আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুন্সীগঞ্জে ভোটারদের ওপর নীরব নির্যাতন

আমাদের বশুবাড়ীর ঘাটের ঐতিয্য আর রক্ষাকরা গেলনা সেখানে াখেন এখন বাজে লোকেরা আড্ডা মারে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মাঝে বইছে চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা। কংশপুরা, আশুরান, মোল্লাকাদি, রাজারচর, ঢালীকান্দি, মাকহাটি, মহেসপুর, চরডুমুরিয়া, আমঘাটাসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রতি প সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনও নিজ বাড়িতে উঠতে পারেনি অনেক মানুষ। এসব এলাকার শিশু নারীসহ বৃদ্ধ লোকজন প্রতিপরে সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। নিজ নিজ প্রার্থীর পে ভোট আদায়ের জন্য ভোটারদের উপর চলছে নীরব নির্যাতন।

অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ ককটেল ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামগুলো জুড়ে চলছে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রকাশ্যে মহড়া। আগে থেকেই প্রতিপ সমর্থকদের উপর হামলা পাল্টা হামলা ভাঙচুর বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে এ ইউনিয়নটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি মুহূর্তেই ভয়ভিতি ও ভয়াবহ রক্তয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কের মাঝে জীবনযাপন করছে স্থানীয় লোকজন। উভয় প্রার্থীর পে গড়ে উঠা ওই সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এখানকার অধিকাংশ মানুষ। চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহআলম মল্লিক ও আওয়ামী লীগের অপর একটি পরে সমর্থিত রিপন পাটোয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে চলছে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

গত ১২ই জুন মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক গোলগুলি, ভাঙচুর, লুটপাট, বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিভিন্ন গ্রামে কমান্ডো স্টাইলে চলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডব। এসময় ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে কমপে ৫০ জন। ওই দিন থেকেই যার যার নিয়ন্ত্রতিত এলাকা থেকে প্রতিপ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিতারিত করে দেয়া হয়। নিজ ভূমি থেকে পালিয়ে থাকা লোকজনদের নিজ গ্রামে তুলে দেয়ার জন্য প্রশাসনের প থেকেও নেয়া হয় একাদিক উদ্যোগ।

তার পরেও স্বস্তি ফিরে আসছে না সাধারণ মানুষের মাঝে। যারা গ্রামে আছে তারা আতঙ্ক উৎকণ্ঠা ও ভয়ভিতির মধ্যে জীবনযাপন করছেন। গ্রামগুলোর চিত্র : সন্ধ্যা হতে না হতেই গ্রামগুলোতে ভুতুড়ে জনপদে পরিণত হয়। প্রতিপ কোন প্রার্থী বা তার কোন কর্মী যেন গ্রামে ডুকতে না পারে সে জন্য গ্রাম পাহারার নামে সশস্র অবস্থায় মাঠে থাকে যার যার পে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনী। পূর্ব মাকহাটির বাদল মোল্লা জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন পাটোয়ারীর সন্ত্রাসী বাহিনী জমু, খায়রুদ্দিন গ্র“পের সন্ত্রাসীরা গ্রামের নারী পুরুষদের শিশুদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে।

জিম্মি করে রাখছে ভোটারদের। মহেশপুর গ্রামের নেহার দেওয়ান জানান, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। মনে হয় ইউসুব জাহাঙ্গীর বাহিনী যে কোন সময় হামলা করে ভাঙচুর লুটপাটসহ মারধর করবে। রাজার চরের নাজমা বেগম বলেন, মিল্লাদ, আবুল, রাকিব, জুয়েলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের গ্রামে হামলা চালিয়ে অনেক নিরীহ মানুষসহ আমাকেও মারধর করেছে। অমার চুল ধরে টেনে-হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে উঠানে এনে বুকে পেটে লাথিসহ বেদম মারধর করেছে।

এসময় আমার জা খাদেজা বেগমকেও অনেক মারধর করা হয়। পরে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে ককটের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। ঢালী কান্দি গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, উত্তর মাকহাটির সন্ত্রাসী মাতাল লিটন তার বাহিনী নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া না হলে তাদের গ্রাম থেকে বিতারিত করে দেয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়ে গেছেন। রাজারচর গ্রামের মিলন বলেন, গত সপ্তাহে আমদের গ্রামের নাছির ঢালী তার বসত ঘরে বসে ভাত খাচ্ছিল।

সময় সন্ত্রাসী জাকির, দুদুবাস, জুয়েল, মাহফুজ, মোহন, রিপন ও আনচুন হামলা চালায় নাছিরের বাড়িতে। তাকে মারধর করে তার ঘরে ভাঙচুর চালায়। পরে পার্শ্ববর্তী পুকুর সাঁতার কেটে প্রাণে রা পায় নাছির। এসময় সন্ত্রাসীরা এ এলাকাসহ আশপাশ গ্রামে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসব ঘটনায় আহত লোকজন গ্রেপ্তার বা মামলার আসামি হওয়ার ভয়ে পালিয়ে পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন হাসপাতাল কিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এসব গ্রামগুলোর অধিকাংশ এলাকাতেই রিপন পাটোয়ারী, ‘গ্র“পে-গ্র“পে তার সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে’ গ্রাম পাহারার নামে প্রস্তত রেখেছে। এবং ওই বাহিনীই ভোটারদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চালচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধের ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। এসব ঘটনা সম্পর্কে সদর থানার ওসি বলেন বিতারিত অনেক লোকজনকে ইতিমধ্যে এলাকায় উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্বণিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার ল্েয সোমবার দুপুরে মাকহাটি বাজারে দু’ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম মল্লিক ও রিপন পাটোয়ারীকে নিয়ে প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমঝোতা বৈঠক। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএসএম মাহফুজুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে মাইকিং করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গত ১ বছরে একাধিকবার সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.