আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উত্তর কাফরুল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তির বাবার নামে করার পায়তারা।

১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উত্তর কাফরুল হাই স্কুলের নাম পরিবতর্ন নিয়ে চলছে রাজনীতি। রাজধানির কাফরল থানাধীন উত্তর কাফরুলে অবস্থিত এই স্কুলের কমিটির বতর্মান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজহারুল হক ফেরদৌস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার বাবা আজিজুল হক সাহেবের মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব কোন ভোট বা অন্যান্য সদস্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই পালন করছেন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও আছে সন্দেহ। তিনি এই স্কুলের নাম তার বাবার নামে করতে যাচ্ছেন। যদিও আমাদের দেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটির দায়িত্ব পালন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না।

রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতা থাকলেই সব সম্ভব। এলাকার বেশিরভাগ লোক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন, কিন্তু কেউ সাহস করে বলতে পারছেন না, কারণ তার সাথে বর্তমান এম.পি কামাল আহমেদ মজুমদার এর ভালো সখ্যতা। তার বদ ব্যাবহারে স্কুলের শিক্ষকেরা সহ এলাকার কয়েকজন সুবিধাবাদি লোক ছাড়া সবাই বিরক্ত ও ক্ষুব্দ। শুধু মান সম্মানের ভয়ে কেউ কিছু সরাসরি বলতে পারে না। বোঝেনিতো, ফোন দিলেই চলে আসবে থানার ওসি, শত হলেও বর্তমান সরকারের খাস লোক,এম,পি’র লোক. এই ক্ষমতা নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লিগের ভাবমূর্তি নষ্ঠ করছেন তিনি।

এতো বছরের পুরোনো একটি স্কুলের নাম কোন ব্যাক্তির নামে করা হবে, তাও আবার বিতর্কিত ব্যাক্তি, এটা কেউ কি মেনে নিতে পারবে? গত 21শে ফেব্রুয়ারী সকালে স্কুলে ফুল দিতে এসে এই একই ব্যাক্তির হাতে অপমানিত হোন এলাকার কয়েকটি অরাজনৈতিক তরুন সংগঠনের সদস্য সহ একজন সরকারী অফিসার। যা দৈনিক কালের কন্ঠ সহ বেশ কিছু পত্রিকায় আসে। সেই ব্যাক্তি এতো বছরের পুরোনো এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে তার বাবার নামে করার পায়তারা বেশ জোড়ে সোড়ে করছেন। ইতিমধ্যে মিথ্যে বলে এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে স্বাক্ষর নিচ্ছেন, কেউ বোঝে নি এটা আসলে স্কুলের নাম পরিবর্তনের সম্মতি নামা। যখন সবাই জানতে পারে তখন অনেকটা কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন আওয়ামীলীগের নামধারী এই ব্যাক্তি।

যাকে কখনই আওয়ামীলীগের কোন কর্মকান্ডে দেখা যায়নি। এরা হচ্ছেন সুবিধাবাদি দলের। এদেরকেই সহযোগীতা করছেন বিভিন্ন এম.পি। শুধু তাই নয় বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি এডভোকেট সাহারা খাতুন ও নাকি নিজে বলে গিয়েছেন যে এই স্কুলের নাম পরিবর্তন হবে একজন মৃত ব্যাক্তির নামে, যা বতমার্ন সভাপতি সহ কিমিটির বিভিন্ন লোক বলে বেড়াচ্ছেন। অন্যকোন মহান ব্যাক্তির নামে হলেও এতটা বিতর্ক বা ক্ষোভ সৃষ্টি হতো না।

কাফরুল এলাকার সবাই এ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করছেন যে, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি কোন বিচার বিবেচনা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত কিভাবে দেন! তার বোঝা উচিত, এই স্কুল কোন রাজনৈতিক দলের কিংবা কোন ব্যাক্তির নয়। এই স্কুল কারো বাবার নয়। এই স্কুল কাফরুল এলাকাবাসীর। স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং নানা পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

তাই এ ব্যাপারে কাফরুল এলাকাবাসী এবং এই স্কুলের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ প্রধান মন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এতে বর্তমান সরকার তথা আওয়ামীলীগের উপর এলকাবাসীর আস্থা নষ্ঠ হয়ে যাবে। এ জন্য বিভিন্ন সাংবাদিক ভাইদেরও সহযোগীতা কামনা করছে কাফরুল স্কুলের বর্তমান ও সাবেক ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.