বিষধর সাপকে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়ার এক অভিনব প্রতিযোগিতা বুধবার ঠাকুরগাও সদর উপজেলার আরাজী হরিণারায়নপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুস সালামের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ঐ গ্রামের একদল যুবক।
আরাজী হরিনারায়নপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কয়েকদিন ধরে চলছে এই আয়োজনের প্রস্তুতি। মাঠের চারপাশে দাগ কেটে প্রতিযোগীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে পাঁচটি ঘর। এসব ঘরে প্রতিযোগীরা অবস্থান নেবে।
মাঠে করা হয়েছে কয়েকটি গর্ত। আয়োজক বিসাক্ত সাপ গর্তের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। প্রতিযোগীদের সেই গর্ত থেকে সাপ বের করে নিজের ঘরে তুলতে হবে। একেকটি ঘরে সাপুড়ের দল বসে নিজের ঘরে সাপ নিয়ে আসার চেষ্টা করে, যিনি বেশি সাপ জোগাড় করতে পারেন তিনি পান প্রথম পুরস্কার। এবার যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তারা হলেন, সদর উপজেলার কালিতলা গ্রামের রশিদুল ইসলাম, ফকদনপুর গ্রামের ভিরেন বর্মন, পটুয়া গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার, ঠান্ডিরামের দুলাল হোসেন ও কালিতলার কেদার আলী।
তাদের প্রত্যেকের দলে ছিল ২-৩ জন সহযোগী। বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। আশপাশের শতশত নারী পুরুষ এমনকি ছোট্ট শিশুরা ভিড় করে এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করার জন্য।
প্রতিযোগিতার বিচারক হেসেন আলী তার বাক্স থেকে সাপ বের করে গর্তে ঢুকিয়ে দেন। সাপুড়ের দল সাপটিকে নিজের ঘরে নিয়ে আসার জন্য নিজের মতো করে মন্ত্র পাঠ করেন আর পাউডারের মতো কিছু একটা ছিটিয়ে দেন।
সাপটি একসময় এদিক ওদিক ছুটতে ছুটতে ঢুকে পড়ে কোন এক সাপুড়ের ঘরে। এভাবে একটানা দুইঘন্টার প্রতিযোগিতায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালিতলার সাপুড়ে রশিদুল ইসলাম নিজের ঘরে সবচেয়ে বেশি ২২টি সাপ ঢুকিয়ে জিতে নেন প্রথম পুরস্কার। বিজয়ী হিসেবে পান একটি মোবাইল ফোন।
সাপুড়ে রশিদ বলেন, তিনি দীর্ঘ বিশ বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাপের খেলা প্রদর্শন করে আসছেন। এর আগেও এমন অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি বিজয়ী হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।