আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডোন্ট মেইক রমাদান এস এন ইটিং কনটেস্ট

লিখতে ও পড়তে আগ্রহী "ডোন্ট মেইক রমাদান এস এন ইটিং কনটেস্ট" শিরোনামে একটি কার্টুন এ্যনিমেশন পেয়ে গেলাম নেটে। এর দু'টি চরিত্র। প্রথমটি হচ্ছে- এক ভদ্র লোক ইফতারির ডালা সাজিয়ে বসেছেন ডাইনিং টেবিলে। টেবিল ভর্তি খাবার (ইফতারী) খেতে খেতে এমন অবস্থা, নড়াচড়া করতে না পেরে শেষতক টেবিলেই শুয়ে পড়েছেন। মাগরিব, এশা এবং তারাবী কোন নামাজেই অংশ নিতে পারেননি।

দ্বিতীয় চরিত্রটি হচ্ছে- মাগরিবের আযান হওয়ার পর হালকা শরবত আর খেজুর খেয়ে মাগরিবের জামায়াতে অংশ নিলেন। পরে এশা এবং তারাবী আদায় করে স্বাভাবিক রাতের খাবার গ্রহণ করে শুয়ে পড়েছেন যেন কিয়ুমুল্লাইল বা তাহজ্জুদ নামাজ এবং সেহরী খাওয়ার জন্য সময় মত শয্যা ত্যাগ করতে পারেন। এ্যনিমেশনটি দেখে ছোট বেলার দেখা একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। এক কোরবাণীর ঈদে আমাদের প্রতিবেশী এক লোক রুটি আর গরুর গোস্ত এমন খাওয়া খেয়েছেন, বসা থেকে আর উঠতে পারছিলেন না। প্রথমে মনে করা হয়েছিল দুষ্টুমি করছেন হয়ত।

পরে যখন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হাউ মাউ করে কান্না শুরু করে দিয়েছিলেন তখন ঘটনা বুঝতে পেরে দুইজন শক্তিশালী লোকের কাধে ভর করে ঐ পেটুক লোকটিকে উঠানের এই মাথা থেকে সেই মাথা বেশ কয়েকবার হাঁটানোর পর একটু একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস পেতে লাগলো। পরে ঐ লোকটি পেটুক খ্যাতি পেয়েছিল। এভাবে অত্যাধিক খেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। তাই বলতে পারি, এনিমেশনে প্রদত্ব প্রথম চরিত্রটি একেবারে কাল্পনিক নয়। এর যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে।

অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের অধিকাংশ রোজাদার বন্ধুর নিকট নানা পদের উপাদেয় ইফতারী দিয়ে ভূঁড়ি ভোজের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। সারাদিন উপোস থেকে সন্ধ্যায় দিনের উপোস থাকাটা পুষিয়ে নেয়ার আয়োজন যেন এটি। অথচ সাওম বা রোজার অন্যতম প্রধান শিক্ষাই হচ্ছে সংযম। একটু ভেবে দেখুন, ইফতারীর সময় আমরা কি সংযম রক্ষা করছি? শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম জনপদেই ইফতারির বাহুল্য পরিলক্ষিত হয়। এই পবিত্র সংযমের মাসে মুসলিম বিশ্বে শুধু ইফতারীর অপচয় যদি কাগজ কলম নিয়ে হিসেব করা হয়, তাহলে দেখতে পাব শত শত কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে এর পরিমান।

না বন্ধুগণ! আমাকে কিপ্টে মনে করে লেখা থেকে চোখ ফিরাবেন না প্লিজ। আমি কিপ্টেমির তালিম দিচ্ছিনা এবং ইফতারীতে স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় আয়োজনের বিপক্ষেও নই। আমাদের অপচয়গুলো এক এক করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি- মেয়ের শ্বশুর বাড়ীতে ইফতারী প্রেরণ : আমাদের অন্যতম সামাজিক কালচার হচ্ছে পারস্পরিক খাদ্য দ্রব্য এবং উপহার সামগ্রী বিনিময়। আত্মীয়-প্রতিবেশীদের মধ্যে এমন বিষয়টি চালু রাখা সুন্নাত এবং প্রতিবেশী আর আত্মীয়দের মধ্যে সু-সম্পর্ক রক্ষার একটি হাতিয়ারও বটে। যেমন : আমার ঘরে কোন ভাল খাবার তৈরী হলে ওখান থেকে কিছু আমার প্রতিবেশীদের মধ্যে মধ্যে বন্টন করলে তারাও এভাবে করবে।

আত্মীয়, বন্ধু এবং প্রতিবেশীদেরকে ইফতার এবং যেকোন সময় খাবারের দাওয়াত দেয়া যেতে পারে। এই দাওয়াতের সংবাদ আগে ভাগে দেয়া হলে দুই যায়গায় ইফতারী তৈরীর অপচয় রোধ করা যায়। আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং বন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যের জন্য কুলোয় এমন পরিমান ইফতারী বা রান্না করা খাদ্য প্রেরণের উদ্দেশ্য থাকলে তা অবশ্যই একদিন আগে জানিয়ে দিতে হবে। যাতে তারাও তৈরী করে না বসেন। খাদ্যের অপচয় রোধে এতটুকু সচেতনতা অবলম্বন করা যায় এবং এটি উচিতও।

আমি সাধারণত এমনটিই করে থাকি। কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক অপচয়টি ঘটে মেয়ের শ্বশুর বাড়ী থেকে প্রেরিত ইফতারীর কারণে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার একটি মারাত্মক ত্রুটি হচ্ছে মেয়ে পক্ষ কর্তৃক ছেলে পক্ষকে তুষ্ট করা। এটি যেন একটি অলিখিত আইন। এই বেআইনী আইনটির কারণে মেয়ের বাপের বাড়ী থেকে শ্বশুর বাড়ীতে কোরবাণীর গরু থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরব যেমন- মহরম, শবে বরাত, শবে কদর এবং রমজানের ইফতারীতে রান্না করা খাদ্যের পরিমান কমপক্ষে রিকশা ভ্যান, ঠেলা গাড়ী এমনকি ট্রাক ভর্তি করে পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে।

গত বছর রমজানের কয়েকটি ঘটনার একটি : আমরা ইফতারী সামনে নিয়ে বসে আছি রোজা খোলার জন্য। এমন সময় এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে অনেকগুলো ইফতারীর আইটেম নিয়ে এক লোক হাজির। আনিত ইফতারীর যে পরিমান তা আমার পরিবারের কমপক্ষে চার দিনের জন্য যথেষ্ট। জিজ্ঞেস করলাম আগে খবর দেয়নি কেন? জবাব পেলাম, ছোট সাহেবের শ্বশুর বাড়ী থেকে এসেছে এসব ইফতারী। এসব ইফতারী যখন এসেছে তখন সকলের ঘরে ঘরে তা তৈরীই হয়ে গেছে, সুতরাং সংবাদ দিয়ে লাভ হতো না।

ইফতারীর যে পরিমান, এসব বিলি বন্টন করতে রাত আট নয়টা বেজে যেতে পারে। তাছাড়া কয়জনকে বলা যাবে যে তোমাদের জন্য ইফতারী পাঠাব? এই বিপুল পরিমান ইফতারী থেকে নিজেরা কিছু গ্রহণ করে বাকীটা ফেলে দেয়া চাড়া আর কোন গত্যান্তর থাকলো না। কারণ রোজা রমজানের দিনে এভাবে বাসী খাবার খেয়ে পেট খারাপ করার কোন ইচ্ছে ছিল না। তাই পরের দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়নি। ফেরৎ দিলে আবার ওনারা মাইন্ড করে বসবেন।

ফেরৎ দেয়া সৌজন্য বহির্ভূত হলেও শিক্ষা দেয়ার জন্য ফেরৎ দেয়া উচিৎ হলেও তা থেকে বিরত থাকলাম। আশ পাশে কোন বস্তি এলাকাও নেই যে তাদেরকে দিয়ে দায় মুক্ত হবো। এই অতিরিক্ত খাদ্য সমূহ নিয়ে আমরা যখন বিপাকে,ঠিক তখনই আনন্দে গদগদ ছোট সাহেবের ফোন এলো। জানতে চাইলেন বাহক সময় মত ইফতারী নিয়ে আমার বাসায় আসতে পেরেছে কি না। তার পর একে একে জাহিরে করতে থাকলেন তাঁর মহান শ্বশুর বাড়ী থেকে আগত এক ট্রাক ভর্তি নানা পদের ইফতারীর বর্ণনা এবং ওসব আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার উদারতা এবং বদান্যতার খোশ খবরী।

তাঁকে নিরাশ করলাম না, খুবই মনোযোগের সাথে তার সব কথা শ্রবণ করলাম। আমার মধ্যে মানুষের কথা ভাল করে শুনার ক্ষুদ্র গুনটির সাথে সাথে ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ বলে দেয়ার তথা অপ্রিয় সত্যটি প্রকাশ করে দেয়ার দোষটিও রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে। তাই ছোট সাহেবের কথা শেষ হলে বেরসিকের মত বলে বসলাম, আপনার শ্বশুর সাহেব একট্রাক ইফতারী পাঠিয়ে কতবড় গুনাহ করেছেন তা ভেবে দেখেছেন কি? আমার পক্ষ থেকে এমন অপ্রিয় কথাটি শুনার জন্য তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। বেশ খানিকটা চুপ থেকে জানতে চাইলেন তা কি ভাবে? আমি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করলাম তাঁর পাঠানো অনেকগুলো খাদ্য অনিচ্ছা সত্বেও ফেলে দেয়ার ঘটনা এবং তাকে বুঝিয়ে বললাম একাজটি শুধু আমি নই, প্রায় প্রত্যেকেই করেছেন। কারণ, কারও জানা ছিল না যে আপনারা ইফতারী পাঠাবেন।

তাই আপনাদের এই অতিরিক্ত ইফতারী গুলোর এই পরিণতির জন্য কি আপনার শ্বশুর বা আপনারা দায়ী হবেন না? আমি আরো বললাম, এতগুলো তৈরী ইফতারী এভাবে নেওয়া আপনাদের মোটেই উচিত হয়নি। ভদ্রলোক আমার সাথে মৌখিক ভাবে একমত হয়েছেন ঠিকই তবে তাঁর অন্তরের অবস্থা আল্লাহই ভাল জানেন। গত বছর পুরা রমজান মাসে বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে আমাদেরকে। এভাবে মেয়ের শ্বশুর বাড়ীতে বিপুল পরিমান তৈরী ইফতারী পাঠানো আমাদের চট্টগ্রাম অঞ্চলে খুব বেশী প্রচলন থাকলেও মোটামুটি সারা দেশেই চালু আছে মুসলিম সংস্কৃতির নামের এই অপসংস্কৃতিটি। এসব করতে গিয়ে মেয়ে পক্ষ মালদার হলেতো কথাই নেই, তাদের বদান্যতা, মহানুভবতা এবং ধনাঢ্যতা প্রকাশ করতে পেরে মহা উল্লাসে উল্লাসিত হন তারা।

কিন্তু খবর হয়ে যায় গরীব এবং মধ্যবৃত্ত শ্রেণীর। একাজটি করতে গিয়ে খাদ্যদ্রব্যের সাংঘাতিক অপচয়ের সাথে সাথে আরো যে প্রশ্নগুলোর অবতারণা হয় তাহলো- এসব ইফতারী শুধুমাত্র মেয়ের বাড়ী থেকে ছেলের বাড়ীতে কেন? ছেলের বাড়ী থেকে মেয়ের বাড়ীতেও নয় কেন? এতে কি এটাই প্রমাণ করা হচ্ছে যে, মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষেরর তুলনায় নিকৃষ্ট, যৌতুক অথবা উপঢৌকন প্রদান করে সমতায় আসতে হবে? অত্যন্ত লজ্জার সাথে বলেতে হয়, বিয়ের সময় বেশীর ভাগ লোভি পাত্র পক্ষ চুক্তি করে নেয় তাদের সমাজ এবং আত্মীয়তার পরিধি যত বড় তত পরিমানে এসব উপঢৌকন পাঠাতে হবে। বিষয়টির প্রতি আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং চালু করতে হবে সহনীয় পর্যায়ের পারস্পরিক উপহার সমগ্রী বা খাদ্যদ্রব্য আদান প্রদানের, যাতে এক পক্ষের উপর আরেক পক্ষের প্রাধান্য পরিলক্ষিত না হয়। রমজানে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়াকে আরো তেজী করার পেছনে আমাদের রোজাদারদের অবদানও কম নয়। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আট দশ দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তি পর্যায়ে বিপুল পরিমান ভোগপণ্য স্টক করার মহোৎসব।

এটার নাম দেয়া হয় 'রোজার বাজার'। এভাবে 'রোজার বাজার' করতে গিয়ে কৃত্রিম চাহিদা এবং বাস্তব যোগানের যথেষ্ট তারতম্য সৃষ্টি হওয়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যায়। একসাথে এত বেশী বাজার সওদা না করে চাহিদানুসারে ক্রমান্বয়ে করলে এমন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও লাগবো হতো। রমজান মাস এলেই আমাদের দেশে বেগুন আর কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে কয়েকগুন বেড়ে যায়। ব্যাপারটি যেন এমন, রোজা রেখে বেগুনি আর মরিচ্চা না খেলে যেন রোজাই কবুল হবেনা! ইফতারও একটি ব্রেক ফাষ্ট, নিত্য নৈমত্যিক ব্রেক ফাষ্ট এর সাথে এর প্রধান পার্থক্য হলো সময় মতো রোজা ব্রোক করে ইফতার করলে ছওয়াব হয় এবং সাধারণ খাবারের সাথে কিছু খেজুর আর সরবত রাখা যায়।

তাহলে যে নিত্যনৈমত্বিক ব্রেক ফাষ্টের জন্য আমরা লংকা কান্ড করে বসি না, ইফতারীর জন্য এত মহা আয়োজন কেন? তাহলে কি আমরা সত্যিই ধরে নিয়েছি রোজা মানে ইফতারীতে যত খুশী তত খাও জাতীয় কিছু? শুধু কি আমাদের দেশ? আরব দেশের অবস্থাও একটু বলে নেই। এখানে মসজিদ সমূহে ইফতারীর ব্যবস্থা রাখা হয়। ধরে নিলাম মুসল্লিদের জন্য মসজিদের ইফতারীর ব্যবস্থাটা মন্দ হয় না। তাছাড়া রেডক্রিসেন্টের তত্বাবধানে বিশাল বিশাল তাঁবু তৈরী করা হয় ইফতারী পরিবেশনের জন্য। আরব দেশে প্রবাসীরা এতই অসহায় নয় যে, রেডক্রিসেন্টের ইফতারী না হলে তাদের চলবে না।

রেড ক্রিসেন্টের এই বিরাট বাজেট আরব দেশে ইফতারীর কাজে ব্যয় না করে বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খরচ করলেই যুক্তি সঙ্গত হতো। আরবের শেখরা তাদের বাড়িতে আস্ত ছাগল, যব আর ঘি মিশ্রিত করে হারিস নামক একটি উপাদেয় খাদ্য এবং উট, ছাগল, মুরগি আর গরুর গোস্তের বিরিয়ানী বিলাতে থাকেন ইফতারের আগে। লোকেরা আরবদের বাড়ী থেকে এসব সংগ্রহ করে অতিরিক্ত খায় আর বাকীটা ফেলে দেয়। এভাবে দৈনিক লাখ লাখ ডলারেরে খাদ্য অপচয় করা হয় ইফতারের সময়। আমি ভাবতে থাকি লোকেরা রমজানের ইফতারে খরচের ব্যাপারে এমন দিল দরিয়া হয় কেন? অথচ এই ব্যক্তিটি, যিনি ইফতারীতে হারিস আর বিরিয়ানী বিলাচ্ছেন, হয়ত তাঁর কোন গরীব কর্মচারীর একশ দিরহামের বেতন বৃদ্ধির আবেদনটি রক্ষা করেননি।

হয়ত আফ্রিকার কঙ্কালসার শিশুটির জন্য তার অর্থ এখেনো পৌঁছায়নি। "রোজাদারকে ইফতার করালে অনেক ছওয়াব হয়" এতটুকুই হয়ত তিনি বুঝেছেন। তাঁর অর্থ সুমালিয়ার কঙ্কালসার মানুষদের জন্য গিয়ে থাকলে তার সাথে এই হারিস আর বিরিয়ানীর টাকাও যোগ হওয়া উচিত ছিল। ইফতারী বিলানোর চেয়ে অসহায় কঙ্কালসার মানুষটির জন্য খরচ করাতে ছওয়াবের পরিমান যে বহুগুন বেশী, এই বিষয়টি তাঁকে কে বুঝাবে? আমরা ইফতারীতে আলোচ্য দ্বিতীয় এ্যনিমেশনের চরিত্রটির মত সাধারণ খাবার দিয়ে রোজা খোলার পর এশা এবং তারাবীহ আদায় করে স্বাভাবিক রাতের খাবার গ্রহণ করাতে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। খাবার গ্রহণের ব্যপারে সাধারণ নিয়মটি মেনে চললে শরীর সুস্থ থাকে।

একেবারে পেট ভর্তি করে খাবার গ্রহণ করা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষার পরিপন্থী। অতএব আমরা প্রচার করতে থাকি এবং নিজেরাও মেনে চলি, "ডোন্ট মেইক রমাদান এস এন ইটিং কনটেস্ট"। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.