আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র‌্যাবের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব অনভিপ্রেত

কদিন আগে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ছিল ‘র‌্যাবে বাহিনীগুলোর দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে’। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশের বিশেষ ব্যাটালিয়ন র‌্যাবে প্রেষণে আসা সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়েই চলছে। কর্মস্থলে একে অপরকে সহ্য করতে পারছেন না, বাধা দিচ্ছেন অপরের কাজে। এমনকি কোথাও হাতাহাতি পর্যন্ত হচ্ছে। এসব নিয়ে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।


প্রতিবেদনে দেখা যায়, সশস্ত্র বাহিনী থেকে আসা কর্মকর্তারা তাঁদের সহযোগী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সেনাবিদ্বেষী মনোভাবের অধিকারী বলে মনে করেন। তাঁদের মতে, এ জন্য তাঁরা সামরিক বাহিনী থেকে আসা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মানতে চান না। এ পরিস্থিতি নিরসনে তাঁরা র‌্যাবকে পুলিশ থেকে আলাদা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত অভিজাত বাহিনী গঠনের দাবি করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। অপর দিকে একই বাহিনীতে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনা কর্মকর্তাদের ফৌজদারি আইন, পুলিশ প্রবিধান সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাঁদের মতে, ক্রসফায়ার ছাড়া র‌্যাবের কোনো সাফল্য তাঁরা দেখেন না।

তদুপরি র‌্যাবে পুলিশ বাহিনী থেকে আসা কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদে বসানো হয় না। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর এখনতক কেউ এর প্রতিবাদ করেনি। সুতরাং বিষয়টি সাধারণ নাগরিকদের ভাবনার খোরাক দিয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার গুরুতর অবনতি হতে থাকে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ তখনকার মতো পুরোপুরি সফল হয়নি বলে শুরু হলো সামরিক বাহিনী পরিচালিত অভিযান ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’।

এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কিছু ক্ষেত্রে থাকলেও পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আইনের কতিপয় ধারার সংশোধন করে ২০০৩ সালে র‌্যাবের আইনি কাঠামো দেওয়া হয়। সুতরাং এর সদস্য যারাই হোক, তারা এ বাহিনীতে কর্তব্য পালনকালে পুলিশের আইনি বিধান দ্বারাই পরিচালিত হওয়ার কথা। এর সাংগঠনিক কাঠামোতে পুলিশের পাশাপাশি তিনটি সামরিক বাহিনী, বর্ডার গার্ড, আনসার, কোস্ট গার্ড ও বেসামরিক প্রশাসনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসংখ্যা প্রায় সমান সমানই থাকার কথা।

তবে পুলিশের মহাপরিদর্শকের নিয়ন্ত্রণে বাহিনীটি পরিচালিত হয়। এর প্রধান হিসেবেও শুরু থেকে এখনতক একজন পুলিশ কর্মকর্তাই থাকছেন। বিভিন্ন ধরনের বাহিনী থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যখন কেউ অন্যত্র কাজ করতে আসে, তখন কিছুটা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা দিতে পারে। তবে যে আকৃতি ও প্রকৃতিতে এগুলো ঘটছে বলে জানা গেল, তা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর জন্য অনভিপ্রেত। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে নেতৃত্বের নির্দেশেই এ ধরনের দ্বন্দ্ব শুরুতেই মীমাংসিত হওয়া আবশ্যক।

তবে সে নির্দেশ হতে হবে অতি অবশ্যই পক্ষপাতহীন এবং বাহিনীটির সামগ্রিক স্বার্থে। হয়তো বা কিছু ক্ষেত্রে হয়েও থাকে। তবে অনেক ব্যতিক্রম আছে বলেই এ ধরনের খবর ব্যাপক প্রচার পেতে পারে।
গঠনের সূচনা থেকেই র‌্যাবের প্রশংসা ও সমালোচনা সমান তালে হচ্ছে। প্রশংসা এ জন্য যে তারা প্রকৃতপক্ষে অনেকটা ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে।

খোদ মহানগরে কুখ্যাত চাঁদাবাজ, মাস্তানদের তৎপরতা অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছিল র‌্যাব গঠনের আগে। র‌্যাব তাদের মাঝে সূচনাতেই বড় ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। এটি করতে গিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে তারা ক্রসফায়ারের নামে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের হত্যা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে গুম করে ফেলার। অপরাধ দমনের জন্য এগুলো অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া।

তবে যে দেশে এ ধরনের অপরাধীরা বিচারহীনতার আওতায় থাকে, যেখানে নিরীহ ব্যক্তিরা থাকেন শঙ্কিত; সেখানে বেশ কিছু লোকের কাছে এ ধরনের কার্যক্রম প্রশংসাও কুড়িয়েছে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করে লাভ নেই। তবে এটা চলতে দেওয়া যায় না। পরিণতিতে এ ধরনের ব্যবস্থার কুফলই বেশি। তাই এর রাশ টেনে ধরার আবশ্যকতা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই আইনের গণ্ডিতে চলতে হবে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকারকর্মীদের অব্যাহত চাপে বিষয়টির দিকে সরকার কিছুটা নজর দিয়েছে বলে মনে হয়। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠিত করে ‘লিমন ঘটনা’র মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা আবশ্যক।
র‌্যাব সবচেয়ে চমক সৃষ্টিকারী সাফল্য দেখিয়েছে জেএমবি নামক একটি জঙ্গি সংগঠনের অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা একরূপ সমূলে উৎপাটন করে। সংগঠনটি কার্যত রাষ্ট্রকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল।

বিচারব্যবস্থা ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। পরিণতিতে প্রাণ হারান একাধিক বিচারক, আইনজীবীসহ বেশ কিছু ব্যক্তি। র‌্যাব সাফল্যের সঙ্গে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করেছিল সংগঠনটির দুই প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইসহ বেশ কয়েকজনকে। স্বাভাবিক বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ পান। বিচারে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড হয়।

দণ্ড বহাল থাকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। কার্যকরও হয় যথানিয়মে। তাঁদের কিন্তু ক্রসফায়ার কিংবা গুমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। অবশ্য সাগর-রুনি হত্যা মামলার মতো কয়েকটি স্পর্শকাতর মামলায় এখনতক তদন্ত প্রক্রিয়ার কোনো সাফল্য লক্ষণীয় হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে, র‌্যাব পুলিশ বাহিনীর অঙ্গ আর এর শীর্ষ নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তা থাকলেও অভিযানে মুখ্য ভূমিকায় কিন্তু থাকেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

এখানে পুলিশের মুখ্য ভূমিকা পালন কমই নজরে আসে। হতে পারে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণজনিত কারণে ক্ষিপ্রতা ও লড়াকু মনোভাবের হয়ে থাকে। আর পুলিশ বাহিনীর যথোপযুক্ত ব্যক্তিরা র‌্যাবে পদায়ন পছন্দ করেন না বলে এর বাইরে থেকে যান, এরূপই প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে র‌্যাবে এ বাহিনীর সদস্যদের মাঠপর্যায়ে মুখ্য ভূমিকায় থাকার কথা নয়। এর ব্যত্যয় ঘটাতে হলে পুলিশের চৌকস সদস্যদের র‌্যাবে পদায়ন করতে হবে।

তবে এটা ঠিক, ফৌজদারি আইন কিংবা পুলিশ প্রবিধান সম্পর্কে অধিকতর ধারণা থাকার কথা পুলিশ কর্মকর্তাদেরই। এ দুটোর সমন্বয়ই তো অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আবশ্যক। একটিকে বাদ দিলে অপূর্ণ থেকে যাবে লক্ষ্য অর্জন। ধীরে ধীরে জড়তা গ্রাস করবে বাহিনীটিকে।
শুরু থেকে র‌্যাবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যতই মতবিরোধ থাক, এটা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অবস্থান নিয়েছে।

এর ধার আর ভার কমুক, এমনটা কেউ চায় না। তবে সবারই আশা এটি চলবে আইন অনুসারে। যেহেতু এটা পুলিশের অঙ্গ, সুতরাং তার আওতাতেই থাকবে এমনটা স্বাভাবিক। তেমনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বাদ দিলে এ বাহিনীটি অন্তত সূচনাতে অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা করা অসংগত হবে না। তাই এর অভ্যন্তরে যাতে প্রত্যেকে ন্যায্য মর্যাদা লাভ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

সামরিক বাহিনী এ দেশের জনগণ থেকে গঠিত। সুতরাং প্রাতিষ্ঠানিক মন-কষাকষি কিছু থাকলেও কেউ সেনাবিরোধী, বিদ্বেষী এমনটা ঢালাওভাবে বলা চলে না।
র‌্যাবে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী থেকে আসা এ সদস্যরা ফৌজদারি আইন ও পুলিশ প্রবিধান বুঝতে বা মানতে চায় না। যেহেতু এটা পুলিশেরই একটা বাহিনী, তাই এ বাহিনীতে কর্মরত সবাইকে এগুলো মানতে হবে। তবে প্রশ্ন থাকে, এ আইনগুলো কি অভিযোগকারীরাও পুরোপুরি অনুসরণ করেন? জবাব খুঁজলে দেখা যাবে, অনেক ক্ষেত্রেই না।

শুধু নিজেদের সুবিধামতো আইনের অংশবিশেষ ব্যবহার করার একটি প্রবণতা এ দেশের অনেকের মাঝেই দেখা দিয়েছে। এটা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে এ ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হবে। একে একে অকার্যকর হয়ে পড়বে অনেক প্রতিষ্ঠান। যেমন বলা যায়, মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী যথাক্রমে মহানগর পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার। আর সে কথিত পুলিশ প্রবিধান অনুসারে পুলিশ সুপারের কাজে সাধারণ তত্ত্বাবধান থাকার কথা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।

কিন্তু সে অনুযায়ী অনেক কিছুই চলছে না। ঠিক তেমনি র‌্যাবের অনেক সাফল্যগাথা থাকা সত্ত্বেও বলতে হয়, তাদের অভিযান সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার আগাম অবগত থাকেন না। আর পুলিশ সুপারদেরও কেউ কেউ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের এ আইনি কর্তৃত্ব অবজ্ঞা করে চলছেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলায় র‌্যাব তলব করা হলে নিয়ন্ত্রণ র‌্যাব কিংবা পুলিশ কার হাতে থাকবে, এমন বিতর্কও চলে বলে জানা গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এজাতীয় ক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশ সুপার নিয়ন্ত্রণ নেবেন।

শুধু তত্ত্বাবধায়নে থাকবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের।
পুলিশ থেকে পৃথক করে র‌্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত বাহিনী করলে পরিস্থিতি উন্নয়নের কারণ আছে বলে মনে হয় না। পুলিশের দুটো অঙ্গ সমান্তরালভাবে কাজ করতে থাকলে সরকারের জন্য সমন্বয় আরও জটিল হয়ে পড়বে। আবশ্যক হবে এর জন্য নতুন আইনি বিধান ও প্রবিধান। গঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার আবশ্যকতা দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, র‌্যাবকে শুধু আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে গঠন করা হয়নি। তাদের দেওয়া হয়েছে অপরাধ ও অপরাধীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, সরকার নির্দেশিত ক্ষেত্রে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা। আর তদন্ত পরিচালনাকালে তারা ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণে গ্রেপ্তারসহ সব কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সুতরাং এ ধরনের অভিজ্ঞতালব্ধ এবং পরীক্ষিত একটি বাহিনী অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হোক, এটা কারও কাম্য হতে পারে না।
আইনের বিধান সবাই অনুসরণ করলে সমস্যা তেমন কোথাও থাকতে পারে বলে মনে হয় না।

আইন কিছুটা মানব আর কিছু মানব না, এমন হতে পারে না। আইন মানা কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার নয়। সাধারণ নাগরিকসহ আইন যাঁরা প্রয়োগ করেন, তাঁদের জন্য তা সমভাবে প্রযোজ্য। সুতরাং র‌্যাব-পুলিশের একটি অখণ্ড সত্তা হিসেবে আইনের বিধান অনুসারে তার দায়িত্ব পালনে উত্তরোত্তর সফল হোক, এ প্রচেষ্টাই সবার নেওয়া উচিত। এ বাহিনীতে প্রেষণে আসা সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারাও যথাযথ মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখেন।

চলমান প্রেক্ষাপটে এ বাহিনীর আবশ্যকতা যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি এতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকাও অপরিহার্য বললে অত্যুক্তি হবে না। র‌্যাবের মতো তাদেরও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই।
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
majumder234@yahoo.com।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.