালীন খরার একটি যোগসূত্র রয়েছে। কেননা গাছ কেটে নিলে সে জায়গায় ঘাসের জমি তৈরি হয়। এতে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস- এর মতো যায় বেড়ে । সাধারণত গাছের পাতায় এবং ডালে জমে থাকা পানিতে সূর্যরশ্মি পড়ে বাস্পীভবনের ফলে সে পানি উবে যায়।

বৃক্ষশূন্য বনে প্রখর সূর্যরশ্মি সরাসরি মাটিতে পড়ে এবং খরার মতন পরিস্থিতি তৈরি হয়। কাজেই অতিরিক্ত খরার কারনে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে নবম শতকে মায়ারা নগর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। মায়া সভ্যতার ধ্বংসস্তুপ। নবম শতকের দিকে মায়া অধ্যূষিত বৃষ্টিবনে পরাগরেণু হ্রাস পেয়েছিল। এর বদলে আগাছার রেণু বৃদ্ধি পেয়েছিল।

মায়াদের বৃষ্টিবন এভাবে হয়ে উঠেছিল বন্ধ্যা এবং অনুর্বর। গাছ ছাড়া মাটির ক্ষয় তীব্র হয়ে উঠেছিল। মাটির উর্বর উপরিভাগ ক্ষয়ে গিয়েছিল । মাটির এই পরিবর্তনশীলতা যে তাপমাত্রাকে ৬ ডিগ্রির মতো বাড়িয়ে দিয়েছিল- সে কথা আগেই বলেছি। এর জন্য মাটি হয়ে উঠেছিল শুস্ক।

যার জন্য ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। শষ্যের অভাবে চিচেন ইটজা, পালানকুয়ে, উক্সমাল, তিকাল কোপান ইত্যাদি মায়া নগরগুলি নগরে অনাহার প্রকট হয়ে উঠেছিল। নবম শতকের মায়াদের কঙ্কাল পরীক্ষা করে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ অপুষ্টির প্রমাণ পেয়েছেন। মায়ারা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করত বাড়তি উষ্ণতার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরণ (প্যার্টান) গিয়েছিল বদলে । যার ফলে পানির স্বল্পতা প্রকট হয়ে উঠেছিল।

ভূপৃষ্ঠের নীচের পানি ৫০০ ফুট গভীরে নেমে গিয়েছিল। কাজেই মায়া নগরের কুয়াগুলি হয়ে উঠেছিল পানিশূন্য। তৃষ্ণায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছিল। অন্যান্য সভ্যতার মতোই মায়ারাও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। তারা বৃষ্টির পানি বড় বড় পাথরের জলাধারে জমিয়ে রাখত।

কাজেই বৃষ্টিপাতের প্যার্টান বদলে যাওয়াতে তার প্রভাব মায়া নগরে মারাত্মক হয়ে দেখা দিয়েছিল এবং ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল । এ প্রসঙ্গে Is history repeating itself? নামে একটি প্রবন্ধে একজন গবেষক লিখেছেন, Changes in cloud formation and rainfall are occurring over deforested parts of Central America today, studies show. মায়ারা হরিণ তাপির শূকর খরগোশ বানর এবং টার্কিসহ নানা ধরণের পাখি থেকে আমিষের প্রয়োজন মেটাত। উজার হয়ে যাওয়া বৃষ্টিবনে পশুপাখির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল বলে তারা অপুষ্টির শিকার হল। একজন মায়া নারী রুটি তৈরি করছেন। তবে এসব উপকরণ নবম শতকে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছিল।

নবম শতকের মায়াদের কঙ্কাল পরীক্ষা করে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ অপুষ্টির প্রমাণ পেয়েছেন। খরা এবং বনভূমি উজার হয়ে যাওয়া ছাড়াও নবম শতকে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধবিগ্রহ রোগব্যাধি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রকট হয়ে উঠেছিল। তবে মায়া সভ্যতার পতনের মূলে ছিল পরিবেশ বিপর্য। এ প্রসঙ্গে এখন গবেষক লিখেছেন,Now we think that all these things played a role, but that they were only symptoms. The root cause was a chronic food and water shortage, due to some combination of natural drought and deforestation by humans. টর্টিলা রুটি। মায়াদের প্রধান খাবার।

স্প্যানিশ ভাষায় এর নাম ‘ছোট কেক’। আসলে টর্টিলা হল ভুট্টার রুটি। একজন মায়া কৃষক তার ক্ষুধার্ত রাজার জন্য প্রথম টর্টিলা তৈরি করেছিল-এমনই এক প্রবাদ প্রচলিত ছিল মায়াসমাজে। অভিশপ্ত নবম শতকে এসব প্রবাদও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। এবার আমরা মায়া সভ্যতার পতনের বিষয়টিকে সামান্য ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করব।

মায়া সমাজে সর্বদেবতা কুকুলকান ছিলেন আরাধ্য দেবদা। সর্বদেবতা কুকুলকান ছিলেন স্বর্গ এবং রাজা দূত। মায়া রাজা দৈব শক্তির অধিকারী এবং স্বর্গের প্রতিনিধি মনে করত। মায়ারা যেভাবে বিশ্বকে দেখত তার মধ্যেখানে ছিল রাজার এই স্বর্গীয় অধিকার। কাজেই যখন সমাজে খরা আকাল শষ্যসঙ্কট দেখা দিল ত রাজাও পুরোহিতের পরামর্শে নরবলি সংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ দিলেন।

মায়াসমাজে নরবলি প্রচলন ছিল। বছরে ৫০ হাজার বলি দেওয়া হত। এদের অধিকাংশই বন্দি। সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেতে নবম শতকে বলির পরিমান বেড়ে গিয়েছিল। প্রচুর রক্ত দিয়ে দেবতাকে তৃপ্ত করাই ছিল নরবলির উদ্দেশ্য ।

ওদিকে রাজার নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় জনমনে চির ধরল। কেননা নরবলি দিয়ে তো আর পরিবেশের বিপর্যয় রোধ করা যায় না। এভাবে হতাশা থেকে যুদ্ধবিগ্রহ বাড়ছিল। মায়া একটি অখন্ড সাম্রাজ্য ছিল না বরং ছিল বেশ ক’টি স্বাধীন নগররাষ্ট্রের সমষ্টি। চিচেন ইটজা, পালানকুয়ে, উক্সমাল, তিকাল কোপান ইত্যাদি নগরগুলির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল মায়া সভ্যতা।

যে সভ্যতায় এক সময় যুদ্ধবিগ্রহ ছিল ধর্মীয় কৃত্যের অংশ, নবম শতকে যুদ্ধের রূপ বদলে যায়। নবম শতকে কেবল সাধারণ মানুষ নয়, অভিজাতদের বন্দি করে এনে হত্যা করা হত। কাজেই শাসনভার চলে যায় সাধারণ মানুষের হাতে। যার ফলে নগরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই নেতৃত্বশূন্যতা মায়া সভ্যতার পতনের অন্যতম একটি কারণ ।

মায়ারা আজও মেক্সিকো, বেলিজ, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর-এ বাস করে। বর্তমানে এদের সংখ্যা প্রায় ষাট লক্ষের মত। এরা বিভিন্ন মায়া উপভাষায় কথা বলে। পরিশেষে এ প্রশ্নটি উঠতে পারে- আসলেই কি মায়া সভ্যতার পতন হয়েছে? কারও কারও মতে মায়া সভ্যতার পতন হয়নি, রূপান্তর হয়েছে মাত্র। এ প্রসঙ্গে একজন লেখকের বক্তব্য এরকম : I believe it's a great disservice and inaccuracy to the 6 million people who still live in Gutemala, Mexico, and Belize to say that the Maya civilization has disappeared. I believe that the Maya people have continued to hold on to their unique lifestyle throughout hundred of years. বনভূমি উজার হয়ে যাওয়া ছিল মায়া সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ।

১ বর্গ মিটারের পাথরের মেঝের প্লাস্টার তৈরি করতে কম করে কুড়িটি গাছ লাগত। কোনও কোনও পাথর ছিল এক ফুটেরও বেশি ঘন। যা হোক। আজও মধ্য আমেরিকার বৃষ্টিবনের বসবাসকারী মায়ারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মূখীন। কেননা আজও বৃষ্টিবনে সুতীক্ষ্ম কুঠারের নির্মম আঘাত পড়ছে।

বিগত চল্লিশ বছরে যে বৃষ্টিবনের অর্ধেকই উজার হয়ে গিয়েছে। চাষযোগ্য জমির জন্য গাছ কেটে তার ডালপালা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে । ছাই যদিও মাটিকে উর্বর করে, কিন্তু ৩/৪ বছরের মধ্যেই আবার মাটির উর্বরতা যায় কমে । মায়ারা নতুন জমির সন্ধানে অন্যত্র যায়। আবার নতুন করে গাছপালা ধ্বংস করে।

এই অশুভ চক্রটির যেন শেষ নেই। এভাবে চলতে থাকলে, বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০২০ সালের মধ্যে মায়াদের বৃষ্টিবনের ২% থেকে ১৬% অবশিষ্ট থাকবে ... আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেব কি? ছবি। ইন্টারনেট। তথ্যসূত্র। Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link http://www.criscenzo.com/jaguarsun/ideas.html Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।