আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষণ্ণতা তোমাই দিলাম ছুটি!!!!!!!!!!!!

কয়েক দিন হল ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না। কেন জানি মনে একটা চিন্তা বারবার গুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু জিনিস টা কি সেইটা বুজতে পারতেছিনা। খুব ছটফট করি বিশানাই সাধের ঘুম আর আশে না। ভাবলাম হইল কি হালার এই মন টার?ব্যাটা কি পাগল হয়ে গেল নাকি? নাকি অন্য কিছু? কয়েক জনের সাথে আলাপ করলাম ওরা সবাই বলল আমি নাকি বিষণ্ণতাই ভুগতেছি। বিষণ্ণতা এইডা আবার কি ?খাই না মাখাই? ধুর আমি তো প্রেম ও করি না যে হিট খাইয়া মন খারাপ করমু।

চিন্তা করলাম আসলেই জানা দরকার জিনিস টা কি? করলাম হালাকা পড়াশোনা তাই আপানাদের সাথে শেয়ার করলাম। বিষণ্নতা একটি রোগ। একথা যেমন সত্য তা থেকেও বড় সত্য এটি একটি সাধারণ অনুভূতি। অন্য অনেক অনুভূতির মতই নিত্যদিনের সাধারণ সঙ্গী। মর্মান্তিক কোনো ঘটনা বা শারীরিক কোনো আঘাতের পর মানুষ কষ্ট পাবে বা মন খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক।

আজকাল বিষণ্নতা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। যদি কোনো কারণে মন খারাপ হয়, তাহলেই আমরা মনে করি যে, এই বুঝি মানসিক রোগ হয়ে গেছে। বিষণ্নতা তিনভাবে মানুষের মাঝে থাকতে পারে। এক. একটি প্রয়োজনীয় অনুভূতি হিসেবে। দুই. একটি রোগ হিসেবে।

যাকে বইয়ের ভাষায় বলা হয়-মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসর্ডার। তিন. অন্য যেকোনো একটি মানসিক বা শারীরিক রোগের সাথে- তীব্রতম অনুভূতি বা আরেকটি সহরোগ হিসেবে। বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় (গল্পের ছলে)ঃ আমাদের জীবন চলার পথে টেনশন থাকবেই। কিন্তু তাই বলে এর ক্ষতিকর প্রভাব যেনো স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে স্হবির না করে এর জন্য আমরা ‍অনুসরণ করতে পারি কিছু পদ্ধতি। যে কোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা মাফিক এগুনো উচিত।

এতে কাজের চাপও কমবে এবং কাজটিও গোছানো হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা, প্রার্থনা করলে টেনশন কমানো যায় এবং শরীরকে চাঙা করতে পারে নিমিষেই। আর শরীর ফিট তো মনও ফিট । চোখ বন্ধ করে ৯৯ থেকে উল্টো করে ১ পর্যন্ত তিনবার গুণুন। এতে টেনশনের বিষয় থেকে খানিকটা সময় মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া যায় ।

কম্পিউটারে বা টিভিতে দেখুন প্রিয় কোন মুভি, খেলুন গেইমস্, সুর হোক আর নাই হোক উচ্চস্বরে গেয়ে উঠুন পছন্দের কোন গান অথবা মিউজিকের ছন্দে নাচের ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ হাত-পা হেলিয়ে দুলিয়ে নাচতেও পারেন। যতটা পারা যায় হাসি-খুশি থাকুন, হাসি আমাদের উদ্বেগ বাড়ানো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এছাড়া যান্ত্রিক এই জীবনে মানসিকভাবে সুস্হ থাকতেও হাসি যোগায় প্রাণশক্তি! প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতার বই মনকে হালকা করার সাথে সাথে মনের জগতটাকেও করে বিশাল। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আনন্দদায়ক কোন স্মৃতির ভেলায় বেরিয়ে আসতে পারেন কিংবা প্রিয় মূহুর্তের ছবির অ্যালবামে চোখ বুলাতে পারেন।

পেইন্টিং বোর্ডে সবগুলো রঙে সেড দিয়ে এঁকে ফেলুন মনের ইচ্ছে মত রংধনু। ডায়েরিতে লিখে ফেলুন মনের সব বলা না বলা কথা। প্রকৃতি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। লেকের ধারে, ঝিলের পাড়ে কিংবা সবুজ চত্বরে যেখানে যেতে মন চায় ঘুরে আসুন। পথ থেকে কুড়িয়ে নিন একটি-দুটি বকুল বা ঘাস ফুল... দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করা আমাদের শরীর এবং মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

হালাকা কপি পেস্ট করা এই খান থেকে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।