নিজের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই। বেশীর ভাগ ছবি ব্লগ। আরেকজনের ব্লগ থেইকা কপি-পেস্ট করি,ট্রান্সলেট করি।
২৮ শে অক্টোবর,২০০৩ । সবাই যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন মার্ক জুকেরবার্গ তার ব্লগে লিখছেন:
"Let the hacking begin."
—12:58 am
মার্ক জুকেরবার্গ পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী বিলিয়নার ও তার ২বন্ধু মিলে ৪ফেব্রুয়ারী, ২০০৪ প্রতিষ্ঠা করেন Thefacebook.com LLC।
ফেসবুকের আনুষ্ঠানিক জন্ম এভাবেই। প্রথমে ফেসবুকের নাম ছিল thefacebook.com । পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এসে ২০০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়ে facebook.com ডোমেইনটি কিনে ব্যাবহার শুরু করে।
ফেসবুক ধারনাটা প্রথম শুরু হয়েছিল মার্ক জুকেরবার্গেরই ফেসম্যাস(facemash) নামক এক সাইট থেকে। হাভার্ড ক্রিমসন এর মতে এটি ছিল hot or not এর হাভার্ড ইউনিভার্সিটি ভার্সন।
এই ওয়েব সাইটের কাজ ছিল ভোটাভুটির মাধ্যমে হাভার্ড ইউনিভার্সিটির সেরা মুখটি খুজে বের করা। এ কাজের জন্য মার্ক জুকেরবার্গ হাভার্ড ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থা হ্যাক করলেন, যাতে হাভার্ডের ৯টি হাঊসের ছাত্রদের ছবি সংরক্ষণ করা ছিল। হাভার্ডে তখন ছাত্রদের জন্য কোন ডিরেক্টরি ছিল না যেখান থেকে ছাত্রদের ছবি ও বেসিক ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। চার ঘণ্টার মধ্য ওয়েবসাইটটির ভিজিটর সংখ্যা ৪৫০ সারিয়ে গেল ও ২২০০০ ছবি যুক্ত হল। পরবর্তীতে ফেসম্যাস এর আদলে ফেসবুক তৈরি করেন জুকেরবার্গ।
ফেসম্যাস ২০১০ সালে $৩০,২০১ এ বিক্রি হয়। ডেভিদ ফিঞ্চার নামক এক পরিচালক গতবছর The Social Network নামে ফেসবুক ও মার্ক জুকেরবার্গকে নিয়ে একটি সিনেমা বানান। সেখানে ফেসবুক তৈরির সময় নানা ঘটনা দেখানো হয়েছে। যদিও ফেসবুক মুখপাত্র বলেছে সিনেমায় মার্ক জুকেরবার্গকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখানো হয়েছে। তারপরও সিনেমাটি দেখলে বুঝবেন কত বাধা অতিক্রম করে মার্ক জুকেরবার্গ আজ একজন বিলিওনার।
ফেসবুকের ২৪% এর মালিক জুকেরবার্গ একাধারে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা , বিওজি সদেস্য ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা । আমেরিকার রাজনীতিতে ফেসবুকের গুরুত্ব অনেক। কিছুদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফেসবুকে একটি পেইজে সরাসরি বসে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং এই কাজটি করার জন্য বারাক ওবামা নিজে ফেসবুক কার্যালয়ে আসেন এবং হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল পেইজের মাধ্যমে জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সরাসরি ভিডিওর মাধ্যমে দেন। বিভিন্ন দেশ তাদের অফিসিয়াল মুখপাত্র হিসেবে ফেসবুক পেইজ ব্যাবহার করে। কিছুদিন আগেও নর্থ কোরিয়া তাদের প্রচার প্রচারণার জন্য একটি ফেসবুক পেইজ খুলে ।
ইংল্যান্ড তাদের নির্বাচনে ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করে।
আজ আপনাদের ফেসবুকের অফিসের ভিতরের কিছু ছবি দিলাম। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমার ব্লগ লেখার সময়টুকু সার্থক।
বর্তমান অফিস ভবন।
অফিসের এক সাইড ভিউ।
ফেসবুকের ক্যাফেটেরিয়া ।
এভাবে গল্প করতে করতে অফিসের কাজ করে।
মিটিং করার জন্য এর থেকে সুন্দর পরিবেশ আর কি হতে পারে!
আছে গান বাজনা, ডিজে এর সুব্যাবস্থা।
কাজ করতে করতে বোরিং হয়ে গেলে নিজেই নেমে পড়তে পারেন একটি গিটার হাতে
এটা অফিস না বার তা নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি
তৃষ্ণা মেটাতে সর্বদা নিয়োজিত ।
সব ফ্রি !!! দুক্স দুক্স
পছন্দের খাবার ফরমায়েশ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ।
এরকম পরিবেশে কার না কাজ করতে ইচ্ছা করে !!!
বড় করে দেখুন।
এই গ্রীষ্মেই ফেসবুক নতুন অফিসে মুভ করছে।
কুইজঃ
বারাক ওবামা এখানে কি করছেন?
১. স্পিনবল কিভাবে আরও ঘোরাতে হয় সে ব্যাপারে টিপস দিচ্ছেন।
২. সামু ব্লগের হিটের কারনে বৈশ্বিক উষ্মায়ন শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা দিচ্ছেন।
৩. ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সরাসরি জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।
৪. লাদেন কে কিভাবে পুটু মেরেছেন তা দেখাচ্ছেন।
একটি বল্টু মিয়া প্রোডাকশন।
এই প্রোডাকশনের আরও কিছু পোস্ট যা আপনাদের ভালো লাগতে পারেঃ
পুরোনো কিছু বিজ্ঞাপন - সংবাদপত্রে প্রকাশিত ( ২য় পর্ব )
ফেসবুকের কিছু ক্রিুয়েটিভ প্রোফাইল পিকচার (পর্ব-২)
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।