আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান ও বাস্তবতা

নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে স্টিরিটাইপ দৃষ্টান্ত থেকে নিজেদের মুক্ত করতে। এবং তা করতে হবে কাজের মাধ্যমে। আমি নারী হতে পারি কিন্তু যখন চাকুরি করতে এসেছি তখন আমি পুরুষের সমান মর্যাদা দাবী করি। এবং একজন পুরুষ কর্মী যেভাবে এই প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিবে আমিও দিবো। আ আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার।

বিয়ের আগে ও পরে পেশা নির্বাচনে নারীকে নির্ভর করতে হয় পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর। দেশের মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করেও ইচ্ছামত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না, সে জন্য কোনো না কোনো পুরুষের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অনেক মেধাবী মেয়ে পড়ালেখা শেষ করার পর তাদের নিজ যোগ্যতায় ভালো ভালো সুযোগ পেলেও পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারণে নিজের ইচ্ছাকে চেপে রেখে পুরুষের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ সংসার বাঁচাতে ও স্বামীর মন রক্ষার তাগিদে পেশাগত দায়িত্ব থেকে যবনিকা টানেন। বর্তমানে বিজিএমইএর নিবন্ধন করা পোশাকশিল্পকারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯২৫টি।

এ শিল্পে প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন, যার ৮০ শতাংশই নারীশ্রমিক। তৈরি পোশাকশিল্প নারীদের কাজ করার সুযোগ দিলেও বলতে গেলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলছে তাঁদের জীবনের উন্নয়ন। কেউ কেউ অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরিটিই খোয়াচ্ছেন। ফলে জীবনের সঙ্গে আপস করে যতটা চলা যায়, সেই নীতিতেই চলছেন এ শিল্পেরনারীরা। তৈরি পোশাক শিল্পের এই নারী শ্রমিকদের নিয়ে প্রতিবছর অনেক কিছু করা হয়।

যেমন নারী দিবস পালন, নারী নীতিমালা প্রনয়ণ, নারীর অতীত ও বর্তমান পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা । তৈরী পোশাক শিল্পসহ ব্যাংক মিডিয়া, টেলিকমিউনিকেশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীরা কর্মরত রয়েছেন। যাদের নিয়ে প্রতিবছর সভা, সমিতি, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সবই হয়। তবে নারী কর্মক্ষেত্রে কতটুকু ¯^vaxb তা ফুঁটে উঠে প্রতিদিন পত্রপত্রিকা ও খবরের কাগজ অনুসন্ধানের মাধ্যমে। গত ৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষিকা রুমান মনজুরের উপর ¯^vgxi বর্বরচিত্র হামলা আমাদের আবারও প্রমাণ করিয়ে দেয় যে কর্মক্ষেত্রে নারী এখন ¯^vaxb নয়।

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নির্যাতিত হয় তাও আবার পেশা ভিত্তিক সমস্যার জের ধরে। সেক্ষেত্রে আমাদের নারী সমাজ যারা ব্যাংক, মিডিয়া, টেলিকমিউনিকেশন ও তৈরী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তাদের অবস্থান আরও নাজুক । আমাদের কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান ও বাস্তবতা এখনও পশ্চাদপদ ও অবহেলিত। যে সব নারী বর্তমানে কর্মরত আছেন তারাই এখন সফল ভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিচরণ করতে পারছেন না । কেননা তাদের মধ্যে অনেক নারী আছেন যারা নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে জানেন না, আর যারা জানেন তাদেও অধিকাংশ নারী তাদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.