আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসিড হামলার ১২ বছর পর নৃত্যশিল্পীর আত্মহত্যা

Click This Link এসিড হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর আত্মহত্যা করলেন পাকিস্তানের সাবেক নৃত্যশিল্পী ফাখরা ইউনুস। এসিড হামলার কারণে তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। ইতালির রাজধানী রোমে তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৩ বছর বয়সী ইউনুস গত ১৭ই মার্চ রোমের ছয় তলা একটি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। ২০০০ সালের মে মাসে তার ওপর এসিড হামলার পর সাবেক স্বামী বিলাল খরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

অভিযোগে বলা হয়েছিল, শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত ইউনুসের মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে দিয়েছিল বিলাল। ইউনুসের তখন পাঁচ বছর বয়সী সন্তানের সামনে সংঘটিত ওই দুর্ঘটনার কারণে তিনি ঠিকমতো শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারতেন না। এসিডের কারণে তার নাক একেবারে গলে গিয়েছিল। হামলার পর গত এক দশকে বিকৃত মুখমণ্ডল ঠিক করতে তিনি ৩৯ বার অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। ওই ভয়াবহ এসিড হামলায় তার চুল পুড়ে গিয়েছিল, ঠোঁট, শরীরের উপরের অংশ লেপ্টে গিয়েছিল, এক চোখ ও বাম কান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

হামলার পর হাসপাতালে ইউনুস বলেছিলেন, আমার মুখমণ্ডল এখন আমার কাছে কারাগার বলে মনে হয়। ওই সময় তার ছোট্ট ছেলেটিও বলতো- এটা আমার মা নয়। ওই ঘটনার পর এক সন্তানের জননী ইউনুস রোমে চলে যান এবং সেখানেই তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু গত ১৭ই মার্চ তিনি আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি লিখিত বার্তায় বলে গেছেন তার ওপর নৃশংস সহিংসতার ব্যাপারে আইনের নীরবতা এবং পাকিস্তান সরকারের অসংবেদনশীল মনোভাবের কারণে তিনি আত্মহত্যা করছেন।

ওই হামলার পর ২০০২ সালে অবশ্য বিলাল খরের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র পাঁচ মাস পরেই তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। পাকিস্তানের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং প্রভাবশালী এক গভর্নরের সন্তান বিলাল খরকে পরবর্তীতে হামলার অভিযোগ থেকেও রেহাই দেয়া হয়। অবশ্য অনেকে মনে করছেন অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে বিলাল তার পারিবারিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়েছেন। ইউনুসের আত্মহত্যার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিলাল এসিড হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে।

এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, তার নামেরই আরেক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিলাল এখন দাবি করছেন নিজের অসুস্থতার কারণে নয় পর্যাপ্ত অর্থের অভাবেই ইউনুস আত্মহত্যা করেছেন। এসিড হামলার পর বিলালের সৎমা তেহমিনা দুররানী, ইউনুসের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, সুস্থ হওয়ার পর ইউনুস হামলাকারীকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.