আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ কমানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ



একবিংশ শতাব্দীতে যখন কর্মক্ষেত্রের সর্বত্রই প্রতিযোগিতা বিদ্যমান, তখন উদ্বেগ কিংবা দুশ্চিন্তা হওয়াটা অবশ্যম্ভাবী। কী বাহ্যিক, কী অভ্যন্তরীণ-কর্মক্ষেত্রে চারপাশের বিভিন্ন বিষয়বস্তু বড় মাত্রার চাপ সৃষ্টি করে, যা পরিণতিতে একজন কর্পরেট প্রোফেসনালের শারীরিক অসুস্থতায় পর্যবসিত হয়। এ ধরণের অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল কাজের চাপকে কমানো অথবা একটু কম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া। এখানে কিছু নির্দেশিকা দেয়া হল যেগুলো কর্মক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা কমাতে সহায়ক- -কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন আসবাবপত্র এবং পরিপাটি সাজগোজ রাখা উচিৎ, যা কাজের সময় চমৎকার মানসিকভাব তৈরিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কর্ম পরিবেশে পর্যাপ্ত শূন্যস্থান থাকলে একজন ব্যক্তি আরামদায়ক ভাবে কাজ করতে পারবেন।

-ভালো সুশৃঙ্খল অভ্যাস থাকাটা জরুরি। ফাইল, ফোল্ডার, বক্স কিংবা কার্টনের মত প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখলে কাজের সময় প্রফুল্ল থাকা যায়। -চমৎকার রঙ কিংবা আকর্ষণীয় ও প্রেরনাদায়ক উক্তি দিয়ে দেয়াল সাজালে মানসিকতা হালকা হতে পারে। বিভিন্ন অন্তঃক্রিয়ামূলক সংযুক্তি ও কাজ অন্তঃক্রিয়াকে উৎসাহিত করে এবং উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে যায়। -সময় ব্যবস্থাপনা, দুঃশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ দক্ষতার ওপর কর্মশালা চালু করা যেতে পারে।

এতে কর্মচারীদের কাজের চাপ হেতু শক্তিক্ষয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে। বিশেষতঃ দুপুরের খাবারের সময় ছোটখাটো কর্মশালা পারে কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে। -কর্মচারীদের হালকা নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবারের মত ছোটখাটো উপহার দেয়াও উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধির আরেকটি উপায় হতে পারে। এ ধরণের সাধারণ ও ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলো কর্মচারীদের অধিক পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করে, যা পরবর্তীতে উন্নততর কর্মদক্ষতার জন্ম দেয়। -বড় কর্মকর্তাদের জন্যেও বিভিন্ন কর্মশালা করা প্রয়োজন।

এমনকি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারও দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি মেলা দরকার। এমন কর্মশালা চালু করা উচিৎ যাতে করে উঁচুপদে আসীন কর্মকর্তারাও মুক্তমনে তাঁদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং সৎ পরামর্শ পেতে পারেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আরও ভালো কাজ করতে এবং তাঁদের সমস্যার আরও ভালো সমাধান করতে পারবেন। একটি প্রতিষ্ঠানে যার যেমন পদই থাকুক না কেন, দুশ্চিন্তা তাদের পদের অবনতি ঘটাতে পারে। তাই একজন কর্মজীবীর উপরোক্ত নির্দেশিকাগুলো অনুসরণ করা উচিৎ, যাতে তার সকল দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ অনেক দূরে সরে যায় এবং তিনি নিজে হেঁটে যেতে পারেন একটি সুখী ও সমৃদ্ধ কর্মজীবনের পথে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.