আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাতা ৩

কক্ষভ্রষ্ট একটি গল্প বলি , একটি মেয়ে ক্লাস টেন এ পড়া কালীন একটি ছেলের প্রেমে পরে। সে স্কুল ফাকি দিয়ে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করে। বিকাল বেলা বারান্দায় দাড়িয়ে থাকে ছেলেটিকে একবার দেখার আশায়। মা টের পেয়ে যান । পরিণাম অনেক বকা ঝকা ।

মেয়েটির মেঝ মামা তাদের পরিবারের একমাত্র অভিভাবক। মেয়েটির মা বড়ই বোকা একজন মহিলা। যার প্রতিটা দিন কাটে দূরদেশে থাকা স্বামীর কথা চিন্তা করে। তাকে আর দোষ দিয়ে কি হবে। যাই হোক।

মুল ঘটনায় আসি। প্রেম করতে গিয়ে ধরা পরার পর মেঝ মামা সহ বাড়ির সবাই আলোচনা করে ঠিক করে যে মেয়েকে অন্য কোথাও কয়েকদিনের জন্য পাঠাতে হবে। কেউ কেউ বলেন একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেয়া ভালো । পরিবারের মানসম্মান ধুলায় মিশিয়ে দেয়ার আগে মেয়েকে পার করো । শেষ মেশ ঠিক হল আপাতত মেয়েকে তার সেঝ খালার বাসার পাঠানো হবে।

এই সুযোগে ছেলেটির ব্যাপারে বাড়ির মুল অভিভাবক অর্থাৎ মেঝ মামা বাবস্থা নেবেন। কথামত হাওয়া বদল করতে মেয়েটিকে পাঠানো হয় অন্য একটি শহরে । তার সেঝ খালার বাসায়। খালা তাকে বড়ই আদর করেন। অভিমানী মেয়েটি সাজা হিসেবে খালার বাড়িতে দিন পার করতে থাকে।

এরই মধ্যে খালাতো বোনের এক চাচা আসেন বেড়াতে । উদ্দেশ্য ভাস্তিদেরকে নিয়ে শহর ঘুরিয়ে দেখানো। মেয়েটি তো খুশি। চাচার সাথে ঘুরতে বের হবে। ছোট বেলা থেকেই এই চাচাকে সে দেখে আসছে।

খালার দিকের আত্মীয় হলেও মেয়েটির পরিবারের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক । মেয়েটিকে আপন ভাস্তির মতই দেখেন তিনি। তো বের হবার পর তারা চারজন একটি বেবি ট্যাক্সিতে উঠে । মেয়েটি যে একটি ভীষণ খারাপ কাজ করে শাস্তি সরূপ খালার বাসায় এসেছে এটা ঐ চাচা জানেন। ট্যাক্সি চলা শুরু করলে হঠাৎ করেই মেয়েটি তার বুকে চাচার কনুইয়ের খোঁচা টের পায়।

প্রথমে ভাবে গাদাগাদি করে এক ট্যাক্সিতে বসার কারণেই বোধহয় এমনটি হচ্ছে। তাই সে সরে বসে। কিন্তু আবারও । নিশ্চয়ই মনের ভুল। মেয়েটি ভাবে।

যতবার ই এমনটা হয় সে সরে বসে। যাইহোক , তারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়ায় । একসময় মেয়েটি ট্যাক্সির কথা ভুলে যায়। এদিকে রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। ফেরার পথে তারা রিকশায় ওঠে।

যদিও বাসা অনেক দূরে তারপরও চাচা কেন জানি রিকশাতে করে যেতে চান। কিন্তু একি । আবারও সেই একই কাণ্ড । মেয়েটি বুঝতে পারে চাচা ইচ্ছে করেই এমনটি করছেন। সে তখন ভয়ে আতঙ্কে অস্থির হয়।

যতখানি পারে সরে বসে। নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু চাচা তার কর্মকাণ্ড পুরো রাস্তা জুড়েই চালিয়ে যেতে থাকেন । মেয়েটি মনে মনে নিজেকে রাগে দুঃখে ধিক্কার দিতে থাকে। 'কি করছেন এটা চাচা' এই কথাটা বলতেও তার সাহস হয় না।

তার মনে হতে থাকে বাসায় গেলেই সবাই ব্যাপারটা বুঝে ফেলবে। তখন কি লজ্জাটাইনা সে পাবে। মেয়েটি কি করবে বুঝতে পারে না। তার মনে হয় এটা তার কারণেই হচ্ছে। সবার বেলায় তো এমনটা হয় না।

তার বেলাতেই কেন এমন হচ্ছে। নিশ্চয়ই তার নিজের কোন দোষ আছে। আট বছরের খালাতো বোনটাকে জড়িয়ে ধরে পাথরের মত মেয়েটি রিকশায় বসে থাকে। একসময় অসহ্য হয়ে মেয়েটি বলে যে সে বাসে করে খালার বাড়ি ফেরত যাবে। চাচা বেজার হন।

কিন্তু মেয়েটি কোনভাবেই আর রিকশায় যেতে রাজি হয় না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তারা একটি বাসে ওঠে। মেয়েটি যেন তখন হাফ ছেড়ে বাচে । কিন্তু মেয়েটি জানেনা যে তার জন্য আরও কিছু কুৎসিত মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.