সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
শাবনূরের গোপন বিয়ে এবং তার স্বামী চায়নিজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মাইকেল চ্যাং প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠজনরা প্রায় সবাই অবগত। তাদের সূত্রে জানা গেছে, বিদেশী বিয়ের পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে, শাবনূর দেশের কাউকে বিশ্বাস করেন না। তিনি প্রায়ই তার ঘনিষ্ঠজনদের বলতেন, বাংলাদেশী যে ছেলে তাকে বিয়ে করবে সে তার সম্পত্তির লোভে করবে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক ধনসম্পদের মালিক শাবনূর এসব বিষয়ে কাউকে বিশ্বাস করেন না। তাই তো বিদেশী মাইকেল চ্যাংকে বিয়ে করলেন বলে ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন।

তার বিশ্বাস চ্যাং আর যাই করুক তার সম্পত্তিতে ভাগ বসাবে না শাবনূর আবারও দেশ ছাড়লেন। গত বৃহস্পতিবার অনেকটাই গোপনে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলেন তিনি। মা-বাবা ছাড়া আর কাউকেই জানতে দিলেন না। কবে ফিরবেন সেটাও নিশ্চিত করলেন না। অথচ যাবার আগে শহীদুল ইসলাম খোকনকে জুন মাসে শিডিউল দিয়ে গেছেন।

শাবনূরের ঘনিষ্ঠ একজন থেকে জানা গেছে, জুনের আগেই দেশে ফিরবেন তিনি। আরও জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়াতেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য গুছিয়ে আনছেন। কারণ অস্ট্রেলিয়াতেই তার ভাই-ভাবী, বোন-বোনের স্বামী, তাদের সন্তান এবং শাবনূরের স্বামী মাইকেল চ্যাং স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দীর্ঘ ৪ মাস পর শাবনূর এবার দেশে এসেছিলেন স্বামী মাইকেল চ্যাং, ছোট বোন ঝুমুর, তার স্বামী মইনুল এবং তাদের সন্তানকে নিয়ে। এই পুরো পরিবারসহ মাকে নিয়ে ঢাকা ক্লাবের বনভোজনে অংশ নিয়েছেন তিনি।

তবে এই বনভোজনে স্বামী চ্যাংকে সঙ্গে নেননি জানাজানি হয়ে যাবে বলে। তাছাড়া চলচ্চিত্রে কদর, জনপ্রিয়তা এবং ব্যস্ততা সবকিছু কমে যাবার কারণে দেশে বেকার সময় অতিবাহিত করা মানে তার মতো টানা ১৫ বছরের ব্যস্ত শিল্পীর কাছে জেল জীবনের মতো। অতএব যা কিছু করতে হবে দেশের বাইরে। এর জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমে পাঠালেন ছোট বোন ঝুমুরকে।

পড়াশোনার নাম করে ঝুমুর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রথমে বিয়ে করলেন মইনুল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশীকে। মইনুলের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। তারপর পাঠালেন ছোট ভাই তমাল ও তার বৌকে। ভাইবোন স্থায়ী হবার পর নিজে শুরু করলেন যাতায়াত। এক সময় বিয়ে করলেন মাইকেল চ্যাংকে।

এখন দেশে আসেন সহায় সম্পত্তির খোঁজ নিতে। এবারও এসেছিলেন সেই লক্ষ্যে। কাজ শেষ হওয়ায় ফিরে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। যাবার আগে পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনকে জুন মাসে শিডিউল দিয়ে বলে গেলেন টেকনিক্যাল কারণে জুনের আগ পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন না। শাবনূরের চলে যাওয়ায় তার টেকনিক্যাল কারণটা স্পষ্ট হলো।

এখন জুনের আগে তিনি দেশে ফিরবেন কিনা এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শহীদুল ইসলাম খোকনের কাছে। কারণ শাবনূরের কারণেই দীর্ঘদিন যাবৎ আটকে আছে তার পরিচালনায় ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ছবিটি। সুত্র আজকের মানব জমিনে গুতা মারেন
 
।