আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধান লইয়া বিতর্ক!

নিজের বিষয়ে কিছুই বলিবার নাই আসসালামু আলাইকুম, সংবিধান কোনো চিরস্থায়ী কিতাব নহে। সময়ের সাথে সাথে তাহারও পরিবর্তন করিতে হয়। উহাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি আমাদের হাইকোর্ট রায় প্রদান করিয়াছেন যে দিয়েছে ৫ম এবং ৭ম সংশোধনী অবৈধ। বেশ ভালো কথা।

কিন্তু তাহার পর হইতেই এক শ্রেণীর প্রগতিশীল ধুয়া তুলিতে আরম্ভ করিয়াছেন েয : কেন সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখতে হবে? হাইকোর্টের রায় অনুসারে সংবিধান সংশোধন করা না হলে ৩০ লাখ শহীদের সাথে বেইমানি করা হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে যাইতে চাহিতেছেন---তাহা ভালো। বেশ ভালো। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটিয়া থাকে। আগে ভাবিতাম দেশের প্রগতিশীলগণ পুরাতন সব কিছুরই পিরিবর্তন চাহেন এখন দেখিতেছি না তাহা হইতেছে না।

বরং তাহারা কোনো কোনো বিষয়ে '''মৌলবাদীগণের'' মতনই আচরণ করিয়া থাকেন। মৌলবাদীগণের তো দোষের সীমা নাই। তাহাদের কথা বাদ দিতেছি!!! ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৮ এর ১ নং অনুচ্ছেদে বলা হইতেছে : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা--এই নীতিসমূহ রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হইবে। আপনারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ফিরাইয়া আসিবার জন্য চিৎকার করিতেছেন তাহাতে আপত্তি নাই। কিন্তু সমাজতন্ত্রের বিষয়ে নীরব রহিয়াছেন কেন? যেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নামক রুশ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ হইতে শুরু করিয়া দুনিয়ার প্রায় সকলখানে এই মতবাদের পতন ঘটিয়াছে সেইখানে কি সমাজতন্ত্র কায়েম রাখিতে চাহেন? ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ না দিলে যদি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সহিত বেঈমানি করা হইয়া থাকে তাহা হইলে তো সমাজতন্ত্রকেও বাদ দিবার উপায় নাই।

কেননা তাহাও ১৯৭২ সালের সংবিধানে রহিয়াছে। দেশের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা রহিয়াছে। যে-দেশের ৮৫ ভাগ জনগণ মুসলমান সেই দেশের সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ' বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকিতে পারিবে না কেন? আর থাকিলে কি কি ক্ষেত্রে তাহা উন্নতির জন্য বাধা সৃষ্টি করিবে---দয়া করিয়া তাহারা কি একটু জানাইবেন? আগেই বলিয়াছি েয সংবিধান কোনো ধর্মীয় কিতাব নহে যে তাহা সবসময়ই একইরকম থাকিবে। ব্যক্তিকে লইয়াই সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র। ব্যক্তির যদি ধর্ম থাকে তাহা হইলে রাষ্ট্রের ধর্ম থাকিতে আপত্তি কোথায়? বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ।

ভারত একটি হিন্দু-প্রধান দেশ। মায়ানমার একটি বৌদ্ধট্রধান দেশ। এইসব বয়ানে কি মিথ্যা প্রকাশিত হয়। মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাহার প্রতিটি ভাষণের শেষে ''গড ব্লেশ আমেরিকা'' বলিলে সমস্যা হয় না। আর আমাদের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী বিসমিল্লাহ বলিয়া ভাষণ শুরু করিলেই সব লন্ডভন্ড হইয়া যাইবে? দেশের মুক্তিযোদ্ধাগণ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করিয়াছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য।

তাহাদের বেশিরভাগই মুসলিম পরিবারের সন্তান। কাজেই বিসমিল্লাহ বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম---তাহাদের আত্মার জন্য শ্রদ্ধা ছাড়া অন্য কিছু হইবে না। সকলে ছহি-ছালামতে থাকিবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.