আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈষম্য



আমার বাচ্চার জন্য খেলনা কিনতে গিয়েছিলাম। দোকানদার প্রথমেই জিজ্ঞেস করল ছেলে না মেয়ে বাচ্চা? ছেলে বলাতে বিভিন্ন রকম গাড়ি দেখাতে শুরু করল। আমি ও খুশিমনে বিশাল সাইজের একটা গাড়ি কিনে বাড়ি ফিরলাম। রিকশায় উঠার পর চিন্তা করছিলাম, আমরা শিশুদের কি সুন্দর ছোট বেলা থেকেই বৈষম্য শিখাই। একটা ছেলে শিশুকে কিনে দিই গাড়ি,যেটা চাবি ঘুরালেই ছুটতে শুরু করে আর বাচ্চাটাও সেটা ধরতে গিয়ে শিখে ছুটে চলা।

ছেলে শিশুকে শিখাই গতি। অন্যদিকে মেয়ে শিশুটির জন্য কিনে আনি নরম তুলতুলে পুতুল যেটা বুকে জড়িয়ে মেয়েটি চুপচাপ বসে বসে খেলবে। মেয়ে শিশুটির জন্য আমাদের প্রাথমিক উপহার স্থিতি শিক্ষা। ছুটে চলা নয়, নয় কোনো লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা, সে শিখবে স্থবিরতা। ছেলে শিশুটি যেসময় কাটায় বল পায়ে নিয়ে ছুটতে ছুটতে, ঠিক সেসময়টুকু মেয়েটি কাটায় খেলনা হাড়িপাতিল দিয়ে রান্না করে।

বলের পেছনে ছুটে চলা ছেলেটিকে শেখায় উদ্যামতা আর মিথ্যে মিথ্যে রান্নাবান্না মেয়েটিকে প্রশিক্ষণ দেয় ভবিষ্যতের একজন ধৈর্য্যবান পাকা রাধুনি হতে। আমরাই শিশুকে শিখাই বৈষম্য। বৈষম্য বাহিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।