আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অধরা

পুনর্জনমের প্রত্যাশায়...

অধরাকে সেবার প্রেম পত্রটা বোধ হয় একটু কড়া রোমান্টিক লিখেছিলাম। নাহলে আমার অজানা অচেনা পত্রমিতালী প্রেমিকা হুট করে কেন বলবে, ওগো তোমার সাথে দেখা করতে চাই শীঘ্রই। এলিফ্যান্ট রোড এর 'বাটা বাজার' এর সামনে তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে ঠিক সাড়ে ৫টা তে। আমি ঢাকাতে নতুন তখন। যথাস্তু আজ্ঞা বলে তার নির্দেশ অনুসারে আমি যথাসময়ের দশ মিনিট আগে গিয়ে ঠিক ঠিক এলিফ্যান্ট রোড এর বাটার দোকানের সামনে হাজির।

আমার হাতে ১৮টি গোলাপের একটা তোড়া। অধরাকে ফিরতি পত্রে বলে দিয়েছিলাম যে আমাকে চিনতে পারবে হাতে লাল গোলাপের তোড়া দেখে। কিন্তু একি, সময়তো গড়িয়ে যায় অধরা কেন আসেনা! আধা ঘন্টা চলে গেল। কাহাতক আর গোলাপ হাতে বেকুবের মত দাঁড়িয়ে থাকা যায়। কিছুক্ষন পরপর বাটার দোকানে ঢুকে জুতা দেখার ছলনাতে আয়নায় নিজের চুল সমান করি আর জামা কাপড় এর স্টাইল কোথাও এক সুতা নড়ল কিনা দেখি।

আরেহ এক ঘন্টা চলে গেল। তাওতো অধরা আসেনা। পথচারীরা কেন এমন করুন করে তাকাচ্ছে আমার দিকে। ওরাকি বুঝে গেছে আমি আজকের দিনের সেরা মদন হয়েছি। আরোও এক ঘন্টা অপেক্ষা করে অধরার মুন্ডুপাত করতে করতে বাসায় ফিরে এলাম।

জামা কাপড় না বদলেই কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়ি বিস্তারিত লিখে আমার সাথে এই প্রতারনার কারন জানতে। ফিরতি উত্তরের সম্মোধন আমার প্রিয় গাধা দেখে রাগের পরিবর্তে কোতুহল হল বেশী। উফফ পুরো পত্রে গাধা শব্দটা অ্যাত্ত বেশী যে সেগুলা কাটছাট করে যা বুঝলাম তাতে নিজেকে চতুষ্পদ ওই বিশেষ যন্তুটাই মনে হচ্ছিল। রাগও হল কিছুটা, কেন ঠিক ওই একই রোড এ আরোও একটা বাটার দোকান থাকতে হবে। বাটার দোকান মানেতো বাটার দোকান তা এক রোডে একটা থাকলেই হয়।

আর এর মধ্যে কোনটা 'বাটা বাজার' আর কোনটা শুধু বাটা তা আমার মত গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া প্রেমিকেরা বুঝবে কেমন করে। হায়, আমার অধরা দীর্ঘ দেড় ঘন্টা বাটা বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আর আমাকে এক গাদা গাধা উপাধি উপহার দিয়ে সারাটি জীবনের জন্য অধরা র‌য়ে গেল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।