আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়নায় আমি



সম্প্রতি কিছু লোকের একান্ত গোপনীয় কিছু মুহুর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেটের বিস্তারের সাথে সাথে এর সংখ্যাও খুব দ্রুত বাড়ছে। যা একান্তই নিজের তা কেউ কেন ভিডিও করে তা আমার বোধগম্য নয়। হয়ত আত্নসম্মানবোধের অভাবেই আমাদের এই বিকৃতি। বিভিন্ন ব্লগে এ নিয়ে অনেক লেখা হচ্ছে।

লেখকেরা এইসব লোকেদের (যাদের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে) বিভিন্ন ভাবে আক্রমন করেছেন, ঘৃনা প্রকাশ করেছেন। ঘটনাগুলোকে একটু বিশ্লেষণ করা যাক। কেউ কেউ ভিডিওগুলো করেছেন নিজেদের ইচ্ছেতেই। আবার কারো ক্ষেত্রে একজন কিংবা দুজনেরই অজান্তে ভিডিওগুলো করা হয়েছে। যেখানে দুজনের ইচ্ছেতেই ভিডিও করা হয়েছে তাদের সম্পর্কে কিছু বলার নেই কারণ তারা মানসিকভাবে অসুস্থ।

কিন্তু যেখানে একজন কিংবা দুজনের অজান্তে কাজটা করা হয়েছে সেখানেও এই ভিক্টিমদের প্রতি আমাদের সহানুভুতির অভাব আছে। আমরা বরং মজা পাই। আরেকদিক থেকে চিন্তা করলে, যেসব ভিডিওর কথা বলা হচ্ছে তার বেশির ভাগই অবৈধ সম্পর্কের। সহানুভুতির অভাবের পেছনে অনেকে এই যুক্তি দিয়ে থাকেন। স্বীকার করি যে তারা অবৈধ কাজ করেছেন।

কিন্তু এসব দেখাটা কতটুকু নীতিসম্মত ? আমরা যারা এসব দেখে তারপর এই ভিক্টিমদের প্রতি বিষোদগার করছি তারা কি আগে নিজেকে যাচাই করে দেখেছি? তাছাড়া যারা প্রতিহিংসাবশত কিংবা ব্যাবসায়িক কারণে এসব প্রচার করে তরুণ প্রজন্মকে পর্ণগ্রাফি সরবরাহ করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা কয়টা কথা বলেছি ? ধিক্‌ আমাদের হিপোক্রেসিকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।