আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতাল ক্যারিকেচারঃ “সরকার তুই হরতাল নিষিদ্ধ করবি কিনা বল?/নইলে কিলের চোটে তোর হাড় করিব জল।”

বিজ্ঞানী শিমুল আমি যখন দেখি আমার এক মুসলিম ভাই গুলী খেয়ে মরে আছে তখন আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি যখন আমার এক হিন্দু ভাইকে মরে আছে দেখি তখনও আমার কষ্ট লাগে। এই আমি আবারও কষ্ট পাই যখন আমার এক পুলিশ, বিজিবি ভাইকে আঘাত পেয়ে মরে আছে দেখি। আমি যখন দেখি মসজিদ থেকে মসজিদের খতিবকে ধরে এনে পুলিশ বাহিনী নির্মম ভাবে প্রহার করছে, কষ্ট লাগে। হয়তো সেই মুহূর্তে আরেক পুলিশ ভাই মানবতার সেই খতিবকে রক্ষা করে।

আমি আরও অনেক কষ্ট পাই যখন দেখি আমার হিন্দু ভাইদের মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে। মন্দির ভাঙ্গার সময় সন্ত্রাসীরা হাতে-নাতে ধরা পড়ছে। আমাদের এই জাতি এরকম আর কত দেখবে? এরকম আর কত লাশ দেখবে? এরকম আর কত অন্যায় দেখবে? এরকম আর কত দেশদ্রোহিতা দেখবে? এরকম আর কত ধর্মের লাঞ্ছনা দেখবে? খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি বর্বর পাষণ্ডরা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান আর আমাদের মত নিরীহ মানুষের গাড়ি ভাংচুর করছে। তখনও কষ্ট লাগে যখন দেখি রাস্তায় সাধারণ মানুষের গাড়িতে আগুন জ্বলছে যেসব মানুষ হরতাল উপেক্ষা করে নিজের পরিবারের খাদ্যের জন্য রাস্তায় গাড়ি এনেছিল। সবগুলো কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি।

অনেকের একদিন কাজ না করলে সেদিন আর তার খাদ্য জোটেনা। হরতালে না খেয়ে থাকতে হয়। এই কয়েকদিন দেশ জুড়ে অনেক গুজব রটেছে। অনেক নাস্তিকের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। অনেক ধর্মের নামধারী শয়তানেরও উৎপত্তি হয়েছে।

অনেক উশৃঙ্খল দেশ প্রেমিকের আবির্ভাব ঘটেছে। অনেক উশৃঙ্খল ধর্মচোরারও আবির্ভাব ঘটেছে। যদিও এটা আবির্ভাব নয় নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ। এসব কারণ দেখিয়ে যে সে হরতাল দিচ্ছে। আমরা ভালো ভাবেই জানি সব মিডিয়াই হলদামি করে হলুদের দাম বাড়াচ্ছে।

কেউ একবারও সত্য কথা বলছেনা। সবাই যার যার দলের পক্ষের খবর দেখাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের খারাপ কাজগুলো দেখাচ্ছে। তবুও ভালো উভয় ধরনের হলুদ মিডিয়া দেখে আমরা জনগণের বাচ্চারা সবারই উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডগুলো দেখতে পাচ্ছি। আমরা এসব হলুদ মিডিয়ার মাধ্যমে উশৃঙ্খল দেশপ্রেমিক ও উশৃঙ্খল ধর্মপ্রাণ লোকদের দেখার সৌভাগ্য অর্জন করছি।

যারা এসব কাজ করছে তাদের জন্যও কষ্ট লাগে। জানি তারা পাপ করছে। যারা এসব করছে এরা সবাই হয়তো আমাদের ভাই। কেউ ধর্মের ভাই, কেউ দেশের ভাই। কারণ সবাই একই আদম-হাওয়ার সন্তান।

কথায় আছে ‘পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়। ’ তাই এদের জন্য কষ্ট পাই। কিন্তু যেকোনো সরকারের একটা সুযোগ আছে এসব পাপ কাজ বন্ধ করার। সরকার যদি আইন করে হরতাল বন্ধের ঘোষণা করে তাহলে এসব হানাহানি অনেক কমে যাবে। সাধারণ মানুষ অনেকটা নিস্তার পাবে।

সরকারের চিন্তায় যদি সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা থাকে তাহলে হরতাল বন্ধ করুক। আর যেসব লোক প্রতিহিংসার দরুণ সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে তারা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক বা ধার্মিক না। তারা সবাই হচ্ছে বক ধার্মিক। আর এসব বক ধার্মিক কুত্তার বাচ্চাদের মানুষের বাচ্চায় পরিণত করার চেষ্টা করা হোক। যদিও সবাই এরা মানুষের বাচ্চা।

সরকার কি হরতাল আইন করে বন্ধ করবে? নাকি বন্ধ করবেনা? যদি না করেন তবে কি সরকারের এই ব্যাপারে অন্য রকম চিন্তা আছে? নাকি পরবর্তী সময়ে নিজেরা যখন বিরোধী দলে যাবে তখন হরতাল দিয়ে দেশে আবারও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি করবেন? সবার শেষে আবার বলি, “সরকার তুই হরতাল নিষিদ্ধ করবি কিনা বল? নইলে কিলের চোটে তোর হাড় করিব জল। ” ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.