আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈশাখ মাসে তার হাটু জল চাই..

টাসকি লাগাইতে চাই.. তাইলেই সকলে বাক হারাইবেন..
পানি চুক্তি না.. চাই অন্তত হাটু জল.. জোর কইরা কিংবা জনগনের করুন মুখের দিকে চাইয়া তাগো সহয়ায়তায় কাউরে আগাইয়া আসতে না দেইখা, নিজের দায়িত্ববোধ আর দেশ প্রেমের ধাক্বায় যেমনেই হোক না কেন.. কোন না কোন দল আমাগো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাইয়া থাকে। আর এর পর থেইকাই সকল কাম কাজে একেক জন নতুন নতুন থিউরি আবিস্কার করতে থাকে.. । বিরোধী দলের লোক জন আবার সেই টা রে ভুল প্রমান করার জন্য উইঠা পইরা লাগে। চলমান এই সরকারের আমলেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নাই । নানা ইস্যুতে মেলা বার দেশ গরম হইয়া গেছিল ।

টিপাই মুখের বাঁধ, বাদ দেয়া না দেয়া নিয়াও গেছে মোটামোটি এক গরম কাল। নিজে ঢাকার বুকে থাইকা তহন এর পক্ষে বিপক্ষে নানা মত পইড়া আর টেলিভিশনে নানা মাইনষের মাথা চাপড়া চাপড়ি দেইখা অবাকই হইছিলাম। ভাবছিলাম কি এক বাধ দিব না দিব তা নিয়া আবার হেলিকাপটার দিয়া পিকনিকেও যাওয়া লাগে..!! আর এই হেলিকাপটার পিকনিকের ফলাফল শুন্য.. উজানে ভারত পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় গঙ্গা-তিস্তার পানি এবার রেকর্ড পরিমাণ কম আসছে। ফারাক্কার সার্বিক প্রভাবে নদীর পর নদী মরে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে গত কয়েক বছরে দেশের ১৭টি নদী সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

আরও ৮টি নদী নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন কারণে উত্তরাঞ্চলের ৬৭টি নদ-নদী হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৩২টি নদ-নদী দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাকি নদ-নদীর অবস্থাও করুণ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র—দেশের প্রধান এ ৪টি নদ-নদীও পলি জমে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

এসব নদ-নদীর বুকে জেগে উঠছে বিশাল বিশাল চর। সর্বগ্রাসী যমুনা, পদ্মা রা এখন নাকি আর আগের মত আগ্রামী নাই। তাগো যৌবন এহন বৃদ্ধকাল পার কইরা আবার নবজাতকের ভুমিকায় অবতির্ন্ হইছে। শুধু চলতি বছরই নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রবহমান অভিন্ন নদীর পানি নয়াদিল্লি প্রত্যাহার করে নেয়ায় একের পর এক নদী বাংলাদেশ অংশে নাব্য হারাচ্ছে। গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ৩০ বছরমেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী ফারাক্কা পয়েন্টে গত দু’মাসে বাংলাদেশ ৬২ হাজার ৬৫৪ কিউসেক পানি কম পেয়েছে।

মোট ছয়টি কিস্তিতে ভারত চুক্তি লঙ্ঘন করে এই পরিমাণ পানি কম দিয়েছে। বাংলাদেশ ওই দু’মাসের প্রতি কিস্তিতে গড়ে ১০ হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে। আবার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায়ও ভারত পানি প্রত্যাহার করায় মারাত্মক সেচ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর অববাহিকায় গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫ হাজার কিউসেক থেকে কমে পানি নেমে এসেছে ৯শ’ কিউসেকে। গত ৫ বছরে কখনও এত কম পানি পায়নি বাংলাদেশ।

এই রকম চলতে থাকলে আগামী দিনে পরিবেশের কি অবস্থা হবে তা জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না.. সাধারন জেলে-মাঝি হইলেই চলবে.. তাই সরকারের কাছে আবেদন- পানি চুক্তি না.. এই বৈশাখ মাসে অন্তত হাটু জল চাই..
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।