আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুষারের (Snow-fall) ওপিঠ কন্টকময়

ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না স্নো আকাশ থেকে যখন পড়ে তখন খুব ভাল লাগে, মনের মধ্যে বেজায় আনন্দ লাগে, ফটো তোলা, স্নো দিয়ে বল বানিয়ে বোমবাস্টিং খেলা কিন্তু এই আনন্দটা খুব বেশিক্ষণ স্হায়ী হয় না. স্নো মাটি ছোঁয়া অবধি আনন্দ এরপরই বেরাম শুরু হয়. ধূলিকনার সাথে এদের রয়েছে গলায় গলায় পিরীত, ময়লার সাথে তুষারের বন্ধন এতই দৃঢ় যে একদম কালো ছাইয়ের মত হয়ে যায় যেন কেউ কাঁদা ছিটিয়ে রেখেছে. বাসের ভিতরে মেঝেটা যেন ডাস্টবিনের মত হয়ে যায়, মানুষের জুতার সাথে যে স্নো-ময়লা লেগে থাকে উহাই এর কারন. একদিন বাসের ভিতরে একই পয়েন্টে ৬জনকে ধপাস করে পড়তে দেখেছি. বরফের কারনে পিচ্ছিল হয়ে যায়, এই পিচ্ছিল পথে মানুষের দৌড়ানোর দৃশ্য দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য যেন মনে হবে পেঙ্গুইন দৌড়াচ্ছে. এই পেঙ্গুইন দৌড় দেখতে বড়ই ভাল লাগে কিন্তু যখন বাস ধরতে নিজেকে করতে হয় তখনই হয় বিপদ, ফুটপাতে চিৎপটাং হয়ে পড়ে নি এরকম বোধ করি কাউকে পাওয়া যাবে না. স্নো-ময়লার হাত থেকে জুতা বাঁচাতে অধিকাংশ লোকই কালো রঙ্গের জুতা ব্যবহার করে কেননা জুতায় কালো কালো ছোপ পড়ে যায়. একটা জিনিস দেখে অবাক হয়েছি হাই-হিল ব্যবহার করা মেয়েরা জুতার ঔজ্জল্যতা বাঁচাতে একধরনের পলিথিন দ্বারা পুরো জুতা পেঁচিয়ে রাখে, জটিল বুদ্ধি ! এই ইলাস্টিক লাগানো পলিথিন টাইট হয়ে লেগে থাকে. চীনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদেরকেই রাস্তা ফুটপাতের স্নো সরাতে হয়, তবে এই কাজটা শুধু 1st year student দেরই করতে হয়. এরা বরফ পরিস্কার করা ছাড়াও ঝড়ো-বাতাসে যখন গাছের পাতা পড়ে রাস্তা নোংরা হয়ে যায় ওটার জন্যও ঝাড়ু হাতে নেমে পড়ে. স্নোর ওপিঠ কন্টকময় হওয়ার পরও এখানকার লোকজন তুষার চায় কেননা এটা আমাদের দেশে বন্যার সময় বানের পানির সাথে আসা পলি মাটির মত, যত স্নো কৃষির জন্য ততই মঙ্গল সবশেষে তুষার-বরফ দিয়ে করা কিছু কাজ, আশা করি ভাল লাগবে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.