আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মনিরপেক্ষতার দুনিয়ায় একদিন

আমি পা....গ....ল। ধর্মনিরপেক্ষতার দুনিয়ায় একদিন: ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠলাম। কেননা রাতে অনেক সেক্সুয়াল মুভি দেখেছি। উঠে দেখি কাজের মেয়ে আমার ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। ব্যাচেলর মানুষ তারউপর সাবালিকা একটা মেয়ে আমার সামনে তাও আবার সাত সকালে।

কি আর করা চাইপা ধরলাম। নাস্তা করে বের হলাম ইউনিভার্সিটিতে। এক বন্ধু জানালো দোস্ত চল একটা জায়গায় যাবো। কথামত গেলাম সেখানে দেখি একটা পার্টি চলছে। পার্টিতে মেয়েরা ছেলেরা নাচানাচি করছে কেউ আবার চাপাচাপি করছে।

একটু মদ গিল্লা চইলা আসলাম রুমে। ক্লাস আর করা হলো না। দুপুরে গার্ল ফ্রেন্ডের ফোন হ্যালো কই তুমি। তুমি একটু টিএসসিতে আসো। উত্তরে আসতে যে পারবো না।

তুমি একটু আমার রুমে আসো। আমার ভীসন মাথা ব্যাথা করছে। আচ্ছা আমি আসছি। ........... রুমা চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে এই কিছুদিন হলো। বস আমাকে অনেক পছন্দ করেন।

সবাই অবশ্য করে তবে বস একটু বেশি। ওনি বলেছেন আমি নাকি অনেক সুন্দর। কয়েকদিন অফিস করার পর বুঝলাম বস আমাকে কিছু একটা মিন করছে। কি মিন করছে তা বুঝতে পারলেও আমি যেন বুঝিনি এমন ভাব করলাম। আমাকে একদিন ডিনারের দাওয়াত দিল বস।

সাড়া না দিয়ে পারি বস বলে কথা পাছে আবার চাকুরীটা হারাবো। খাওয়া শেষ করে তিনি আমাকে একটা মদের গ্লাসে মদ ঢালতে বললেন আমি বললাম আমাকে বাড়ি যেতে হবে। তিনি বলল আজকে আমার সাথে থাক। তারমানে তারমানে কিছুই না। সামনের মাসেই তোমার বেতনটা বাড়ার ব্যবস্থা করব।

................ বাড়িতে আমি আমার মা বাবা আর একটা বোন। আমরা সবাই ফ্রি অনেক ফ্রি বলতে পারেন সবাই বন্ধু। আমার বাসায় আমার বান্ধবীরা আসে। আমার বোনের বন্ধুরা আসে। বাবা মা কেউই কিছু মনে করে না।

শুনেছি রাকিবদের বাবা মা এগুলো বরদাস করে না। একদিন আমার ছোট বোনটা হটাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লো। ডাক্তার এসে জানালো সে প্রেগন্যান্ট। মা তো শুনে হতবাগ এটা কিভাবে সম্ভব। ......।

মুসলমানরা আজকে নামাজ পড়তে গেলেও জুতা বগলে করে নিয়ে যায়। আমি তাদেরকে দোষ দেব না। দোষ তাদের যারা আমাদের এ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। মুসলমানরা আজকে দ্বিধাবিভক্ত তারা জানে না কে তাদের শত্রু কে তাদের মিত্র। আজকে একজন মানুষের সন্তান নেশাগ্রস্থ হয়ে গেলে দোষ দেয়া হয় তার সাঙ্গপাঙ্গদের।

আজকে কেউ পালায়া গিয়া বিয়া করলে দোষ দেয় মেয়ের পরিবার ছেলেকে ছেলের পরিবার মেয়েকে। আজকে চুরি ছিনতাই হইলে দোষ দেয়া হয় সরকারকে। আজকে ডিভোর্স দেয়া হয় কথায় কথায়। নারীরা পুরুষকে পুরুষরা নারীকে। কে এর জন্য দায়ী আমরা বলি অন্য কথা।

আজকে দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দোষ দেয়া সরকারকে নতুবা ঐ সচিবকে যে কিনা নিরুপায়। সিস্টেমের মধ্যেই যাকে এই উৎকচ গ্রহন করতে হয়। আজকে খুন খারাপি বেড়ে গেলে দোষ দেয়া হয় প্রশাসনকে। আজকে নারীরা সম্ভ্রোম হারালে দোষ দেয়া হয় ধর্ষককে। আজকে বাবা সন্তানকে খুন করে এমনও দৃশ্য আমরা পরিলক্ষিত করছি।

কাকে দোষ দেব। দোষ সমাজের, সমাজের এই সিস্টেম যে তৈরি করেছে তার। মসজিদ থেকে জুতা চুরি, সন্তান এডিকক্টেড হওয়া, তালাকের মাধ্যমে সংসার ভেঙ্গে যাওয়া, চুরি ছিনতাই খুন ধর্ষন ঘুষ দূর্নীতি সব সব কিছুর জন্য দায়ী ঐ একজন যে এই সিস্টেমের প্রবর্তক। সিস্টেমটা আসলে কি এবং কার? আমরা কার থিউরি ফলো করছি। ঐ পাশ্চাত্যের দেয়া থিউরি যা তারা আমাদের ভিক্ষাসরুপ দিয়েছে।

আমরা খাওয়া থেকে শুরু করে পিছন দিক দিয়ে যে বাতাস ছুড়ি তাও তাদের থিউরি মোতাবেক। কেউ কি বলতে পারবেন মসজিদে কোন নারী ধর্ষিত হয়েছে। কিন্তু ঠিকই মন্দির চার্চগুলো এর জলন্ত উদাহরন হয়ে আছে। আমি কারো ধর্মমতকে খাটো করার জন্য একথা বলিনি। কিন্তু ওই ধর্মের হর্তাকর্তারা আপনার আমার শ্রোদ্ধার জায়গাটা অপবিত্র করছে।

তারাই সমাজে এত সমস্যা তৈরি করছে। এখন আসি তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের আড়ালে তারা আসলে কি চায় সে প্রসঙ্গে, আমরা জানি মুসলমানরা সাম্রাজ্যবিস্তারে বিশ্বাসী তবে সেটা শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে। এখানেই লাগে খটকা যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী অর্থাৎ দেয়ার হেভ নাথিং গড ইন দিজ ওয়ার্ল্ড এই তত্বের বিশ্বাসী তারা চায় ইসলামের পরাজয়। মুসলিমদের গৌরবান্বিত ইতিহাস আমাদের যে ইনফরমেশন দেয় তা হল সম্পুর্ন বিশ্বে তাদেরই শাসন চলেছিল। এই নাস্তিক্যবাদিরা তখন অনেক যুদ্ধ করেও পারে নি।

পালিয়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছে। মসলমানদের দাবাড় খেয়ে বছরের পর বছর নদীতে সাগরে ভেসেছে। স্পষ্ট করার্থে আরেকটু যোগ করছি, খেয়াল করবেন ইউরোপের দেশ গুলো বা আমেরিকা এরা সবাই কিন্তু সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বসতী গড়ে আছে। তাদের এসব জায়গায় বসতি গড়ার কারন, যখন মুসলমানরা দাবাড় দিত তখন আওয়ামীলীগের নৌকা নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমাতো...... এভাবে পরাজিত হবার ফলে তারা একটু চিন্তিত হয়ে পড়লো কিভাবে তারা মুসলমানদের মোকাবেলা করবে। মনে রাখবেন নিজের বাপ ভাই হারানোর দু:খ কিন্তু অনেক।

তাই তুশের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকলো নাস্তিক্যবাদিদের মনে। তারা তখন চিন্তা করতে থাকলো মুসলিমদের এত শক্তির উৎস কোথায়। হ্যা এদের ইসলাম থেকে বিচ্যুত করতে হবে। রাজাদের মনে বিলাশ বহুল জীবনের মোহ ঢুকাতে হবে। শুরু হলো তাদের স্লো পয়জনিং..... মুসলিম সাম্রাজ্যের শাসকদের মনে দুনিয়ার মোহ ঢুকাতে বেশি সময় লাগলো না।

কামাল, সাদ্দাম, মুবারক, গাদ্দাফিরা তা লুফে নিল। শুরু হল স্লো পয়জনিংদের কায্যক্রম। মুলত তারা চাইলো মুসলমানদের ওই গত যুদ্ধে বাপ ভাই হারানোর বদলা। তা যদি হয় ধরি মাছ না ছুই পানি তাহলে সমস্যা কোথায়। তৈরি করল তারা আল কায়েদা, জেএমবি, তাবলীগ, আরো অনেক সংগঠন।

এগুলো আবার একটা নির্দিষ্ট ফরমুলায় চলে। যেমন আল কায়েদায় তারা যেসব কর্মী নিয়োগ দিল তাদের এমনভাবে প্রশিক্ষন দেয়া হত তারা বুঝতে পারতো না কোনটা আল্লাহ বিধানের পক্ষে কোনটা বাতিলের পক্ষ্যে। আমি বেশি দুর যাব না। আমাদের দেশে একসময় জেএমবির উত্থান আমি লক্ষ্য করেছি। তাদের কর্মকান্ড বিশ্লেষন করেছি এবং প্রতিবেশি হওয়ার অভিজ্ঞতাও আমার রয়েছে।

আমি কথনই তাদের মাঝে খারাপ মানুষের আচরন লক্ষ্য করিনি। অনেক ভদ্র নম্র। কিন্তু তাদের মনের ভিতর যে এত বড় পরিকল্পনা ছিল তা কখনও ঠাওর করতে পারিনি। মুলত এগুলো ছিল সেই স্লো পয়জনিং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ইসলামের ঘোর শত্রু তাদের তৈরি একটা দল। তথ্য প্রমান বিশ্লেসন করে যতটুকু আন্দাজ করা হয় আমাদের প্রাণের প্রিয় পাশ্ববর্তী দেশ আমাদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে জেএমবি নামক একটা সুইসাউড গ্রুপ পাঠিয়েছিল।

শুকরিয়া ভারত মাতা তোমাকে। তুমি আমাদের জন্য এত ভাবো....... আজকে তাদের একটাই কথা যেটা হল মুসলমান তোমরা শাষন ক্ষমতার আশা বাদ দাও। তোমরা ইবাদত করবা কর কোন সমস্যা নাই। শুধু সরকার পদ্ধতিতে আসিও না। একটু খেয়াল করলে দেখবেন আজকে কেন শুধু মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার গান গাওয়া হচ্ছে কই ভুটানে নেপালে তো এর কোন সুবাতাস বইছে না।

আজকে আমাদের দেশে তাবলীগ জামাতের প্রচারনা দেখি। তারা ধর্ম প্রচার করছে বেশ ভালো। নামাজের দাওয়াত দিচ্ছে তাও ভালো। কিন্তু ঠিক এই কাজটা গনতান্ত্রিক উপায়ে জামাত বা অন্য কোন দল বাংলাদেশে করতে গেলে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা জানি তাবলীতের কোন দল নেই।

এরা কিছুটা নীরিহ জাতের প্রানী। স্লো পয়জনিংদের সৃষ্টি এই তাবলীগ জামাত। আমার এই কথাটার সাথে অনেকেই একমত হবেন না। আবার অনেকে গালিও দিতে পারেন। কিন্তু একটু গভীর দৃষ্টি দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

মুসলমানরা আইন মানবে না বরং আইন করবে। তারা আল্লাহ আইন সমাজে কায়েম করবে। সে আইন বাধ্যতামুলক সকল ধর্মের মানুষ শ্রোদ্ধা করবে। এই যদি হয় ইসলামী রাষ্ট্রের বিধান। সে তুলনায় তাবলীগ কোন দিন কোন আইন তো দুরের কথা একটা সেমিনারও করবে না।

তাদের সেটা কাজ না অনেকে বলবেন। কিন্তু সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাজনীতিতে অবশ্যই আসতে হবে। আমাদের নবী (সা মদীনা জীবনে রাজনৈতিক রুপ দান করেছিলেন। ঘরে ঘরে আর ধর্মপ্রচার করেন নি। ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।

বাকিটুকু পাঠকদের বিবেচনারযোগ্য....... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.