আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা জিয়ার স্ববিরোধী বক্তব্য

জাতির মৃত বিবেক জাগ্রত করতে চাই গত ১৩ জুলাই বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে ’৭২-এর আদলে সংশোধিত সংবিধান প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই সংবিধান আওয়ামী লীগের ইশতেহার। যেদিন জনগণের সরকার তথা বিএনপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন এই সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হবে। সামনে আরো দিন আছে। এই সরকার শেষ সরকার নয়। তাই র্যাব-পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, যারা এসব করছেন এগুলো বন্ধ করুন।

নইলে বিএনপি ক্ষমতায় এলে চাকরি করবেন না? চাকরিতো করতে পারবেনই না। ধর্মীয় গ্রন্থ তথা কোরআন, বেত, বাইবেল এর পরেই একটি জাতির জীবনবিধান হলো সঙবিধান। আর বেগম জিয়া সেই সঙবিধানকে কিনা ছুড়ে ফেলার কথা বললেন। হরতালে আইন শৃংখলা রক্ষা করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব বিএনপিকে ভারচুর অগ্নিসঙযোগ করতে না দেয়াই তিনি পুলিশ বাহিনীকে ক্ষমতায় গেলে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিলেন। ইতিপূর্বে বিএনপি জাতীয় সঙসদে জিহ্বা কেটে নেয়ার মতো সন্ত্রাসী কথা বলেছে।

এসব সবই অগণতান্ত্রিক মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য। এদেশের রাজনীতিকদের মন্তব্য, বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহীতার যে পরিচয় মেলে তা দিয়ে তাদের দ্বারা জাতি কিছু আশা করতে পারে না। আমরা বিএনপি'র শাসন আমল দেখেছি এখন আ'লীগের কর্মকাণ্ড দেখছি। বিএনপির কর্মকাণ্ডে দগ্ধ হয়েই আ'লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। ফলে সময় হলেই জনগণ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।

তার জন্য জনগণের মানসিকতাকে পুজি করে প্রতিহিঙসার আগুন জ্বালিয়ে দেবেন না। আমরা আপনাদের দেশ সেবার ধরন সম্পর্কে সম্পূর্ন রূপে অবগত। আপনী স্বাধীনতা পরবর্তী ৭২'এর রক্ষী বাহিনীর কথা বলেছেন, তারা তো ছিল এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তারা তাদের সহকর্মী যোদ্ধাদের রক্ত বন্যা সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানের মিত্রবাহিনীর সদস্য এদেশের মীরজাফরদের ধরে ধরে হত্যা করেছিল। আপনী গণতন্ত্রের কথা বলেছেন।

কিন্তু আপনাদের দলের জন্মইতো দখলদারিত্বের ভিত্তিতে। ড. মোহাম্মদ হাননান তার ‘বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাস ও ট্রাজেডির সেনানিবাসে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থে ‘জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীতে বেশি বিদ্রোহ হয়’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় সামরিকবাহিনীর একটি ক্ষুদ্রাংশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালের কথিত বিচারে সেনা ও বিমানবাহিনীর যে সকল সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১৯৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় পূর্বাপর মৃত্যের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এটা স্পষ্ট যে, বিচারের আওতার বাইরে অনেককে মরতে হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী ২ মাসে ১১০০ থেকে ১৪০০ সৈনিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছিল। ঢাকায় ১২১ জন আর কুমিল্লায় ৭২ জনের ফাঁসি হয়।

১৯৮৭ সালে বিমানবাহিনী থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইতিহাস’ পুস্তিকার একটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৫৬১ জন বিমানসেনা প্রাণ হারায়। ওই পুস্তিকাটি পরবর্তীতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। লন্ডন টাইমস-এর ১৯৭৮ সালের ৫ মার্চ সংখ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কথোপকথনের বরাত দিয়ে বলা হয়Ñ ওই ঘটনায় সামরিকবাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্যের সাজা হয় এবং প্রায় ৬০০ জনকে ফাঁসির মাধ্যমে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়, যার অধিকাংশই বিমানবাহিনীতে ছিলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.