আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেখালেখি

simple

অনেক আঁট ঘাট করে বসি লেখার জন্য। কিন্তু কি লিখব? আমি কি রবীন্দ্রনাথ? নাকি শরৎচন্দ্র? আমি কি তাঁদের মত লিখতে পারব? যদি না-ই পারি তাহলে লেখালেখির সার্থকতা কোথায়? আমার মত কি রবীন্দ্রনাথও ভেবেছিলেন? ভাবলেও বা কি? তিনি তো লেখালেখি করে সার্থক। তাঁর তো আর আমার মতো circuit solve করতে হয়নি। কিংবা report, assignment জমা দিতে হয়নি। কত আরামেই না ছিলেন তাঁরা।

আমাদের কেন এত tension? কাজ আর পড়াশুনা। এই দুই এর জন্য সময় কই লেখালেখির? আমরা তো মহাবেস্ত পড়াশুনা নিয়ে। পড়াশুনা করে কে কবে কি করলো? জগতের সব জ্ঞানীরা বিনা পড়াশুনাতেই আজ এই অবস্থানে। লেখালেখি কাজটা করার জন্য উপরওয়ালা মনে হয় কিছু মানুষকে নির্ধারণ করেই রেখেছেন। তাদের ছাড়া আর কারো দিয়ে হবেনা লেখালেখি।

তারপরও তো আমরা লিখি। যা খুশি তাই লিখি। বুঝে লিখি নাবুঝেও লিখি। আমাদের লেখার স্বাধীনতা চরম। বিষয়বস্তু আর চিন্তাচেতনার সংমিশ্রণ ঘটে লেখায়।

তবে সেই সংমিশ্রণ মৌলিক না খুবি সস্তা তা আমরা ভেবে দেখিনা। দেখবইবা কেন? অন্তরের কথা, প্রানের ব্যাকুলতা, না বলা বুলি সব-ই আমরা প্রকাশ করতে পারি লেখায়। তাই বলে ভাববেন না একদিন আমরা কথা বলতেই ভুলে যাব। কখনই না, tv channel গুলোর টক শো আছে কেন? লেখালেখি তো এখন আমাদের মতপ্রকাশের ভাষা। আর মত প্রকাশ করতে নিশ্চয়ই শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ কিংবা শেক্সপিয়ার হতে হয়না।

কোথায় যেন পড়েছিলাম- "লেখিয়া জীবন হইল পার লেখিবার আগে মস্তিস্ক ছিল অসাড়। " আসুন লিখি। যা মাথায় আসে তাই লিখি। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ কিংবা শেক্সপিয়ার হতে না পারলেও, তাঁদের সৃজনশীলতার ছোঁয়া তো পাওয়া যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।