আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একগুচ্ছ কবিতা

শাদা পরচুল অন্ধকার ১) চাদ হয়ে রব তোমার আকাশ যদি না ঢাকে মেঘ, তবে আনমনে চেয়ে দেখ- আমি হয়ে রব রুপোলি চাদ; শুক্লপক্ষের মায়াভরা নিশীথে । হাসি মুখ আমার ঢেকে দিতে, যদি লাগে গ্রহণের কালো ছায়া, কলঙ্কদায়ী কেউ যদি এসে হাসে, রক্ত হিম করা জ্যান্তব হাসি, তবু অটল রব আমি ! হেসে যাব স্নিগ্ধতা ভরে, ছড়াবো শান্ত ধবল আলো কালো রাতের বুকের মাঝে । মায়াভরা পরিবেশ, আবছা আলোয় ভরে ওঠা চারপাশ, আমি অবাক চোখে দেখব, চরকা কাটছে বুড়ো দাদুটা, গুটুর গুটুর করে । জমিয়ে আড্ডা দেবো পুরাকালের চরকা বুড়ির সাথে, বলব তাকে কাজ নেই আর চরকা কেটে; ঘুমাও তুমি, আমি আছি । সুনসান নিরবতা ! আমাতে মুগ্ধ তুমি চেয়ে থাকবে তখন অপলক ।

গল্প চলবে আমাদের সমস্ত রাত্রিভর । একাকী নির্জনে ভাসবে আমাদের ভালবাসার সপ্তডিঙ্গা । বি.দ্র : কবিতাটা কিছুটা পরিমার্জন করা হয়েছে ২) আমন্ত্রণ বন্ধু তোমায় জানাই আমন্ত্রণ ! আমাদের এই নতুন পৃথিবীতে । নব ফাল্গুনের দিনের মাঝে- তোমার বাণী খুজে পাক আগুনে পোড়া শুদ্ধ সুর । আমার অসীমাকাশে- আবার জ্বলবে সন্ধ্যাতারার স্নিগ্ধ কোমল আলো ।

বন্ধু তোমায় জানাই নিমন্ত্রণ । রাতজাগা জোনাকির মতন, গুল্মলতার ঝোপে যখন তুমি জ্বলবে মিটমিট করে ; আমি তখন তোমার আশীষ নিয়ে খুজে বেড়াবো, রাতের অন্ন ; ছোট্ট পোকা মাকড় । বন্ধু হে নিমন্ত্রন তোমায় ; পাহাড়ে বা উপত্যকায়- কিংবা, আমার ছোট্ট সুখের ঘরে । তোমার পদরেখা, মোর তরে ললাটে তিলক রেখা । বন্ধু তোমায় জানাই নিমন্ত্রণ ।

৩) প্রশ্ন জন্ম আমার এ বিপুল আনন্দধামে ! কোন পূজার হোমানলে কিংবা কার তরে পাতা অঞ্জলি স্পর্শে- সিদ্ধ হব আমি ? জানি না তেমনি জানি না কবে পাব, অসীম আলোকের পূণ্য পরশ । খুজি তবু দিবারাত্রি বিরামহীন প্রশ্নের উত্তর, কে আমি ?? নিরন্তর সন্ধান মোর, হল বিফল অন্তিম সন্ধ্যায় । তবু সান্তনা ; প্রস্তুত আমি বিদায় যাত্রায় ! বিপুল মায়ার বাধন, সজ্ঞানে আজ করে গেলাম ছিন্ন, ঝরা পাতার মতন । আবার আসিবার যদি হয় সুযোগ করে যাব তপস্যা তখন, নিজেরে চেনার, এই অচেনার ফাকে । ৪) একটি কবিতা লিখবো বলে কত রাত পার হয়েছে বিনিদ্র ! কিছু লিখব বলে, কবিতার খাতায় বারেবারে কলমের আচড়, কাগজে অর্থহীন আকিবুকি ; নির্মম উত্তেজনার খেলা, অতঃপর একরাশ গ্লানি, ব্যর্থতায় চুল ছেড়ার দশা ; টেনে হিচড়ে বের করার চেষ্টা নিজের ঠুনকো আবেগের থলি শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে ।

হয়নি কিছুই পাওয়া । আশা কফিনে বারেবারে হয়েছে পেরেক ঠোকা । জানে শুধু অর্ন্তযামী ; বিফল বিরহে দু:সহ বেদনা দহনে, পুড়ে পুড়ে খাক অন্তর আত্মা আমার । তবু কবিতার পাই নি কো দেখা । কি দেইনি তোমায় কবিতা ?? বলতে পারো ?? আমার সত্যিকারের প্রেম, নিভৃত ভালবাসা, উজাড় করে দিয়েছি শুধু তোমায় দেখবো বলে ।

আমার জীবন যৌবন, সব টুকু তোমাতে করেছি সমর্পন তবু নিষ্ঠুর তুমি দাওনি সাড়া ! দিয়েছ শুধু একবুক কষ্ট, নিরাশার আধার গ্রাস করেছে আমায় নিস্তব্ধ সন্ধ্যার মত । ভালবাসি তোমায় এখনো আগেরি মতন, তবে এখন আমি মৃতদের দলে । তোমায় আর চাই না দেখতে তাই, নিজের মতন করে । কবিতার সুবাস আর জাগায় না আমার হারানো কামনা দীপ্তি । গানের সুর এখন অর্থহীন কথার বন্যা ।

তুমি আর অনন্যা নও হে কবিতা । বি.দ্র : কবিতাটি কিছুটা সংশোধন করা হল বি.দ্র : এই কবিতা গুলো সম্পূর্ণ ব্লগ পাঠের ফলেই লেখা । তাই এই পোস্ট টার জন্য ব্লগার বন্ধুদের কাছে আমি ঋনী । কবি গুরুর ভাষায় বলি তোমারে যা দিয়েছিনু, সে তোমারি দান গ্রহন করেছ যত, ঋনী তত করেছ আমায় হে বন্ধু বিদায় । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।