আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈষম্য ভাবনা-২

অচেনা মানুষ

বৈষম্য একটি রোগ। মানুষ রোগের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে আসছে। বৈষম্য মানুষ সৃষ্টি করে নিজের লাভের জন্য। নারী ও পুরুষে কোনো বৈষম্য নেই। বৈষম্য হচ্ছে অধিকার পাওয়া না পাওয়ার মাপকাঠিতে বিচার করা।

নিজেকে পরিপূর্ণ যোগ্য করে গড়ে তোলার সমান অধিকারকেই সমান অধিকার বলা হয়। এক সময় মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে দেয়া হতো না, এক সময় মেয়েরা চাকরি করতে পারতো না, এক সময় মেয়েরা হাটে-বাজারে যেতে পারতো না, এক সময় মেয়েরা খেলাধুলা, বিদেশ ভ্রমণ করতে পারতো না। এটাই ছিলো বৈষম্য। আন্দোলন করতে করতে এই বৈষম্য দূর হয়েছে। মেয়েরা তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।

একটি উচ্চশিক্ষিত, চোখা, সাহসী মেয়ে যদি দাবি করে যে, পিতার সম্পদের ওপর আমার সমান অধিকার আছে, তাহলে তার দাবিকে কিছুতেই অন্যায় বলা যাবে না। বৈষম্য প্রকৃতিতে থাকে না। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন, আদিম সমাজ ছিলো সাম্যবাদী। মানুষই বৈষম্য তৈরি করেছে। মানুষই বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে আসছে।

সমস্ত ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। এক সময় কিন্তু মাতৃতান্ত্রিক পরিবার চালু ছিলো। আরেক সময় পুরুষ সবল হয়ে পুরুষতান্ত্রিক পরিবার গড়ে তোলে। আবার এখন নারীরা আন্দোলন করে তাদের যোগ্যতা দিয়ে বৈষম্য অনেক কমিয়ে ফেলেছে। মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার দিতেই হবে, সে নারী হোক আর পুরুষ হোক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।