আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়নায় মুখ দেখা যখন দায়িত্ব হয়ে পড়ে

আয়নায় মুখ দেখা যখন দায়িত্ব হয়ে পড়ে ফকির ইলিয়াস ===================================== অনলাইন মিডিয়া এই সময়ে একটি বড় বিপ্লব। টিভি চ্যানেলগুলো ব্রেকিং নিউজ দেয়। অনলাইন মিডিয়া প্রতি ঘণ্টায় নিউজ আপডেট করে। একটি বিষয় আমরা দেখছি অনলাইন মিডিয়া কোনো কোনো রাজনীতিকের ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠছে। তারা মনে করছেন, অনলাইনে অপপ্রচার করে রাষ্ট্রীয়, ব্যক্তিত্বের ধস নামানো সম্ভব।

হাঁ, তা হতেই পারে। তা কীভাবে ঠেকানো যায়? তা নিয়ে ভাবতে হবে সম্মিলিতভাবে। কারণ অনলাইন, ফেসবুকে ক্যাম্পেইন করে যে অনেক কিছু ঘটানো যায় তা আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। এর সর্বশেষ শিকার, প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। বিশ্বরাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিশ্বে এখন চলছে প্রচার বাণিজ্যের দাপট আর তোষামোদের রাজনীতি।

পুঁজি সন্ত্রাসের রক্ষচক্ষু গণমানুষের কণ্ঠরোধে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। খুব অবাক হয়ে আমাদের দেখতে শোষক শ্রেণী তাদের কৌশলে নতুন রঙ ঢেলে মাঠে নেমেছে। আর সে ক্ষেত্রে কৃষাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ দ্বন্দ্ব নয়, বরং পুঁজিবাদ দারিদ্র্যের দ্বন্দ্বটাই এখন প্রকট। এমন অস্থিরতা সামনে রেখেই এগুচ্ছে সমাজ। অগ্রসর হচ্ছে বিশ্ব।

কিন্তু কথা হচ্ছে, এই রাজনৈতিক দীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে অথবা বাঁচিয়ে রেখে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা কি সম্ভব? মনে রাখতে হবে প্রচারে বাণিজ্য প্রসার ঘটে কিন্তু মালামালের গুণগত মান বিচার করে ক্রেতারাই। যুক্তরাষ্ট্র নির্ভর বিশ্বরাজনীতিও চলছে একই কক্ষপথে। একইভাবে কোন মিডিয়া কে পড়বে, কে পড়বে না তা ও নির্ভর করবে পাঠকের মন-মর্জির ওপর। বিনামূল্যের কাগজ আমেরিকায়ও আছে। কেউ হাতে নিয়ে দেখে, কেউ দেখে না।

তারপরও হ্যাঁ, বলা যায় মার্কিনিরাও হুজুগে জাতি। হুমড়ি খেয়ে পড়ার একটা অভ্যেস আমরা সব সময়ই লক্ষ করি এই বহুজাতিক সমাজে। গেলো কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে আবারো দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ করলাম। আইফোনের নতুন ভার্সন এসেছে বাজারে। যেদিন এই নতুন মডেলটি বাজারে রিলিজ হলো তার পাঁচদিন আগে থেকে আইফোনের নিউইয়র্কের সদর দপ্তরের সামনে ছিল লম্বা লাইন।

অবিশ্বাস্য সে দৃশ্য। চিঁড়া, মুড়ি, চিপস, ড্রিংকস নিয়ে মানুষরা লাইনে দাঁড়িয়ে যায় পাঁচদিন আগে থেকেই। কে প্রথম এই নতুন ভার্সনটির ক্রেতা হবে তা নিয়ে ছিল মূল প্রতিযোগিতা। সমস্যা দেখা দিয়েছিল টয়লেট ব্যবহারের বেলায়। সেটাও তারা পুষিয়ে নিয়েছে সামনে কিংবা পেছনে থাকা লাইনের সহযাত্রীকে বলে-কয়ে।

একজন টয়লেটের প্রয়োজনে বেরিয়ে গেছে, অন্যজন তদারকি করছে তার জায়গা। ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, সবই করেছে তারা এই লাইনে থেকেই। তারপরও প্রথম আইফোন কিনে নেয়ার আনন্দ। নানা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক-রিপোর্টাররা ঘিরে রেখেছেন তাদের এই পাঁচদিন। কিছুদিন আগে ‘আইকিয়া’ নামের একটি ফার্নিচার দোকানও তাদের ব্র্যান্ড ওপেনিং উপলক্ষে তেমন একটি ঘোষণা দিয়েছিল।

প্রথম পঞ্চাশজন কাস্টমারকে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। আর যায় কোথায়? ঠিক একই কায়দায় প্রতিযোগিতা ছিল এই দোকানের সামনে। সবাই লাইন বেঁধে বসেছিল দীর্ঘ চারদিন। মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল খদ্দেরদের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য। কেউ কেউ তা প্রচার করেছিল ‘লাইভ’।

এই যে প্রচার বাণিজ্য এর প্রকৃত অর্থ কী? প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, খুব দ্রুত বাজারে একটি স্থান করে নেয়া। খুব তাড়াতাড়ি মুনাফা লুটে পুঁজিপতি হয়ে যাওয়া। যারা এই বাণিজ্য করে তারা ভালো করে জানে, তাদের ব্যবসার লোকসান হচ্ছে না। বরং লাভবান হচ্ছে তারা বহু গুণে। গ্রীষ্মের অবকাশ যাপনের জন্য ট্রাভেল এ ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো বিনামূল্যে এয়ার টিকেট পর্যন্ত দিয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে।

কোনো দম্পতিকে দুটো টিকেট হয়তো দিলো তারা। ওই পরিবারে যদি দুটি সন্তান থাকে তবে সন্তানদের টিকেট, হোটেল ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরার খরচ নিজে বহন করতে হবে। এই যে ‘প্যাকেজ ডিল’ তা থেকেই মুনাফা করে নিচ্ছে ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো। আর এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র শাসন ও শোষণ করছে সমাজকে, পরিবারকে ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোকে। শাসনের রূপরেখা কালে কালেই বদলায় এই পরাশক্তি।

অতিসম্প্রতি আমরা দেখছি, এ মাত্রায় নতুন সংযোজন। যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রি করার কৌশল পুরো হয়ে গেলেও অস্ত্র তৈরির নতুনত্ব প্রতিদিনই পরীক্ষিত হচ্ছে বিশ্বে। আর তা করা হচ্ছে কাউকে রক্ষা করার জন্য, কাউকে নিধন করার জন্য। কারো স্বার্থরক্ষা করে, কাউকে ঘায়েল করা হবে, এটাই নিয়মতান্ত্রিক ধারা। কিন্তু যদি নিধন না করে রক্ষার হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে তো আরো উত্তম উত্থান ঘটতে পারতো মানব সভ্যতার।

মিডিয়া তো বটেই, এটা আমরা সবাই জানি, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতিতে ইহুদি কমিউনিটি একটি বিশাল প্রভাব রেখে চলে। বারাক ওবামা সেই প্রভাব ও শক্তির সমর্থন পেতেই এমন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলেছেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে প্রতিদিনই নরহত্যা চলছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। দেশটির মাটি এখন রক্ত ধারণে অপারগই বলা যায়।

খুবই পরিতাপের কথা এই অধিকৃত রাষ্ট্রটি বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে এখন পাশ্চাত্যের নেতৃত্ব দোটানা নীতি পোষণ করছে। এই বিশ্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতাই এখনো প্রধান অশান্তির কারণ। সামন্তবাদীরা চাইছেন, ‘বিশ্ব’ তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে এক চুলও নড়বে না। আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা সংগ্রাম করছে নিরন্তর বেঁচে থাকার জন্য। তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোকে নিজের বাগে রাখার ইচ্ছা কিংবা চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে মজুদ শক্ত হাতে ধরে রাখা, দুটোই সামন্তবাদের দুই প্রকার।

খুবই শঙ্কার কথা হচ্ছে, মিডিয়াকে এখন সামন্তবাদীরাই শাসন করছে। এই যে ‘ডোমিনেটিং মেন্টালিটি’ তা বিশ্বের নামকরা শাসক শ্রেণীর আগেও ছিল- এখনো আছে। আর মিডিয়া নিয়ে চলমান সময়ে সকলের কথার মারপ্যাঁচের অনেক কারণ আছে। এর অন্যতম হচ্ছে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আসছে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের পটপরিবর্তন হয়।

কিন্তু তা মানুষের ভাগ্য সবসময় বদলাতে পারে না। ভাগ্য বদলানোর জন্য দরকার রাজনৈতিক প্রত্যয়। বাংলাদেশে সে প্রত্যয় গড়ে ওঠেনি। গড়ে উঠলে রাজনীতিকরা মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে সর্বনাশ করতে পারতেন না। অথচ তেমনটিই ঘটেছে।

প্রতিবাদ যে হয়নি তা নয়। রাজপথে মানুষ রক্ত দিয়েছে। তারপরও গোষ্ঠীভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে এক ধরনের সামন্তবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্ষমতা একদলের হাত থেকে অন্যদলের হাতে গেছে। উপকৃত হয়েছে রাজনীতির দুষ্টগ্রহ।

এরা জেঁকে বসেছে। রাজনীতিকরা নিজেদের স্বার্থেই এদের সরাতে চাননি। বরং কাজে লাগাচ্ছেন নিজের মতো করে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারা কী করতে পারলেন- আর কী পারলেন না তার হিসাব নেয়ার সময় এসেছে। মনে পড়ছে ফেব্রুয়ারিÑ২০০৯ মাসের কথা।

হঠাৎ করেই কানাডা থেকে এক সুহৃদ ফোন করেছিলেন। তিনি জানালেন, সেখানে এখন সাবেক নেতাদের দেশে যাওয়ার হিড়িক পড়ছে। হ্যাঁ, সে সব নেতা যারা এক সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করতেন, তারা সবাই এখন দেশমুখী। স্বদেশ তাদের ঠিকানা। তারা দেশমুখী হতেই পারেন।

কিন্তু হঠাৎ করে প্রায়, অনেকেই এক সঙ্গে! এর কারণ কী? কানাডা থেকে সেই বন্ধু জানালেন, এসব সাবেক নেতা বেজায় খুশি। কারণ তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে। দেশে ফিরে নিজের কর্মের স্বীকৃতি চান তারা দলের কাছে। আমি জানতে চাই, রাজনীতি করে তাৎক্ষণিক ‘স্বীকৃতি’র সংজ্ঞা কী? আমার বন্ধু বলেন ‘বুঝেন না, একটু সুযোগ-সুবিধা নেয়া আর কি!’ কথা হচ্ছিল লন্ডনে এক কবি বন্ধুর সঙ্গে। তিনিও প্রায় একই কথা বললেন।

সেখানেও চলছে একই প্রতিযোগিতা। অনেকেই দেশে গিয়ে মন্ত্রীদের কাছের মানুষ হতে চান। সচিব, সহকারী সচিব হতে চান। না পারলে একটু ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা। দু-একটা প্লট, টেন্ডার, ইজারা ইত্যাদি।

কানাডা এবং লন্ডন প্রবাসী আমার দুই প্রিয় বন্ধুর কথা আমাকে নতুন করে ভাবায়। ঐ সময়ে একই অবস্থা দেখছি এই যুক্তরাষ্ট্রেও। একজন প্রায় ঘোষণা দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে বিদায় নিয়েছিলেন, তিনি সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি হবেন। আওয়ামী লীগের আনুকূল্য পাওয়ার জন্য এখন লোকের অভাব নেই। এই হাওয়া বিদেশেও লেগেছে দেখে বেশ অবাকই হতে হচ্ছে আমাকে।

নিউইয়র্ক থেকে বেশ কিছু মুখই বাংলাদেশগামী হয়েছে শুধুমাত্র সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেয়ার লক্ষ্যে। এরা যে আওয়ামী লীগের খুব বীর নেতাকর্মী ছিলেন তেমনও নয়। ‘অমুক কলেজের ছাত্রলীগ শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলাম কিংবা অমুক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম’Ñ এটাই তাদের পরিচয়। প্রবাসে এসে সময় কেটেছে প্রবাসী জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। দেখেছি সে সময়ে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

দলীয় ঝা-া উড়িয়ে তারা দখল নিতে চায়। যারা, সব সময়ই কিছুটা সুবিধাবাদী, কিছুটা তোষামোদী মার্কা চরিত্র নিয়ে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজের চারপাশকে কলুষিত করে। এ প্রসঙ্গে আমরা স্মরণ করতে পারি ১৯৭২ পরবর্তী সময়ের কথা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান গুণ ছিল তিনি ছিলেন সৎ ও মহৎ রাজনীতিক। আমরা সে সময়ও দেখেছি তার চারপাশে বেশ কিছু চাটুকার অবস্থান নিয়েছিল।

বেশ কিছু রাজাকার নিজের অতীত ঢেকে দেয়ার জন্য, বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন চ্যানেল ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল। তাদের প্রধান পরিচয় ছিল তারা সুবিধাবাদী। রাষ্ট্র, মানুষ ও মাটির স্বার্থ তাদের কাছে বড় ছিল না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন কঠোর হস্তে সে সব চাটুকার সুবিধাবাদীদের দমন করতেন, তবে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে হয়তো লিখিত হতো। জাতির জনকের বিশাল মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে এসব স্বার্থান্বেষী মহল পনেরো আগস্টের সেই নির্মম হত্যাকা- ঘটাতেও মোটেই কসুর করেনি।

আর বিষধর সুবিধাবাদী চক্র যে এভাবেই ঘাপটি মেরে বসে থেকে সুবিধার জন্য সব নৃশংসতা ঘটাতে পারে সেটা তারই প্রমাণ। যে শোক বাংলার মাটি এখনো বইছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি সেসব কথা ভুলে গেলেন? সকলেই প্রচার চায়। পণ্য যেমন প্রচারে প্রসারিত হয়, রাজনীতির দর্শনও তেমনি প্রচারে জনপ্রিয়তা পায়। আমাদের রাজনীতিকদের সময় এসেছে ক্রিয়েটিভ দর্শন লালন করার।

আর এজন্য মিডিয়ার গলা টিপে ধরার বদলে মিডিয়ায় নিজেদের ভালো কাজগুলোর প্রচারে তারা এগিয়ে আসতে পারেন। যেমনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা করছেন। এমন ‘ডিবেট’-এ আমাদের রাজনীতিকদের মানসিকতা অর্জন করতে হবে। আয়নায় মুখ দেখা খুবই দরকারি। মহাজোট ক্ষমতায় আছে।

তাদের জনগণ বয়কট করলে, কারা ক্ষমতায় আসবে তা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অজানা নয়। তারপরও তারা নিজেদের শুধরাতে এগিয়ে আসছেন না কেন? ---------------------------------------------------------------- দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা/ ২০ অক্টোবর ২০১২ শনিবার ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।