আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলিঙ্গনে একাকার

ছাত্র মনুষ্যকুল তাদের চূড়ান্ত সুখের সময়ে পোশাক-আশাকের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলে আলিঙ্গনে একাকার হয়। আর এখন আলিঙ্গনাবদ্ধ দুই দেশের মধ্যে সব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলতে যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই যাত্রার শেষে এ ধরনের আলিঙ্গন কি দৃষ্টিকটু ও অশালীন হবে না? বাংলাদেশের সাধারণ শালীন মানুষ কি সেটা সহ্য করবে? ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১-র ফেন্সমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের প্রথম অনুচ্ছেদটি উল্লেখ করতে হবে : বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে যা ভারসাম্যপূর্ণ, টেকটসই এবং উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধিকে নিশ্চিত করবে। উভয় পক্ষ বাণিজ্য ঘাটতি হন্সাস, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণ এবং সড়ক, রেল, নৌপথ, বিমান ও জাহাজযোগে বাণিজ্য ত্বরান্বিত করবে। উভয় পক্ষ যথাযথ অবকাঠামো উন্নয়ন, সমুদ্র বন্দরগুলোর ব্যবহার, বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্খা এবং দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য পরিবহন ব্যবস্খার মানোন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।

লক্ষ্য করুন, এখানেও সড়ক, রেল, নৌপথ, বিমান ও জাহাজযোগে বাণিজ্য ত্বরান্বিত করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, সমুদ্র বন্দরের ব্যবহার, বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্খার কথা বলা হয়েছে। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১-র যৌথ ইশতেহারের ৪১ ও ৪২ অনুচ্ছেদ পড়লেই বোঝা যায় করিডোর বা ট্রানজিট কিংবা ইনডিয়ানদের ভাষায় কানেকটিভিটি দেয়া হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করতে হবে। তবে ধারণা করা যেতে পারে, এই আনুষ্ঠানিকতা ধাপে ধাপে শেষ হবে। প্রথমে আশুগঞ্জে, তারপর মংলায় এবং সবশেষে চট্টগ্রামে।

যৌথ ইশতেহারের ৩৩ থেকে ৪০ অনুচ্ছেদ পড়লে বোঝা যায় করিডোর বা ট্রানজিট পয়েন্ট রূপে ইতিমধ্যেই আশুগঞ্জ রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরায় পালাটানাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্খাপনের জন্য আশুগঞ্জ দিয়ে ইনডিয়ান অতিকায় যানবাহন (ওভারসাইজ ডাইমেনশনাল কার্গো) চলাচল করছে। শোনা যাচ্ছে, আসামে একটি বড় এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজে যন্ত্রপাতিও শিগগিরই আশুগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে নেয়া শুরু হবে। আশুগঞ্জ পয়েন্ট ফুললি অপারেশনাল বা পূর্ণভাবে চালু হওয়ার পাশাপাশি ইনডিয়া চাইছে মংলা সমুদ্র বন্দরকে তাদের উপযোগী করে তুলতে। কলকাতা থেকে কাছে মংলা এবং এই বন্দর এলাকা খুলনা শহরের বাইরে।

প্রাথমিক ভাবে খুলনাবাসীর দৃষ্টি এড়িয়ে মংলার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর সহজেই চট্টগ্রাম শহরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বৃটিশ আমলে সূর্য সেনের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং পাকিস্তানি আমলে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার ক্ষেত্র চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক ভাবে বিদ্রোহের নার্সারি। এখানে ইনডিয়ান উপস্খিতি হবে সবচেয়ে শেষে আশুগঞ্জ ও মংলাকে পুরোপুরি কব্জায় নেয়ার পরে। বলা যায়, আশুগঞ্জে হয়েছে আলিঙ্গনে একাকার হওয়ার বাসরঘর।

তারপর হানিমুন হবে মংলায়। সংসার হবে চট্টগ্রামে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।