আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমতি ৪২০

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। আজ একই সংগে বাংলাদেশে দুটি পক্ষ দুটি ঘটনা উদযাপন করছে। আজ বাংলাদেশের স্হপতি শেখ মুজিবের মৃত্যুদিন। অন্য দিকে বিএনপি আজ পালন করছে খালেদা জিয়ার জন্মদিন। যদিও খালেদার এই জন্মদিন নিয়ে খোদ বিএনপি সমর্থকদের মধ্যেও আছে সন্দেহ।

কারন বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুযায়ী খালেদা ১৫ই অগাস্ট জন্মদিন পালন শুরু করেন ১৯৯৩ সনে। তার আগে খোদ খালেদার বর্ননা অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৫ই অগাস্ট নয়। ১৯৯১ সনে প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হয়ে তার নিজের দেওয়া বিবরন অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯শে অগাস্ট। ততকালীন সরকারি পত্রিকা "দৈনিক বাংলা" বাসস এর বরাত দিয়ে তার সংখিপ্ত জীবনী ছাপা হয়। সেই অনুযায়ী খালেদা আরো একটি মিথ্যাচার করেন।

তা হল টার শিক্ষাগত যোগ্যতা। পত্রিকার কপিটি আমার কাছে আছে। স্ক্যান কপিও আছে। কিন্তু এখানে তা লোড করতে পারছি না। এই ব্লগে বিভিন্ন ব্লগার ইতিমধ্যে খালেদার ম্যাট্রিক সারটিফিকেট এখানে পোস্ট করেছেন।

সে সার্টিফিকেট অনুযায়ী খালেডা ম্যাট্রিক পাশ করতে পারেন নি। পাঁচ বিষয়ে ফেল করেছিলেন। কিন্তু তার প্রদত্ত জীবনী অনুযায়ী উনি ম্যাট্রিক ফেল করেও কলেজে পড়েছিলেন, তঅ এক দু বছর নয় দীর্ঘ চার বছর.... দৈনিক বাংলা, ২০শে মার্চ, ১৯৯১ খালেদা জিয়ার সংক্ষিপ্ত জীবনী বেগম খাকেদা জিয়া ১৯৪৫ সনের ১৯শে অগাস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা ফেনীর ফুলগাজীর ইস্কান্দার মজুমদার একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এখানে স্হায়ীভাবে বসবাস করতেন। বেগন জিয়া ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতিয়।

খবর বাসস'র। বেগম জিয়া ১৯৬০ সালে দিনাজপুর সরকারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ও সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হন। কলেজে পড়ার সময় ততকালীন পাকিস্হান সেনাবাহিনীর ক্যপ্টেন জিয়াউর রহমানের সংগে তার বিয়ে হয়। জিয়াউর রহমান পরে বাংলাদেশের রাস্ট্রপতি হন। বিয়ের পর বেগম জিয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৬৫ সালে পশ্চিম পাকিস্হানে তার স্বামীর কাছে চলে যান।

..................................................... কতবড় মিথ্যাবাদি! ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ করেনি আবার কলেজে পড়াশুনা করেছেন। তাও ১৯৬৫ সন পর্যন্ত !! এই চার বছরে কি পাশ দিছেন??? অন্য কোন দেশ হলে এই রকম মিথ্যাবাদি রাজনীতিকদের ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত করে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হত। আমাদের দেশ বলেই সম্ভব। এইসমস্ত ৪২০ আমাদের দেশ শাসন করার সুযোগ পায় , বার বার........। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.