আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটের মহাসমাবেশে অভিমত : নারীনীতি অনুমোদন ধর্মপ্রাণ জনতার হৃদয়ে চরম আঘাত

মেগার ছোট্ট এই সফটওয়্যারটি www.ziddu.com/ download/9779577/Imagicon-www.biggani. tk.exe.html ঠিকানার সাইট থেকে নামিয়ে নিন। এরপর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে চালু করুন। ইমেজ আইকন খুলে যে ছবিটির আইকন তৈরি করতে চান, সেটি মাউস দিয়ে টেনে এনে সফটওয়্যারটির ওপর ছেড়ে দি

নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও ফতোয়াবিরোধী রায়ের প্রতিবাদে কোরআনী আইন সংরক্ষণ কমিটি সিলেটের আহ্বানে অনুষ্ঠিত বিশাল মহাগণসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী নারী উন্নয়ন নীতিমালা মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন করে ধর্মপ্রাণ জনতার হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। নারীনীতিতে উত্তরাধিকারসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সমতা বিষয়ক ধারাগুলো সরাসরি পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ দেশের মুসলমানরা কখনও পবিত্র কোরআনের আইন পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না।

তাই ঘোষিত নারী উন্নয়ন নীতিমালার কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী ধারাগুলো চিহ্নিতকরণ ও প্রত্যাহারের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। গতকাল সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট জেলার বিভিন্ন থানার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ধর্মপ্রাণ জনতা দলমত নির্বিশেষে মিছিলসহ এতে অংশ নেন। বিকাল ৩টার মধ্যেই নগরীর কোর্ট পয়েন্টে থেকে একদিকে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট এবং অপর দিকে সিটি পয়েন্ট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। কোরআনী আইন সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল বাসিত বরকতপুরীর সভাপতিত্বে কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলীর যৌথ পরিচালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন কওমী মাদ্রাসা বোর্ড বাংলাদেশ-এর সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকুটি, জামিয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান, আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জিয়া উদ্দিন, জামিয়া মাহমুদিয়া সোবহানীঘাট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ ভিতরগ্রামী, দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষ্মীপুরী, শায়খুল হাদিস মাওলানা ইসহাক, শায়খুল হাদিস মাওলানা আলিম উদ্দিন দুর্লভপুরী, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুশ শহীদ গলমুকাপনী, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল মছব্বির আইয়রী, শায়খুল হাদিস মাওলানা ইউসুফ হরিপুরী, মাওলানা সাদিকুর রহমান বিশ্বনাথী, মাওলানা আবদুল মালেক মোবারকপুরী, মাওলানা আবদুল খালিক শায়খে চাকতা, মাওলানা মনছুরুল হাসান রায়পুরী, মাওলানা মুশাহিদ আলী দয়ামীরী, সৈয়দ আকমল হোসাইন, মাওলানা হিলাল উদ্দিন আহমদ, মাওলানা খয়রুল হোসেন, কোরআনী আইন সংরক্ষণ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান রুস্তমপুরী, মাওলানা রেজাউল করিম কাশেমী, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা খলিলুর রহমান, কারী ফরিদ উদ্দিন দৌলতপুরী প্রমুখ।

মহাগণসমাবেশে বক্তারা পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ধারাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কোরআনবিরোধী নারী উন্নয়ন নীতিমালা অনুমোদন করে শুধু প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেনি, জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, এর পরিণতি কখনও শুভ হবে না। অতীতে যারা ধর্মপ্রাণ জনতার অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে, ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে তারা নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল বাসিত বরকতপুরী বলেন, নারী নীতিমালার মাধ্যমে দেশকে নারী-পুরুষের শ্রেণীদ্বন্দ্বের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মুসলিম পারিবারিক শৃঙ্খলা ও ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা ইসলামী সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে বিতর্কিত নারী নীতিমালা প্রত্যাহার করতে হবে।

অন্যথায় রক্ত দিয়ে হলেও কোরআনী বিধান রক্ষা করা হবে। মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকুটি বলেন, নারী উন্নয়ন নীতিমালা কার্যকর হলে সামাজিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য দেখা দেবে। তিনি বিতর্কিত নারী নীতিমালা ও ফতোয়াবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, যারা মা-বোনদের ঠকাতে চায়, তারাই নারীর সমানাধিকারে কথা বলে, ইসলাম নারীর যে মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো নীতি ও আদর্শ তা দিতে পারেনি। আমরাও নারীর উন্নয়ন চাই, তবে নারীদের বেপর্দা ও ভোগ্যপণ্য করে নয়।

মাওলানা জিয়া উদ্দিন বলেন, যারা কোরআনের বিধান পরিবর্তন করতে চায়, তারা মূলত কোরআনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। কোরআনবিরোধী চক্রান্ত মুসলমানের এ দেশে কখনও বাস্তবায়ন হতে দেব না। মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী বলেন, ফতোয়া প্রত্যেক মুসলমানের মানবিক অধিকার। বিজ্ঞ আলেমের জবাবই হচ্ছে ফতোয়া। সংবিধান স্বীকৃত এ অধিকার হরণ করার ক্ষমতা কারও নেই।

আমরা আশা করি, সুপ্রিমকোর্ট আমাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে শিগগিরই এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। সমাবেশে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ, ১০ জুন পর্যন্ত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক গণসংযোগ, ১৫ জুনের মধ্যে মতবিনিময় সভার আয়োজন, ১৮ জুনের মধ্যে মানববন্ধনের তারিখ ঘোষণা এবং দাবি আদায় না হলে পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা। সমাবেশে গৃহীত ৭ দফা প্রস্তাব পাঠ করেন কোরআনী আইন সংরক্ষণ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মিম মিফতাহ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।