আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবনে র জল রং - ৭



বাবা পত্রিকার পাতা উল্টাতে উল্টাতে না¯-া করছেন তবে আজ তাকে খুব মনোযোগী হয়ে পড়তে দেখলো নীতু। -------- বাবা কি নিউজ এতো মনোযোগ সহকারে পড়ছো শুনি? আমি এসে নাস্তা শেষ করে চলেও যাচ্ছি তুমি গুডমর্ণিংটা বললে না যে আজ। -------- হু বলেই তিনি আবারও পত্রিকার পাতায় মনোযোগী হলেন। এবং কিছুণ পরই মুখতুরে বললেন ভাবছি ওরা জানলো কি করে। -------- কি এবং কারা বাবা।

পরিস্কার করে বলোতো পত্রিকাটা তুমিই পড়ছো আমি না। -------- ডেভিডের ব্যাপারটা। দেখ তুইই পড়ে দেখ ওরা লিখেছে যে ডেভিড কানাডা সেটেল হচ্ছে তাই তারা স্বপরিবারে চলে গেছে এদেশ থেকে। ওর চিকিৎসার ব্যাপাারটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক যাকে বলে। -------- তাতে তার কি আসে যায় বাবা।

ওরা চলে গেছে এটাই বড় কথা কে কি ভাবছে ওসব নিয়ে আমাদের না ভাবলেও চলবে। -------- তা ঠিক ওর যাওয়াটা উচিত ছিলো ও চলেও গেছে। এখন দেশ শুদ্ধ জেনে যাক ও চলে গেছে তাতে তার টিকিটির দেখা পাবে না কেউ। দে মা অন্য খবর গুলো পড়ি। তাড়া তাড়ি ফিরে আসিস।

ওতো কাজ কাজ করলে চলবে না। ম্যানেজাররা কি বসে বসে আঙ্গুল চুষেণ নাকি। -------- বাবা তুমি রেগে আছো কেন বলোতো? তারা তাদের কাজ ঠিকমতই করছেন। আমার প্রয়োজনেই আমি একটু বেশী সময় সময় অফিসে থাকছি। আজ তাড়াতাড়িই ফিরবো।

আসি বাব। মা চললাম। বলেই সে গাড়ীর দিকে পা বাড়ালো। অফিসে এসে সে পত্রিকা খোলে ডেভিডের নিউজটা পড়লো। বিশ্ব¯- সূত্রের বরাত দিয়ে লেখা নিউজটা তবে ঝামেলা নেই গতকাল রাতেই তার সিঙ্গাপুর ছাড়ার কথা।

এতনে সে নিশ্চয়ই ওদের নাগালের অনেক বাহিরে চলে গেছে। সে পত্রিকাটা খুটিয়ে খুটিয়ে হেড লাইন গুলো পড়ে নিলো এবং নিজের কাজে মনোনিবেশ করলো। সারাদিন অফিে করা কোন ইচ্ছে নেই আজ নীতুর। আজ দুপুরেই সে চলে যাবে বলে মনস্থির করলো। বেলা দু’টা বাজতেই ও বেরিয়ে যাবে।

সেক্রেটারীকে বললো সব ম্যাসেজ যেন লিখে রাখেন। শরীরটা ভালো লাগছে না চলে যাবো ভাবছি। মতি মিয়া গাড়ী বের করো বলে সে হ্যান্ডব্যাগ টা নিয়ে অফিস থেকে বেরুলো। -------- বাসায় চলো মতি মিয়া। ভালো সিডি থাকলে বাজাতে পারো।

রবীন্দ্র সংগীত আছে নাকি থাকলে চালু করো সিডিটা। -------- জী আচ্ছা বলে মতি মিয়া সিডি চালু করলো। নীতু গান শুনছে কি শুনছে না মতি তা বুঝতে পারছে না। সে এক মনে গাড়ী চালাতে লাগলো। নীতু চোখ বন্ধ করে মাথাটা এলিয়ে দিয়েছে।

সে কি ঘুমিয়ে আছে নাকি গান শুনছে। যা ইচ্ছে করুক আমি শুনছি এই ভালো কিছুনা শুনার চেয়ে রবন্দ্রি সংগতিটাই ভালো। এমনিতে রবীন্্রদ সংগীত মতি মিয়ার মাথা গরম করে দেয় কিন্তু এখন ভালোই লাগছে। বোধ হয় মেয়েরা কাছে থাকলে হালকা ভলিউমের রবীন্দ্র সংগীত মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এ পরিবেশে এরকম গান ভালোই মানিয়ে গেছে।

-------- থামলে কেন মতি মিয়া। নীতু জানতে চাইলো। -------- ওরা এগুতে দিচ্ছে না সামনে নাকি গোলাগুলি হচ্ছে। নীতু চোখ মেলে দেখলো অনেক পুলিশ ভ্যান ছুটে যাচ্ছে সামনের দিকে। তার গাড়ীটা একজন ট্রাফিক আটকে রেখেছেন।

পেছনে বেশ কয়েকটা গাড়ী আটকে আছে। ট্রাফিক ভদ্রলোক বললেন সামনের মোড়ে পুলিম ও সন্ত্রাসীর মধ্যে তুমুল গুরি ছুড়াছুড়ি হচ্ছে। আগনোটা বিপদজনক। পুলিশ ভ্যান এসে পুরো রাস্তাটাই সরি করে দিলো। ইতিমধ্যে এম্বুল্যান্স চলে এসেছে বলে তারা তাকে সামনে এগিয়ে যাবার ইশারা করলো এবং আবারো সীল করে দিলো পুরো রাস্তাটা।

নীতু মোবাইলটা বের করে বাসায় কল করলো। ঋতু ফোন ধরেই বলল এখনও এলে না আপু। এদিকে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্রথমে দু’দর ছোকড়ারা বোমা ফাটাল গুলি ছঁড়লো। বেশ কজন আহত শুনলাম।

আধঘন্টা আগেই পুলিশ এসেছে আবার শুরু হলো গেলাগুলি। এবার দুই প্রতিপই এক হয়ে পুলিশের সাথে লড়ছে। -------- কোথায় ঘটছে ঘটনাটা বলবিতো। -------- মোড়ের ওপাশেই প্রথমে নাকি শুরু হয়েছিলো। বাসায় আছিতো তাই বলতে পারছি না তবে শব্দ বেশ শুনা যাচ্ছে।

-------- আমি রাস্তায় আটকা পড়েছি না এগুতে পারছি না পেছাতে। আগে পিছে লম্বা গাড়ীর সারী মনে হচ্ছে কত যুগ ধরে বসে আছি। -------- তুই কি রবীন্দ্র সংগীত শনছিস আপু? -------- শুনছি না ওটা বেজেই চলেছে এবার বোধ হয় শুনতেই হবে। রাখি তাহলে। -------- ঋতু টিক আছে বলে লাইন কেটে দিলো।

অজানা আশঙ্কায় নীতু কিছুটা কম্পন অনুভূত করলো তার হৃদপিন্ডে। ঐ মোড়ে দীপ্তরাই সব সময় আড্ডা দেয়। তাদের সাথে কেউ মারামারি শুরু করেনিতো। কেউ আহত হলো। দীপ্ত কি সুস্থ আছে।

ওর কিছু হলে আমি কোথায় মুখ লুকাবো। ওকে কি আমি বাধ্য করিনি ওরকম হয়ে যেতে। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরুলো ওর বুক থেকে। মতি মিয়া আমার জন্য এ বোতল ঠান্ডা পানি কিনে আনবে বেং খোজ নিও কখন এ ঝামেলা থেকে আমরা রেহাই পাবো, বলে সে মতি মিয়াকে একটা একশ টাকার নোট ধরিয়ে দিলো। মতি মিযা দরজা লক করে তবে গেলো এবং কিছুণ পরই পারিন বোতল হাতে ফিরে জানালো- আর মাত্র কিছুণ ওরা রা¯-া খোলে দিবে।

ওদিকে ঝামেলা নাকি থেমে গেছে। লোকে বলাবলি করছে অনেক মানুষ আহত। পুলিশ পাবলিক সন্ত্রাসী সবই আছে আহতের দলে। বেশ কজন ধরাও পড়েছে শুনেছি। -------- ঠিক আছে।

মতি মিয়া আর কোন সিডি নেই নাকি? যখনই তোমাকে গান দিতে বলি ঐ একটিই সিডি তুমি চালু করো। কি ব্যাপার কথা বলছো না যে.............. -------- অনেক সিডি আছে ......... তবে রবীন্দ্রসংগীত ঐ একটাই। ভাইজান সব নিয়ে গেছেন। -------- ঠিক আছে ঠিক আছে এ সিডি পাল্টাও। তোমার ইচ্ছে মতো একটি সিডি চালু করো।

মতি মিয়া একটি আবৃত্তির সিডি চালু করলো। আবৃত্তির ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বেজে চলছে। নীতু ভাবলো ব্যাটার রুচীবোধ ভালোই বলতে হবে। কি সিডি এটা মতি মিয়া? -------- চিঠি, ভাইজান কিনে দিয়েছেন। বাসার প্রত্যেক গাড়ীতে এই সিডিটা আছে।

ভাইজান কিনে রেখেছেন। তার খুব প্রিয় এ সিডিটা। -------- ও আচ্ছা। নীতু মনোযোগ সহকারে শুনছে “বন্ধু আমি পেয়েছি ওরা আমার গানের বন্ধু ..............” কাজি মোতাহার হুসেনকে লেখা কাজী নজরুল ইসলাম এর চিঠি এটা। চমৎকার হৃদয়স্পর্শী চিঠি।

নীতুর বুকটা হঠাৎ শূন্যতায় ভরে যেতে থাকলো। ও চোক বুজলো গভীর মমতায়........ কখনযে বাসায় চলে এসেছে নীতু বুঝতে পারেনি। ও ঘুমিয়ে পড়েছিলো আবৃত্তি শুনতে শুনতে। মতি মিয়া তাকে ডেকে তুললো। সে সিডিটা নিয়ে তার কামরায় উটে এলো।

পুরো সিডিটাই শুনা দরকার। নীতুর বেশ পছন্দ হয়েছে তা। সু মনের কামরায় একবার ঢু মারলো নীতু। এ সময়ে তাকে পাওয়ার কথা না তবুও ওর জানা দরকার ডেভিডভাই ফোন করেছিলেন কীনা। নীতু জানে পৌছে অবশ্যই একটা কল করবে অš-ত।

সুমনকে পাওয়া গেলো না তাই নীতুর মনটা খারাপ হলো একটু আধটু। সে তার কামরায় চলে এলো। দুপুরের খাবারটা এ বাড়ীতে রোজই তিনটায় হয় কিন্তু আজ যেন একটু তাড়াতাড়িই সবাই খেয়েছে। সে একা একাই ডায়নিং রুমে খেতে বসলো। ভাতগুরো যেন গলা দিয়ে নামতে চাচ্ছে না।

ও কোন ক্রমে দু’দলা খেয়ে উটে পড়লো। একটু ঘুমানো দরকার। সিডিতে ‘চিঠি’ ঢুকিয়ে সে ঘুমের ভান করে বিছানায় পড়ে থাকলো। -------- আপু এই আপু উঠনা সন্ধ্যে মিলিয়ে এলো এতঘুম কিসের শুনি। ঋতু কথাগুলো বলে সজোরে ধাক্কা দিলো নীতুকে।

আজ বেরুতে পারেনি। এসব ফালতু ঝামেলা ওর একটুও ভালো লাগেনা। বাবা তোরা মারামারি কাটাকাটি করবি মাঠে গিয়ে কর পাড়ায় পাড়ায় কেন। এরাই নাকি এদেশের প্রাণ। জানিনা এরা দেশকে কি দিতে পারবে।

-------- হু, বলেই নীতু পাশ ফিরে শোয়ে থাকল্ োঋতু জানে ও পাশ ফিরলেও অসুবিধা নেই্ আর ঘুমাবে না ও দশ মিনিট আনমনে বিছানায় পড়ে থাকবে এবং লাফ দিয়ে উঠে বাথরুমে ঢুকবে ও। টো এ বাড়ীর প্রায় সবারই অভ্যেস। বলাযায় বংশধারায় এটার বাহক। জীন তাদের সকলের মাঝে বিদ্যমান। ঋতু তার কামরায় চলে এলো সে ভালো করেই জানে নীতু ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই ওর কামরায় আসেব কি ব্যাপার জানতে।

-------- নীতু এই নীতু তোর কি ব্যাপার বলতো মা। পুরো পাড়ার মানুষ আজ বিমর্ষ আর তুই কিনা ঘুমুচ্ছিস। হাসান সাহেব এক মনে কলতে থাকলেন উঠো মা ফ্রেশ হয়ে এসো। -------- নীতু কোন কথা না বলে বিছানা ছেড়ে বাথরুমে ঢুকল্ হাসান সাহেব তার চেয়ারটার দিকে অগ্রসর হলেন। চায়ের টেবিলে নীতুর সাথে সুমনের দেখা আজ তার দু’জনেই লেট করেছে।

সুমন বলল পাড়ার কোন খবর শুনেছিস নীতু, দু’দুটা লাশ পড়েছে আজ। আরো ক’জন চলে যাবে যাবে করছে। -------- কি বলছো ভাইয়া? নীতু অবাক হলো সুমনের কথা শুনে। -------- তাইতো শোনলাম। -------- যারা মারা গেছে তারা ডেভিড ভাইদের দরের নাকি? -------- দ্বীপ্ত নাকি নাম এক জনের।

তবে খবরটা পেয়ে যাবো এুনী। দাড়া একটা কল করে নেই। তার কাছে সব খবরই তাজা তাজা পাওয়া যায় ক্রাইম রিপোর্টার কীনা। দ্বীপ্ত.. দ্বীপ্ত.. নীতু নামটা দু’বার বিড়বিড় করে বলল্ োওর মনটা জানি কেমন করছে। সেই দ্বীপ্ত নাতো।

যাকে সে বকে দিয়েছিলো। সে নিজেকেই প্রশ্ন করলো ওরকম না করলেই কি হতো না ছেলেটার কোন দুস দেয়া যায় না। সেতো তাকে ভালোবেসেই মরে গেলো ওর ভালোবাসার পস্খুিদানাঁর নি§ত পার§লানা। - + - সুমন বলর নীতু কি ভাবছিস্? মই নীতু!! ক্স না শিছু না। ¦কান খবর পেলে?+তারা ¦কান খবর জানে না ত§ব শু§ন§ছ পুলিশ লাশগুলো তুলে নি§য় সেয়ে।

পোষ্টম§র্টম করুে হবে, ওরা ৎেনে যা§বন। খবর পেলেই আমাশে ৎানা§ব ব§ল§ছ। নীুু তাশে বল§লা ধামা§ক জানিও ভাইয়া। ধামি এশটু ¦বরু§বা ঢ়লি হ্যান্ডব্যাগাঁ নিুে হবে। -শোন ষুশীর ষবরটাুো ুো§ক দেয়াই হয়নি।

ধপু ধাৎ ফি§র§ছ ত§ব আসের অপুটি নয় ¦স-শেন তার আবার শি হলো? নুিু জান§ত চাই§লা। -শি হুে বাশী থাক§লা বলো। ¦স এষন আমার ঢ়েয়ে বিল্টবান নতিু। ওর নানী ওর না§ম এশটা চিঠি লিষে নগদ পঞ্চাশ ল াঁশা সহ মক মাওলানা সাহেবের কায়ে ধপুশে মানুষ শরার খরছ বাবদ দি§যছি§লন্ ওর নানী মারা যাবার পর অপু হারিয়ে যায় মবং য মারলানা মহামানবঁি য াঁশা আর ঢ়িাি ধাসলে রা§খন ধাপন পরিবার না গ§ড়ন। আজ সশা§ল কল শর§লা ময়মনসিং ¦য§ত হ§ব ব§ল।

রর দেয়া ঠিশানা ম§তা ¦প্রয়ে ধামার ঢ়ু ঢ়ড়§ক সেয়ে। ষাট বয়রের এশ বৃ§দ্ধর সা§থ ও ব§স চা ষা§”য় সল্প করয়ে। ওর পু§রা শাহিনী শু§ন আরো অবাশ হলাম। ক্স §খালে বলো না ¦কন ভানয়া ¦তামার ওমন কাবর্াুায় আগামাথা কিয়ুন বুংুে পারয়ি না। ক্স মক কাজ কর ুুন ¦সাজা রর ওষা§ন সিয়ে ষবরটা ¦জ§ন আয়।

পারলে ুা§কর নি§য় আসিস্। রাতাঁ না হয আমার সাে াশব্ েঅ§নশ সল্প জ§ম আয়ে। -ািক আয়ে ¦তামাশে বল§ত হ§ব না ধামি ও§ক নিয়ে যা§বা কিয়ু খরছপাতি করুে হবে। ফেরার প§থ ও§ক নিয়েই ফির§বা। -এশ শাৎ শর না রশে মকাঁ মোবানল শিনে ¦দ না।

যষন তষন বাবর ুা§ক চায় মোবানল থাক§ল কল শরে ধাসুে বলাও যাবে। -শিনে দি§ত হ§ব শেন ওরুো টাকা পয়সা শোন সমস্যা ¦নন। ও শিন§ত পারে না। নীুু কাগুলো বললো খানিকাঁ রাগ কুরেই। শুোবার ধপুশে ¦মাবাইল কি§ন দিুে ¦চ§য়§ছ নীতু কিº‘ ওন নি§ত চায়নি।

বলেকীনা মটা ফঠ§কা ংা§মলা খালি সা§য়ন ¦য হো§ষ্ট§লর ¦গঁ ঢ়রে ধা§স জামার কান মনে া§কনা তার আবার মোবানল। শখন ¦কাথায় ফেলে ধাসবে মজন্য নাশি ¦মাবাইলটা ুার প্র§য়াজন ¦নন্ পেয়ে হারা§নর ¦চ§য় না পারয়াই ভালো। নীুু ভাব§লা মকাঁ শিনে বাবার শথা বরে গিফট করা যায়। ¦স বলবে বাবা এাঁ ুোমার ৎন্য কি§ন§ছন তিনি চান তুমি ¦যষা§নন যার ুা§ক ব§র যাও। র ¦দাকানে ীু§ক মোবানল শিনে নি§লা ধপুর নামেই।

শালই ছবি দেবে বলে দি§লা। দোশানীাঁ বেশী শথা বলেনি ¦বাধ হয় ¦ম§য় মানুষ ব§লন সত্যবাদী বরে ¦ভ§ব§ছ। ুা না হলে য়বি য়াড়া ওরা কশনর ¦মাবাইল সং§যাগ দিুে ঢ়ায় না। ¦স সেট টাশে বক্সে পু§র সুন্দর ক§র প্যাশ শরে দি§ত বললো যাুে বুংা না যায় মর ভেতর ¦মাবাইর ধা§ছ। ¦দাকানী ধসম্ভব দ্রক্ততুার সা§থ তা শরে দি§লা।

বিলাঁ মিঁিয়ে নীুু গাড়ীুে ফিরলো। মুি মিয়া§ক অপুর ¦হাষ্টেল ব§ল অপুর ¦মাবাইল নাম্বারাঁ তার সেঁে মড ক§র নিলো। র ভাবয়ে ¦স অপু§ক বলবে প্যাশেটা শাল ষুলুে। ওাঁ রক্তমে ¦র§খ তাশে মভন নীুুর সা§থ মার্শে§ট যেুে হবে। ওর বারক্তম সামস্রী সব শেষের প§থ অপু থাক§ল সময়াঁ বেশ ভালোন ¦ক§ট যাবে।

তাছাড়া ধপুর মাওলানা সাহেবের ঘঁনাটা র ভা§লাভাবো জানা যা§ব। ক্স ধপু ভান- এমনিুে নীুু অপু ব§লন াি§ক শুধুমাল্ফ মখানাঁয় মলে ধপুভাই ব§ল ডাক§ত হয় ¦কননা রর রক্তম মেটাঁ সবান ৎা§ন অপু সুম§নর বাল্যবন্ধু। শেউ শেউ§তা ৎা§ন অপু সুম§নর ভান ¦গায়ের আত্মীয়। -শিরে ুুন ঢ়লেও এ§সছিস- অপু§ক তাশে বলল ¦বাস জুতাটা পরে ¦নন মখনই বেরক্তবো। ক্স §কন? শেউ শি ধামা§ক আস§ত নিষেধ ক§রছি§লা নাকি? ¦চয়ারটায় বসুে বস§ত নীতু পাল্টা পস্খশঙ্ক শর§লা।

-তা শর§ব নে? ওরা শি ৎা§ননা তুই আমার কু ভা§লা মকাঁ বোন। হেসে ¦হ§স কা গুরি বললো অপু। ক্স §কাথাও যাওয়া চলবে না। নীুু ব§ল চললো- ¦তামাশে মভন ধামার সা§থ বেরক্তুে হবে ¦সাজা, প§নর মিনি§টর ন্য এশটা মা§র্কঁে যা§বা ¦সষান ¦থ§ক বাসায় এশসাে ডিনার সারবো আজ তুমি ধামা§দর রখানেই থাক§ব। ক্স ুাহরে ধার মকুঁ বোস ধামি এুনী আসছি।

ধপু পা§শর রু§ম চ§ল সেলো। রখান েশে মিনিঁ পাঁঢ়েক পর ঢ়া হাুে ফিরলো। ¦ন চা াঁ শেষ কর। চারক্তকলার ঢ়া টা ¦বশ ভা§লা। ষেয়ে ¦দষ মমন ঢ়া খুব কম মানু§ষর ভা§গ্য ¦জাঁে।

ুোর হা§ত ওাঁ শি?-ওাঁ এশটা গিফট বাবা ¦তামাশে দি§য়§ছন রটা মখনই তুমি পা§”য়া না ধবশ্য বাসায় সেরে ুারপরই পাবে। বাবা ¦তামাশে ধা§রা সারপস্খানজ দেবেন ুৈরী ¦থ§কা। -শেন§র ব§ল যাইনি ব§ল বুংি ষুব ¦র§গ আয়েন? ুা তাক§বন ¦কন? ুোমার গুণধর বহৃু ব§ল§ছন প্রাকটিশ্যাল পরীার ৎন্য ¦তামরা আউঁিো§র আয়ো। শীহ্রন ফিরবে। ুোমার ¦ভ§ব রাখা ফঢ়িত তুমি ¦কাথায় য়িলে ¦য এশটা ¦ফান পর্যº- করুে পা§র§ল না।

চ§লাুো ও§তা ভাবাবাবির দরশার ¦নন। ুিনি সব ভুলে ¦গ§ছন ¦বাধ হয়। - ধপু নীুর সাে মা§র্কঁে ঢ়লে মলো। ¦স শিছু না ব§ল ভাব§ছ শি বলা যায় ুা§ক। ঢ়াঢ়া নিশ্চয়ই বেশ বশাংকা শর§বন।

সে সিস্টাº- নিলো সে ুা§ক স্যু ঘঁনাটা ¦খালে বল§ব। ুার ৎানার দরশার মটা ুার ধধিকারের ম§ধ্যই প§ড়। ক্স কি ব্যাপার ধপু মকাঁ কার না ব§ল অ§তাস§তা কি ভাব§ছা? নতিু ৎানুে ঢ়ানলো। ক্স ভাবয়ি ঢ়াঢ়া§ক স্যু কান বল§বা। -মাওলানা আর ুোমার নানীর ¦সন ধাসরুলা ষড়যন্ত্র মামলাটা নাকি? ক্স হু ুুন সব ৎেনে ¦গছিস নাকি? নিশ্চয়ন সুমন সবানশে ৎানি§য়§ছ, ুাননা?-ম§ন হয় না, ¦স শুধু আমাশেই ব§ল§ছ তাও ভাসাভাসা।

বাসায় সিয়ে মকবারই ব§লা সবাই এশসানে শুন§বা। নামো এষান ¦থ§কন মগু§লা কি§ন নেই। ক্স ধামি থাশি ুুন কি§ন নিয়ে ধায় ধপু ধনুনয় শরে বল§লা। -আসো§তা ¦তামাশে সঙ্গে ধানলাম শোন ষাতি§র গাড়ীুে বসে াশার ৎন্য না নিশ্চয়ই। ধপুশে নামুে হলো।

কিয়ুনেই নীতু শারয়ার ৎেল, শ্যাম্পু, বিি ¦লাশন, আইশ্যািো, লিপলাইনার সহ অ§নশগু§লা প্যাশেট নিয়ে শাফ›াঁ§র চ§ল এ§লা। বিলাঁ মিঁিয়ে দি§লা ধপু ¦কান বাক্যব্যয় না শরে প্যাশেটা হা§ত তুলে পার্কিং ফোরে নামুে লাসলো। নীুুুুন কি কফি খাবি মখানশার শফিটা ¦বশ ভা§লা ঢ়ল এশ শাপ শফি ¦খ§য় তার পর ফিরি। না আমার ই§”য় শর§ছ না। ওাঁ ষেলে ধামার হুম ধা§সনা।

ুুমি কফি খাও আমি ধানসক্রীম নি”িয়। অপু কফি ও আইসক্রীমের কা ব§ল সিগারেট ও লাইাঁর ¦রীি ক§র নেিলা। শফির সাে সিসা§রঁ ¦বশ ভা§লা লা§গ ওর নীুু আশেপাশে ¦দষুে ব্যা¯ক্স। এন ফাঁশে সিসা§রঁ াঁয় শয়েকাঁ দম ¦ম§র দেয়া যা§ব। বি§লর ংা§মলাাঁ চুশিয়ে ুারা গাড়ীুে ফিরলো।

¦বশ ¦জারেই চালা´েছ মতি মিয়া। সিিিুে হালকা ভলিউ§ম বেৎে ঢ়ল§ছ রবীগ্ধদ্র সংসীু-- )“ধামার পিস্খয়া হবে মসো রানী ) )দেবো ষোঁপায় তারার ফুলষ্ট ক্স ুারার ফুল ¦দষুে §কমন হ§ব। শবি গুরক্তর গানে রমন ফদ্ভট কা থাক§ব শেন অপু ভাব§ছ। সে নীুু§ক বললো শু§নছি এ§কাঁ তারা পৃথিবী অ§পা অ§নশ বড় হ§য় থাশে। গুরুৎী এগুলো§ক মালাুে ¦গঁে মশেবারে ¦খাঁপায় বাঁধার কল্পনা কিভা§ব করলেন নীতু।

-তাশেই ৎিপ্সেস ক§র রি ধামি শি শরে বল§বা?-কাশে জি§জ্ঞস শর§বা ফনিুো আমার জ§ন্মর পূর্বেন পৃথিবীর মায়া ত্যাস শরেয়েন। ুুমিই বলো মতি মিয়া মটা কি ুিনি ঠিশ লি§খ§ছন?-জানিনা ধপু ভান। আপনারান ভা§লা বুংবেন আমি ধশিতি মানুষ ওসব শি বুংবো। ৎা§না না জুংোর না তাহ§ল এ ঘ্যানর ঘ্যানরাঁ বাজা´েছা ¦কন? বহৃ শর§লনুো পারো। ধপু ¦হ§স হেসে শথাগু§লা বলল।

-মতি মিয়া ¦কান কা না বলে সিডিাঁর সুনচ অফ শরে ধা§রা ¦জারে সাড়ী চালাুে লাসলো। রর ম§ন হ§”য় সাড়ীাঁ স§জারে ¦কান এশটা ্রাঁশের সাে ধাক্কা ষেয়ে ফল্টে যা§”য় ¦স আরো স্পীি বাড়ি§য় দিলো। রা§ত বাসায় ফিরে ধপু হাসাব সা§হ§বর সা§থ দেখা শর§লা। সালাম বিনিম§য়র পর পরই ুিনি পরীা §কমন হ§লা ৎানুে ঢ়ানরেন। ধপু ৎবাব দিলো ভালো বেশ ভালোন হয়েয়ে।

নীতু সবাই§ক ঁিঋি রু§ম আস§ত ব§ল নিৎে ঢ়লে মলো সে ৎা§ন তার মা ধাসুে পারবেন না ুা§ক শোয়ি§য় দেয়া হয়েয়ে। তার ই§”য় হলেই তনি আস§ত পার§বন না তার প্যারালানজ্ড হ§য়ছি§লা বছর তি§নশ ধা§গ হুনল ঢ়েয়ারে াশলে তিনির শরীক হ§তন কিº‘ এষন পার§বন না। ধপুর ঘঁনাটা ুার না শোনাাঁন ভা§লা নীুু ভেবে ¦দষলো। ধপুর ঘঁনা শুনে তিনি আঁঢ় শরে ¦ফুতে পারেন ধপুর আসল পরিচয় ুা§ত বিপদ হুে পা§র। ধপুর তার মাশে ¦লষা ঢ়িািটা নীুু প§ড়ছি§লা বরে ¦স জানে ধপর শাছে অপুর শা§ছ হাসান সাহেব শেমন ধাঁঢ়ের ব্যক্তি।

নতিু ঢ়ায়না সত্যটা প্রশাশ ¦হাক। সত্য প্রশাশ হলেই এষা§ন সমূহ বিপদ। াশ না শিছু ধসোয়া§ল্ াসব কিয়ু সোছগাছ হয়ে সেলে সুগ্ধদর ধার শুৎসিত এ দুযের মধ্যে পার্থক্য করা যাবেই বা কিভাবে। ধপু ুাও হটনা বলুে শুরক্ত শর§ছ। মকে মকে সবাই পস্খথম প্রশ্ন করছিলো এখন সবাই নিশ্চুপ শ্রে“াতা।

কারো মুখে কোন শব্দ নেই কেবলই অপুই বলে চলছে। বোয়া এসে চা দিয়ে গেলো। চায়ের সাথে সাথে চললো এক বিশ্ব¯- মানুষের আত্মত্যাগের গল্প। এটা কোন কিচ্ছা কাহিনী না। সত্য সত্যই ঘটে যাওয়া এক অবিশ্বাস্য বা¯-ব চিত্র।

এরকম মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা বড়ই তৃপ্ততার সাথে টিকে আছে। -------- কি ব্যাপার নিলি এতো সেজেগোজে কোথাও বেরুচ্ছো নাকি? সুমন ক’দিন হলো নিলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। প্রায় দিন সাতেক পর নিলিকে দেখে পরিচিত ভঙ্গিতে কথাগুলো জিজ্ঞেস করলো সে। -------- বাহ সাহেব এলেন তাহলে। আমিতো ভেবেছিলাম আর ওমুখোই হবেন না।

নিলির ঝটপট উত্তরে সুমন খানিকটা বিব্রত বোধ করলো। সে বললো একবার কল করে খোজও নিলে না আছি না কি মরে গেছি। -------- কেন মরে যাওয়ার মতো কিছু কি ঘটেছে নাকি? -------- ঘটতেও পারতো, পত্রিকা পড়োনি? এইতো দিন পাঁচেক আগেই আমাদের ওখানে তুমুল যুদ্ধ হলো। দু’গ্র“পে তুমুল গুলাগুলি করলো নিজেদের মধ্যে। পুলিশ এলা পরিস্থিতি শান্ত না হয়ে আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠলো।

দু’গ্র“প একত্র হয়ে খোদ পুলিশের সাথে লড়াই শুরু করলো। দুটা লাশ পড়ে থাকলো গলির মোড়ে বেশ কজন সিরিয়াস আহত হলো। পুলিশও যোগ হয়ে আহতের তালিকা গীর্ঘায়িত করলো। -------- তা এতো কিছু ঘটে গেলো! বিশ্বাস করো কিছুই জানি না। পত্রিকা প্রায় পড়াই পয়না আজকাল।

এ রকম জানলে আমি তোমাকে কল করবো কি সোজা তোমার বাসায়ই হাজির হতাম। -------- ডেভিড চলে যাওয়ার পর দিনই ঘটনাটা ঘটেছে। বলা নেই কওয়া নেই এরকম ঘটনা ঘটবে কেউ ভাবতে পারেনি। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দু’পই চেষ্টা করছিলো বেশ ক’বছর ধরে। ডেভিড থাকায় দ্বীপ্তরা বেশ শক্ত অবস্থানে ছিলো।

যেই ও চলে গেলো অমনি দ্বীপ্তদের প্রতিপ হামলে পড়লো তাদের উপর। ফলশ্র“তিতে দু’পরে দু’জন পরপারে চলে গেলো। বুঝলে নিলি এদেশটার কোন ভবিষ্যত নেই। আমি তাকালে কেবল ধূঁধূঁ বালিময় প্রাš-র দেখি। -------- থাক, ওসব নিযে তোমায় বাবতে হবে না।

এসব ভাবাভিাবির জন্য সরকার বিরোধীদল আছে। তুমি শুধু আমাকে নিয়েই ভাববে। এজুকু করলেই তোমাকে এ পাস দেয়া যাবে। -------- তাহলেতো তোমাকে নিয়েই ভাবতে হয়। সুমন বলে চললো- তোমার আর যাই হোক ভবিষ্যতটা মরুভূমির মতো ন্ াবাবা-মায়ের একমাত্র আদরের দুলালী।

হ্যান্ডসাম প্রায় প্রতিষ্ঠিত একজন বয়ফ্রেন্ড। বছর ঘুরতে না ঘুরতে বিয়ে হবে পরের বছর এদেশের জনসংখ্যায় আরো একজন বাড়তি মানব কিংবা মানবীর আগমন। মাঝখানে শুধু বছর খানেক ফুঁচকা চটপটি আর পার্কের বেঞ্চে ঘন্টার পর ঘন্টা বাদাম ঝালমুড়ি; বিশাল বৃরে আড়ালে একটু আধটু দুষ্টুম্ ীএইতো জবিন তোমার আমার। নো ভাবনা নো টেনশান। যায় সবি গোলায় যাক, তুমি আছো আমি আছি ভালোবাসা পুর্ণতা পাক।

-------- এইতো লি ছেলের মতো কথা। তা বিয়ের ব্যাপারেও ভাবতে শুরু করেছ নাকি? -------- না নিলি, এমন লুকোচুরির মজাটা বিয়ের পর থাকে না। আমর লুকোচুরিটাই ভীষণ বালো লাগছে। -------- আর কতকাল এ খেলা চলবে মশাই? সব কিছুরই একটা শেষ থাকা চাই, তাইনা? নীলি শাš- স্বরে বলে চলল। শোনো তোমাকে সেই নববর্ষের প্রথম প্রহরে একটি কথা বলেছিলাম।

মনে আছে? কিছুণ অপো করলো ও। সুমন নির্বাক শ্রে“াতা। তার মুখটা দেখে নিলি আবারো প্রশ্ন করলো- নববর্ষের আমার একটা প্রতীজ্ঞা। এবার মনে পড়েছে নিশ্চয়ই? সুমন হ্যা সূচঁক মাথা নাড়লো ঠিকই কিন্তু ধ্র“ব তারার মতো সত্য ওর কিছুই মনে নেই। কোথাকার কি প্রতীজ্ঞা ওসব মনে রাখার কোন মানেই ওর কাছে নেই।

নিলি বলে চলছে আমার প্রতীজ্ঞা ছিলো আমি অসার্স ফাইনালের আগে কারো সাথে ডেটিং করবো না। কারো প্রেমে হাবুডুবু খাবো। ফাইনাল দেবার পর নববর্ষের প্রথম প্রহরে যার প্রথম মুখদর্শন করবো তাকেই ভালোবাসবো। যদি সে প্রত্যাখান করে তবে অন্য কথা। নববর্ষের প্রথম মুখটা তোমারই ছিলো।

তোমাকে ভালোবাসতে চাইলাম পাগলের মতো। অবশ্য তুমিই যে আসবে সেটা আমি জানতাম। আমার বাবা খুবই ভীত ছিলেন আমার ঘরমুখো স্বভাবের জন্য। আমার সব বন্ধুরা মার্কেটিং করে, ছেলে বন্ধুদের সাথে এখানে ওখানে হৈ হোলোড় করে কিন্তু আমি সারাণ বাসায় থাকি। বাসায় শুধু আমি আর কাজের মেয়েগুলো।

সারাণ বাবা টেনশানে থাকতেন। তিনি আমার বান্ধবী মীরার সাথে আলাপ করলেন। জানতে পারলেন আমার প্রতীজ্ঞার কথা। জানতে পারলেন আমার কাছে হাজারো ছেলের প্রপোজালের রম্য কাহিনী গুলোও। তিনিই তোমার বাবাকে বলে তোমাকে দিয়ে ভাড়ার টাকা গুলো উঠিয়ে নিতে বললেন।

ভাবলেন তাতে যদি মেয়ে বদলে যায়, ভালোবেসে ফেলে সুমন নামক ছেলেটিকে। বাবা ইচ্ছে করেই ভাড়ার টাকাটা তোমাকে পরিশোধ করতেন না, যাতে তুমি আবার আসো। আমার সাথে দু’দন্ড কথা বলো বদলে ফেলো আমার কর্তমানকে। আমি তোমাকে কিছুই লুকোতে চাচ্ছিনা সুমন। তুমি কি শুনছো? সুমন ‘হু’ বলল।

তোমার ইচ্ছে হলে সিগারেট ধরাতে পারো, এখানে কেউ আসবে না। এসময়টাতে বাবা কখনও ঘরে থাকেন না। তুমি কি জানো আমার এবং তোমার বাবা দু’জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দু’জনেই চেয়ে ছিলেন আমরা একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করি তাই এমন মহা আয়োজন তারা করেছিলেন। গুলসান এলাকায় আমাদের দুটা বাড়ী আছে আমরা ইচ্ছে করলে ওখানে চলে যেতে পারতাম কিন্তু তাদের পান ভে¯ে- যাবে এই জন্য বাবা এ বাসায়ই আছেন।

কিন্তু সুমন খুব সত্যিকরে বললে বলতে হয় তুমি এখনও আমাকে সহজ ভাবে নিতে পারছো না। আমিই বা পারলাম কই? বাবাকে খুশী করতে গিয়ে ভেবেছিলাম তোমাকেই আপন করে নেবো। আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় তোমাকে সিক্ত করবো। আমি তা পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা হয়ত।

তবে তোমাকে মানতেই হবে চেষ্টা আমি খুব একটা কম করিনি। তুমি আমার বেশ ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছো। লাইফ পার্টনার বলতে যা বুঝায় তা হতে চাওনা তুমি কখনো। তোমার ও আমার মাঝে বি¯-র মতপার্থক্যও আছে। শুধরে দেবার মতো যা যা আমার মাঝে বিদ্যমান ছিলো তা আমি সেই কবে করে ফেলেছি।

তারপরও এমন অনেক কিছু আছে যা বদলে ফেলা যায়না। মৌলিক পার্থক্যগুরো আজবিন বয়ে বেড়াতে হয় মানুষকে। আজ আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি আমি তোমাকে কিংবা তোমার ব্যক্তি সত্ত্বাকে ভালোবাসতে পারিনি, ভালোবেসেছিলাম আমার পিতার পানটাকে জিতিয়ে দিতে। তিনি জিতেছেন বলে আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন কী না আমি জানিনা কিংবা আমাদের বিয়েটা যদি না হয় তিনি কতটা আঘাত পাবেন তাও অনুমান করতে পারছি না। কিন্তু সুমন তুমিই বলো- এই একটি মাত্র জীবনে ঠিক কতোজন সুখী করা যায়।

কেউ কেউতো দুঃখটাকে পেতেই পারে এক আধবার। তাই না? -------- বেশ গুছিয়ে বলতে পারো তুমি। আচ্ছা নিলি এই কথাগুলো তুমি জমিয়ে রাখলে কেন? একবারও কি ইচ্ছে হলো না আমাকে জানানোর। আমিওতো তোমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতে চেয়েছি, আমি পারিনি। পার্থক্যগুলো এমন প্রকট ভাবে পথটা আগলে দাড়াতো যা সরিয়ে দেয়ার সাধ্য আমার কখনও হয়নি।

তবুও আমি চেয়েছি ভালোবেসে যেতে অহির্ণিশ। তাও হলো না। এখন এই শুভনে তোমার শদুর প্রত্যাখান আমাকে আরো ভীত করে তুলেছে। তবে কি আমি পারিনি তোমাকে বুঝে উঠতে? নিলি আমরা খুব ভালো বন্ধু হতে পারি সত্য কিন্তু বিয়ে নামক সামাজিক বন্ধনটা এতোটা পোক্ত এবং শক্ত হবে না অš-ত আমাদের দুজনের বেলা- এ আমি টের পাই। আমার হৃদপিন্ডের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা পোঁকাটি চুপিচুপি আমাকে জানান দেয়, তোমার বাউন্ডলে স্বভাবটাই বেশ ভালো সুমন।

তুমি কি তোমাতে বেশ সুখে নেই? যাক না আরো কটা মাস কিংবা বছর তারপর না হয় ভাববে ওসব নিয়ে। নিলি ভালোবাসবার মতো অবসর আমার নেই আজকাল। প্রচন্ড উন্মুত্ততায় আমি ভালোবেসেছি আমার ব্যক্তিত্বকে আমার শিল্পি সত্ত্বাকে। আমি আমার ক্যানভাসে আমারই প্রতিকৃতি আঁকতে থাকি দিনভর। সেখানে আর কারো দপ্ত পদচারনা এ মনটা মেনে নিতে পারে না।

তুমি এবং আমি আমরা দু’জনেই একই পথের পথিক কিন্তু আমাদের গš-ব্যটা ভিন্ন। তুমি ভালোবেসেছো অন্য কাউকে সুখী করার জন্য আর আমি বেসেছি ভালোবাসার রংটা কেমন জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল বলেই। সেই প্রথম তোমাকে দেখে যে অনুভূতী আমার হয়েছিলো ঐ শুভ্র সিফন শাড়ীটা তুমি আজও পরেছো অথচ সে অনুভূতীটা আজ আর নেই। লোকে বলে বেদনার রংটা নীল ভালোবাসার রংটা কি, কেউ বলেনি আজও। বড্ড ইচ্ছে ছিলো জানার রংটা কি সাদা নাকি আকাশের রংধনুর সব রংই ভালোবাসার রং।

তুমিও পাররে না আমিও জানতে পারলাম না। নাইবা পাররাম তি কি তুমিতো অš-ত আমাকে বুঝতে পেরেছো। এই বা কম কিসে। নিলি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সুমনরে কথা শুনছিলো সুমন বিদায় নিতে চাইলে ওর খেয়াল হলো- বসো, আরো এককাপ চা হয়ে যাক তারপর না হয় যাবে। বুয়াকে গরম পানি চড়াতে বলে ও আবার ফিরে এলো- আমি চা বানাবো, তুমি শিখবেনা কিভাবে চা টা বানাতে হয়? সেদিনতো খুব করে বলেছিলে যেন তোমাকে শিখিয়ে দেই।

এসো আজই শিখবে উঠো- সে হাতধরে হ্যাঁচকা টান মারতেই সুমনকে উঠে দাড়াতে হলো। সত্যি চা টা দারুন বানাতে পারে নিলি। শেকাটা ভালোই ওরকম চা শুধু জাহানারা বেগমই বানাতে পারেন ভাগ্যে থাকলে মাঝে মধ্যে সুমনের কপালে এমন চা জোটে কখনও কখনও। নিলি এক একে চিনি, চা দুধ সবই নিল। অনেকটা সময় নিয়ে পানিটা সেদ্ধ করলো কথা বললো, চিমটি কাটলো।

এভাবে পানিটাকে পঁচিশ মিনিট ধরে কড়া সিদ্ধ করতে থাকবে তারপর চা পাতা পরিমান মতো দিয়ে মিনিট দু'য়েক পরই নামিয়ে ফেলবে। পরিমান মতো চিনি ও দুধ কাপে নিয়ে ছেঁকে লীকারটা কাপে ঢালতে হবে। মনে রাখবে যে চামচটা দিয়ে চা নাড়তে হবে তা যেন এক কাপ গরম পানিতে সামান্য সময় ভিজিয়ে নেয়া হয়। তাতে চামচ চা থেকে গরম বাবটা শোষন করবে না। চা টা গরম গরম পরিবেশন করতে পারবে।

ধোঁয়া উঠা গরম চা নাকের সামনে আসলেই চায়ের পিপাসা বৃদ্ধি পাবে। আর তখনই চায়ের আসল মজাটা পাওয়া যাবে। চলো এমরা ছাদে বসে চা টা খেয়ে আসি। সুমন যেতে চাইছিলো না কিন্তু নিলি তাকে নিয়ে ছাদে যাবেই বাধ্য হয়ে সুমনকে ছাদে আসতে হলো। -------- আমি জানি সুমন তুমি আরো বদলে যাবে এ মুহুর্ত থেকে।

চায়ে চুমুক দিয়ে প্রথম কথাটা এরকমই বলল নিলি। -------- হয়ত তোমার ধারনাই ঠিক নিলি। বদলে যাওয়াটাই মানুষের স্বভাব বলেই হয়তো বদলে যাবো। -------- না সুমন বদলে যাওয়া মানুষের স্বভাব কথাটা সবক্ষত্রে খাটে না যদি খাটতো তাহলে আমি বদলে যেতাম অন্তত তোমার জন্য কিংবা তুমি বদলে যেতে আমার জন্য। ঠিক বলিনি? -------- সুমন চুপ রইল এ প্রশ্নের উত্তর তার জানা আছে ভালো করে।

-------- তুমি বদলে যেও না সুমন, তুমি তোমার মতোই থেকো। তোমার বদলে যাওয়াটা আমাকে প্রচন্ড আঘাত করবে। আমাকে তলিয়ে দেবে হতাশার কাল গহ্বরে। বদলে যেও না পিজ, কথা দাও। -------- তুমিতো আমার একজন ভালো বন্ধুই থাকলে নিলি।

বদলে যাবো না কোন দিনও। আমার বদলে যাওয়াটা তোমাকে পোঁড়াবে। কেনই বদলে যাবো এই আমি। আমি আমার মতোই থাকবো তুমি তোমার মতো থেকো। কথা দাও তুমি থাকবে ঠিক তোমার মতো।

থাকবে? -------- কথা দিলাম। -------- চলি নিলি, আবার দেখা হবে কোন এক সকাল কিংবা দুপুরে। আলস্যে কিংবা ব্যর্থতায়। - এসো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।