আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালায় কে?’ বিব্রত পররাষ্ট্রসচিব

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালায় কে? এমন প্রশ্নে ইতস্তত করে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের বললেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমার মন্ত্রী চালান। ’ তবে উত্তর দিতে গিয়ে পররাষ্ট্রসচিবের খানিকটা ইতস্তত ও বিব্রত বোধ করছিলেন বলেই সবার কাছে মনে হয়েছে। শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র সচিব। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফর, ট্রানজিট, পানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরের ‘নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বদের’ নয়াদিল্লি যাতায়াত ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পররাষ্ট্র সচিবকে বলা হয়, ‘আসলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালায় কে, এমন প্রশ্ন তো আপনাকে করা যেতেই পারে। ’প্রশ্নটির সহজ ও স্বাভাবিক জবাবটিই পররাষ্ট্রসচিব দিলেন, ‘মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিতভাবেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালান।

’ কিন্তু এরপর তিনি বললেন, ‘দেখুন, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় থাকা বিষয়গুলো অনেক বিস্তৃত, তাই এ ব্যাপারে উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তিত্বদের (কম্পিটেন্ট) কাজে লাগানো হচ্ছে। ’তিনি আরও বলেন, ‘তবে যাই হোক না কেন, সবকিছুই এই তল্লাটের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) ভেতর দিয়েই হচ্ছে। ’পররাষ্ট্রসচিব দাবি করেন, ‘যাই হোক না কেন, আমাদের সবকিছুই জানিয়ে রাখা হয়। ’এরপর পাল্টা প্রশ্নটি শুনে আরও খানিকটা হকচকিয়ে যান পররাষ্ট্রসচিব। জানতে চাওয়া হয়- ‘যোগ্যদেরই যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কী অযোগ্য?’এই প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব পুরোপুরি বিব্রত বলেই মনে হলো পররাষ্ট্রসচিবকে।

তার গলার স্বর ভারী হয়েছে বলেও মনে হয়। তিনি বলেন, ‘দেখুন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রনীতি ও সমঝোতায় (নেগোশিয়েশন) নানান ধরনের ফরম্যাট (কাঠামো) থাকে। এতে নানা ধরনের মত ও ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। ’সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আরেকটি প্রশ্ন ছিল- ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে কে, এ বিষয়ের জবাব কি কিছুদিন পর উইকিলিকসে পাওয়া যাবে?’এর জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘অপেক্ষা করে দেখতে পারেন। ’প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও গওহর রিজভী কাজ করছেন।

গত সপ্তাহে সর্বশেষ এই দু’উপদেষ্টা কলকাতা হয়ে নয়াদিল্লি ঘুরে আসেন। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অর্থ, স্বরাষ্ট্র, ভূমি, পানি সম্পদ, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যদিও এসব বিষয়ের কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ম্যাপ স্বাক্ষর, মনমোহনের সফর, ট্রানজিট, নিজের দক্ষিণ আমেরিকা সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘একটু সময় দিন, এক সপ্তাহ পর মনমোহনের সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.