আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাহিদা ও দাম দুটিই বেড়েছে

পবিত্র রমজান মাসে সারা দেশে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপি গ্যাস) চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী এলপি গ্যাস পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। সরবরাহে সংকটের এ সময়ে গ্যাসের দামও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা।
ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, দিনাজপুর ও বরিশাল অঞ্চলের কয়েকজন এলপি গ্যাসের গ্রাহক প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মাস শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই বাজারে এলপি গ্যাসের সরবরাহ-সংকট দেখা দেয়। এখনো তা চলছে।

এসব অঞ্চলের একাধিক ডিলারও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন।
বেসরকারি খাতে এলপি গ্যাস আমদানি ও তা সিলিন্ডারে ভরে বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মংলায় তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্যাস ভরা সিলিন্ডার সরবরাহ নিতে ট্রাকের লাইন বেশ বড় হয়েছে। এটা চাহিদা বৃদ্ধি ও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকার ইঙ্গিত। এ ছাড়া দু-একটি কোম্পানির গ্যাসের মজুত কমে এসেছে। ফলে তাদের সিলিন্ডার বাজারে কম যাচ্ছে।


জানতে চাইলে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক পেত্রেগ্যাস (ক্লিনহিট) কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই রমজান মাসে এলপি গ্যাসের চাহিদা কিছু বাড়ে। এবারও বেড়েছে। এর সঙ্গে এবার ঢাকার কিছু বাড়তি চাহিদা যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে পাইপলাইনের গ্যাসের চাপ কম থাকায় সেখানকার গ্রাহকেরা রমজান মাসে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাসের ব্যবস্থা রাখছেন। অবশ্য ঢাকার যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে নতুন গ্যাস-সংযোগ পেয়েছেন, তাঁরা আগের সিলিন্ডারগুলো ফেরত দিচ্ছেন।

তার পরও চাহিদা কিছুটা বেশি। সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে কখনো হরতালে, কখনো যানজটে।
মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাইদুল ইসলাম এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে। জুন মাসে সৌদি আরামকো থেকে আমদানি করা এলপি গ্যাসের উপাদান প্রোপেনের দাম ছিল প্রতি মেট্রিক টন ৭৪৫ মার্কিন ডলার। চলতি মাসে তা ৭৯৫ ডলারে উঠেছে।


এলপি গ্যাসের অপর উপাদান বিউটেনের দাম জুনে ছিল প্রতি টন ৭৭০ ডলার, জুলাইয়ে হয়েছে ৭৯০ ডলার। বাংলাদেশে ব্যবহূত এলপি গ্যাসে প্রধানত থাকে প্রোপেন। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও দেশের মধ্যে পরিবহন খরচ বেড়েছে। ফলে জুলাইয়ে প্রতিটি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকার মতো বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, দাম বেড়েছে আরও বেশি।

এর কারণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এ জন্য ডিলাররা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দেন। সরকার এ বিষয়টি দেখে না। অথচ বর্তমান সরকারের ঘোষিত পরিকল্পনা হচ্ছে এলপি গ্যাস সহজলভ্য করা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।
দেশে এখন প্রতিবছর এলপি গ্যাসের চাহিদা তিন লাখ টনের বেশি।

সরবরাহ এক লাখ টনের মতো। এর মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার টন বেসরকারি খাতের চারটি কোম্পানি আমদানি করে সিলিন্ডারে ভরে বাজারজাত করে। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া কনডেনসেট (গ্যাসের সঙ্গে উঠে আসা তরল) দিয়ে বছরে প্রায় ২০ হাজার টন এলপি গ্যাস সরকারি কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে দেশে এলপি গ্যাসের উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.