আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম স্বস্তিতে নেই

বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ মুম্বই এ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে খুন। ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় সম্প্রতি মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের উপর একটি ফিচার প্রচার করে। তাতে দেখা যায়, লাদেনের মারা যাবার পর থেকে মাফিয়া ডন ইব্রাহিম কিছুটা শংখিত। নিজের আধিপত্য শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা নিয়ে দাউদ চিন্তিত। মুম্বই এ সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন দাউদের ভাই ইকবাল কায়সারের ড্রাইভার।

সন্ত্রাসীরা যে ইকবাল কায়সারকে হত্যার জন্য গুলি চালিয়েছিল তার কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রানে বেচে যান ইকবাল। দাউদের ভাই ইকবালের রাজত্ব মুম্বই। দাউদের কাজগুলো ইকবাল ভারতে বসে সম্পাদন করে। নিয়ন্ত্রন করে নেপালও।

দাউদের মতোন ইকবালেরও রয়েছে বিশাল দেহরক্ষি বাহিনী। যেখানে পুলিশের প্রবেশও নিষিদ্ধ। ইকবালের বাড়ি থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার মাসোহারা যায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে। প্রশাসন থেকে শুরু করে ছোট ছোট বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর কাছে অর্থ যায়। আর এসব অর্থের বিনিময়ে দাউদের হয়ে কাজ করে গ্রুপগুলো।

দাউদের ভাই এর ড্রাইভারকে যারা হত্যা করেছে তাদেরও তড়িৎ গতিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২০০৩ সাল থেকে গ্যাংস্টার এজাজের সাথে ইকবাল ভারতের মুম্বই এ আসন গাড়ে। ইতিমধ্যে ডন ইব্রাহিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছোটা শাকিলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তার ভাইকে যারা মারতে চায় তার প্রতিশোধ নিতে। দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে করাচিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাকে সেল্টার দেয় পাকিস্তান সরকার।

তার সাথে রয়েছেন অন্য ভাই আনিস। তাদের সার্বক্ষনিক পাহারা দেয় ছোটা শাকিল, টাইগার, আফতাব, ইয়াকুব, ফাহিম প্রমুখ কমান্ডাররা। মাওবাদি সন্ত্রাসীদের জন্য দাউদের মসোহারা রয়েছে। বিশেষ করে নেপালের মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রন করে ডন দাউদ। দাউদের যে ক'জন বিশ্বস্ত লোক রয়েছে তার মধ্যে আফতাব বাতকি অন্যতম।

এ আফতাবের কাজ হলো বিশ্বে বিভিন্ন দেশে জাল টাকার বিস্তার করা। দুবাই থেকে আফতাব সব নিয়ন্ত্রন করে। ভারতের জাল মুদ্রা ব্যবসায় দাউদের লোক কে এম আবদুল্লাহ গ্রেফতার হলে জাল টাকার ব্যবসা কিছুটা থমকে যায়। তার হাত রয়েছে বাংলাদেশ পর্যন্ত। বাংলাদেশেও জাল টাকা বা ডলারের সাথে দাউদের হাত থাকতে পারে।

নেপালের স্টক মার্কেটে দাউদের অর্থ খাটে। এমনকি নেপালের অনেক মন্ত্রী চলে দাউদের টাকায়। ভারতের দাউদের রয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে গার্মেন্টস পর্যন্ত এ ব্যবসার প্রসার দ্রুত বাড়ছে। ১৯৯৩ সালে মুম্বই এ সিরিজ বোমা হামলায় আসামী রয়েছে দাউদের ভাই আনিস।

সেই থেকে আনিস ভারতে যেতে পারে না। তবে ভারতে ফিল্ম স্টারদের সাথে দাউদের যে ব্যবসায়ীক লেনদেন রয়েছে তাতে কিছুটা ভাটা চলছে। অনেকের জানা দুবাই ভিত্তিক আল মনসুর ভিডিও এবং করাচি ভিত্তিক সাদাফ ট্রেডিং কোম্পানি দাউদের। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাউদ পাইরেটেড ভারতীয় ছবি বিক্রি করেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র'র মতে, ভারতের ১ বিলিয়ন ডলারের পাইরেসি ব্যবসার ৭০ ভাগই দাউদের দখলে।

দাউদের অন্যতম খাস লোক ইকবাল মিরচির মাধ্যমে চলে মাদক ব্যবসা। অস্ত্র ব্যবসায় কিছুটা মন্দ চলছে। তবে লাদেন হত্যা দাউদের জন্য বিশাল এক হতাশার খবর। কারন লাদেনের সাথে দাউদের সম্পর্ক ছিল। এতদিন লাদেনের পেছনে সবাই ব্যস্ত থাকতো বলে দাউদের খবর নিতে কেউ তেমন ইচ্ছে প্রকাশ করেনি।

এখন আন্ডারওয়াল্ডের নতুন ডনদের নজরে আছে দাউদ ইব্রাহিম। তাই শংকা বাড়ছে দাউদেরও। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.